আমার শহরতলীর ছেলেবেলা

সুস্মিতা রায় আমার ছোটবেলা কেটেছে দুটি শহরতলি অঞ্চলে যেগুলো এখন এক্সটেন্ডেড কলকাতার মধ্যে ঢুকে গেছে। প্রথম জায়গাটির নাম মধ্যমগ্রাম, যেখানে বাল্যকাল থেকে তেরো বছর বয়স অবধি কেটেছে এবং তারপর থেকে বিবাহপূর্ব পুরোটা সময় কেটেছে সোদপুরে। দুটো জায়গারই অনেক সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। আমাদের সময় বাচ্চাদের খেলাধুলার খুব চল ছিল। পাড়ার রাস্তায় বা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে প্রচুর […]

Read More
মামাবাড়ি ও ঠকে শেখা

শ্রী দেবাশিস পোদ্দার  তাই তাই তাই মামাবাড়ি যাই। মামাবাড়ি ভারি মজা কিলচড় নাই। সকলের মনে হয় কিনা জানি না, আমার তো শিশুকাল থেকেই মনে হত যে এই ছড়াটা শুধুমাত্র আমার জন্যেই লেখা হয়েছে। পূর্ব কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে আমাদের মামাবাড়ি। ভি.আই.পি. রোড লাগোয়া সি.আই.টি. বিল্ডিং। ভি.আই.পি. এলাকা তো বটেই। প্রতিবছর নিয়মকরে মামাবাড়ি যাওয়া চাই-ই চাই। গরমের ছুটিতে, […]

Read More
“রবিকা”~র বিদায় বেলা

স্থিরা হালদার এমনই এক শ্রাবণ মাস-অবিশ্রান্ত বারিধারার মাঝে বয়ে আনে এক বিশেষ দুঃখের স্মৃতি – ২২শে শ্রাবণ ১৯৪১ সাল – কবির চিরবিদায়ের দিন। এই পরিবারের কন্যা হয়েও সেই জোড়াসাঁকো বাড়িতে থাকা বা সেই বাড়ির জগদ্বিখ্যাত মানুষগুলির সঙ্গ লাভ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কাজেই জোড়াসাঁকো বাড়ির সে সময়ে যা ঘটনা আমার ভান্ডারে সঞ্চিত আছে তা সবই […]

Read More
প্রিয় “বুবুদা” (শমিত ভঞ্জ) স্মরণে

অঞ্জন বসু চৌধুরী শমিত ভঞ্জ ডাকনাম বুবু। আমরা বুবুদা বলে ডাকতাম। বুবদার বাবা স্বর্গীয় ‘প্রীতিময় ভঞ্জ’ বা “খোকা কাকা” ছিলেন আমার বাবার পিসতুতো ভাই। তমলুকে থাকতেন। বুবুদার বরাবরই সিনেমায় অভিনয়ের খুব ইচ্ছে ছিল। খুব ভালো ক্রিকেট খেলতো। কলেজে পড়তে পড়তেই সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ এসে যায়। কেদার রাজায় পুলিশ ইন্সপেক্টর এর অভিনয় করে। শুটিং-এর পুরো […]

Read More
আমার চোখে উত্তম

আমার চোখে উত্তম

  • Jul 24, 2020

জয়শ্রী বোস আমার ছোটবেলাটা কেটেছে ভবানীপুরে মহেন্দ্র রোডে। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল লেডিস পার্ক। পার্কের ওপাশে ছিল গিরিশ মুখার্জী রোড, সেখানেই মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ি। আমি যখনের কথা বলছি তখন ও তিনি উত্তমকুমার হননি। তখন আমরা থাকতাম মহেন্দ্র রোডের ভেতর দিকে ওই পার্কের পাশের একটা বাড়িতে। আমি আমার বাবা মা ঠাকুমা এবং দুই ভাই বোনের সঙ্গে […]

Read More
রাখে হরি মারে কে ! (পর্ব – ২)

অঞ্জন বসু চৌধুরী প্রথম পর্বে আমি আপনাদের ১৯৭৬ সালের ২২শে জানুয়ারীতে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের প্রথম ভয়ঙ্কর ঘটনাটির (যেখানে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছিলাম) কথা বলেছিলাম। আজ থাকছে দ্বিতীয় ঘটনাটি। সেবারেও আমি মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছিলাম। ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮৮ সাল। ঠিক দু-মাস আগে শাশুড়ি মা প্রয়াত হয়েছেন শ্বশুরমশাইয়ের মনের অবস্থা একদমই ভালো নয়, […]

Read More
রাখে হরি মারে কে ! (পর্ব – ১)

অঞ্জন বসু চৌধুরী আমার জীবনের দুটি অধ্যায় যা কোনোদিনও আমার মন থেকে হারিয়ে যাবে না। দু রকমের অভিজ্ঞতায় আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি আর তাই আজ এই গল্পগুলো আপনাদের সামনে করতে পারছি। আজ প্রথম ঘটনাটি বলছি। এই ঘটনাটি ঘটেছিলো, আজ থেকে ৪৪ বছর আগের (১৯৭৬) জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিন উপলক্ষ্যে […]

Read More
নির্মল আনন্দ

নির্মল আনন্দ

  • Jun 02, 2020

অঞ্জন বসু চৌধুরী সেই যুগটাই অন‍্যরকম ছিল। মানুষের জীবনে চাহিদা কম ছিল তাই জটিলতাও ছিল না। নির্মল আনন্দে বেশ কেটে যেতো দিনগুলো। রিটায়ারমেন্টের পর প্রায়ই এ কথা মনে হয় অমিয়বাবুর। সরকারী অফিসের চাকরী। দায়িত্ব থাকতো ঠিকই। তবে কাজে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে হতো না সবসময়। তাই নানারকম হাসি ঠাট্টায় দিনগুলো কেটে যেত। আজকাল খুব মনে […]

Read More
খোলা চিঠি – আমার পরিবার ৫

অঞ্জন বসু চৌধুরী এ লেখা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কিছু চিঠির সংকলন। যা আমার কাকু অঞ্জন বসু চৌধুরী এই ব্লগ খোলার সময় আমায় উৎসাহ জানিয়ে লিখেছিলেন। এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলি সবাই আমার প্রিয়জন। ঘটনাগুলি এক একটা নস্টালজিয়া। তাই ওনার অনুমতি নিয়ে লেখাগুলো অপরিবর্তিত রেখে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।    ~   সুদেষ্ণা মিত্র চিঠি – ৫ বাবা, জিতেন […]

Read More
খোলা চিঠি – আমার পরিবার ৪

অঞ্জন বসু চৌধুরী এ লেখা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কিছু চিঠির সংকলন। যা আমার কাকু অঞ্জন বসু চৌধুরী এই ব্লগ খোলার সময় আমায় উৎসাহ জানিয়ে লিখেছিলেন। এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলি সবাই আমার প্রিয়জন। ঘটনাগুলি এক একটা নস্টালজিয়া। তাই ওনার অনুমতি নিয়ে লেখাগুলো অপরিবর্তিত রেখে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।    ~   সুদেষ্ণা মিত্র চিঠি – ৪ আজকাল বিজয়া […]

Read More
error: Content is protected !!