প্রথম বেড়ানোর অভিজ্ঞতা

অঞ্জন বসু চৌধুরী ট্রাভেল কথাটা ছোটবেলায় বুঝতাম না ঠিকমত কেননা তখনও ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজটার প্রতি খুব একটা টান অনুভব করিনি। বেড়াতে যাওয়াটা বুঝতাম, ইচ্ছেও হতো কিন্তু যাবার সুযোগ খুব একটা ছিল না। হঠাৎ করে একটা সুযোগ এসে গেছিল। আমার বাবা সারা বছরে একবারে ছুটি নিতেন। সেটা দুর্গা ষষ্ঠীর দিন থেকে ভাইফোঁটা পর্য্যন্ত। এছাড়া বাবাকে আর্ কোনদিন […]

Read More
এক বাজার বিলাসীর ইতিকথা

অঞ্জন বসু চৌধুরী বাজার — অত্যন্ত এক জনবহুল জায়গা, যেখানে বহু মানুষের জমায়েত, তাদের দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনা বেচার এক প্ল্যাটফর্ম। কলকাতায় বড় বড় লোকেদের নামে বাজার রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম আশুবাবুর বাজার,  চূনিবাবুর বাজার, ছাতুবাবুর বাজার, যদুবাবুর বাজার, অমৃতবাবুর বাজার ইত্যাদি। বাজার করতে আমার দারুন লাগে, সেই ছোটবেলা থেকেই। বলবেন, কত ছোটবেলা থেকে? তা আমার […]

Read More
মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

অঞ্জন বসু চৌধুরী মহানায়ক উত্তম কুমারকে আমি প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করব। জমিদার রাজাবাবু অতিশয় দয়ালু এক চরিত্র – “কাহারবা নয় দাদরা বাজাও” গানে মাতিয়ে রাখা এক চরিত্র। নাহলে “কা তব কান্তা কস্তে পুত্রহ”-র সন্ন্যাসী। একদিকে অসাধারন দয়ালু রাজার ভূমিকায় আর অন্যদিকে সব হারানো এক সন্ন্যাসী যে জীবনের সব সুখ দুঃখ থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। আবার এই […]

Read More
প্রিয় “বুবুদা” (শমিত ভঞ্জ) স্মরণে

অঞ্জন বসু চৌধুরী শমিত ভঞ্জ ডাকনাম বুবু। আমরা বুবুদা বলে ডাকতাম। বুবদার বাবা স্বর্গীয় ‘প্রীতিময় ভঞ্জ’ বা “খোকা কাকা” ছিলেন আমার বাবার পিসতুতো ভাই। তমলুকে থাকতেন। বুবুদার বরাবরই সিনেমায় অভিনয়ের খুব ইচ্ছে ছিল। খুব ভালো ক্রিকেট খেলতো। কলেজে পড়তে পড়তেই সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ এসে যায়। কেদার রাজায় পুলিশ ইন্সপেক্টর এর অভিনয় করে। শুটিং-এর পুরো […]

Read More
রাখে হরি মারে কে ! (পর্ব – ২)

অঞ্জন বসু চৌধুরী প্রথম পর্বে আমি আপনাদের ১৯৭৬ সালের ২২শে জানুয়ারীতে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের প্রথম ভয়ঙ্কর ঘটনাটির (যেখানে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছিলাম) কথা বলেছিলাম। আজ থাকছে দ্বিতীয় ঘটনাটি। সেবারেও আমি মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছিলাম। ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮৮ সাল। ঠিক দু-মাস আগে শাশুড়ি মা প্রয়াত হয়েছেন শ্বশুরমশাইয়ের মনের অবস্থা একদমই ভালো নয়, […]

Read More
রাখে হরি মারে কে ! (পর্ব – ১)

অঞ্জন বসু চৌধুরী আমার জীবনের দুটি অধ্যায় যা কোনোদিনও আমার মন থেকে হারিয়ে যাবে না। দু রকমের অভিজ্ঞতায় আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি আর তাই আজ এই গল্পগুলো আপনাদের সামনে করতে পারছি। আজ প্রথম ঘটনাটি বলছি। এই ঘটনাটি ঘটেছিলো, আজ থেকে ৪৪ বছর আগের (১৯৭৬) জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিন উপলক্ষ্যে […]

Read More
নির্মল আনন্দ

নির্মল আনন্দ

  • Jun 02, 2020

অঞ্জন বসু চৌধুরী সেই যুগটাই অন‍্যরকম ছিল। মানুষের জীবনে চাহিদা কম ছিল তাই জটিলতাও ছিল না। নির্মল আনন্দে বেশ কেটে যেতো দিনগুলো। রিটায়ারমেন্টের পর প্রায়ই এ কথা মনে হয় অমিয়বাবুর। সরকারী অফিসের চাকরী। দায়িত্ব থাকতো ঠিকই। তবে কাজে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে হতো না সবসময়। তাই নানারকম হাসি ঠাট্টায় দিনগুলো কেটে যেত। আজকাল খুব মনে […]

Read More
খোলা চিঠি – আমার পরিবার ৫

অঞ্জন বসু চৌধুরী এ লেখা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কিছু চিঠির সংকলন। যা আমার কাকু অঞ্জন বসু চৌধুরী এই ব্লগ খোলার সময় আমায় উৎসাহ জানিয়ে লিখেছিলেন। এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলি সবাই আমার প্রিয়জন। ঘটনাগুলি এক একটা নস্টালজিয়া। তাই ওনার অনুমতি নিয়ে লেখাগুলো অপরিবর্তিত রেখে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।    ~   সুদেষ্ণা মিত্র চিঠি – ৫ বাবা, জিতেন […]

Read More
খোলা চিঠি – আমার পরিবার ৪

অঞ্জন বসু চৌধুরী এ লেখা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কিছু চিঠির সংকলন। যা আমার কাকু অঞ্জন বসু চৌধুরী এই ব্লগ খোলার সময় আমায় উৎসাহ জানিয়ে লিখেছিলেন। এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলি সবাই আমার প্রিয়জন। ঘটনাগুলি এক একটা নস্টালজিয়া। তাই ওনার অনুমতি নিয়ে লেখাগুলো অপরিবর্তিত রেখে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।    ~   সুদেষ্ণা মিত্র চিঠি – ৪ আজকাল বিজয়া […]

Read More
খোলা চিঠি – আমার পরিবার ৩

অঞ্জন বসু চৌধুরী এ লেখা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কিছু চিঠির সংকলন। যা আমার কাকু অঞ্জন বসু চৌধুরী এই ব্লগ খোলার সময় আমায় উৎসাহ জানিয়ে লিখেছিলেন। এই লেখায় বর্ণিত চরিত্রগুলি সবাই আমার প্রিয়জন। ঘটনাগুলি এক একটা নস্টালজিয়া। তাই ওনার অনুমতি নিয়ে লেখাগুলো অপরিবর্তিত রেখে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।    ~   সুদেষ্ণা মিত্র চিঠি – ৩ তমলুকের বাড়িতে […]

Read More
error: Content is protected !!