সুদেষ্ণা মজুমদার
….”ওরে পলাশ ওরে পলাশ
রাঙ্গা রঙে শিখায় শিখায়
দিকে দিকে আগুন জ্বালাস”….
বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি —
আবার বছর ফেরে, চির নূতনেরে ডাক দিলো #পঁচিশে_বৈশাখ… আজি কলকাতা তথা পশ্চিম-বঙ্গের প্রত্যেক জায়গা থেকে সেই ‘হে নূতনের’ গান ভেসে আসার দিন।
রিক্ততার বক্ষ ভেদি, ঠিক এমনি দুর্বিষহ সময়ে নিজেকে উন্মোচিত করে, সামনের সুদীর্ঘ অন্ধকার পথ অতিক্রান্ত করে, পারবে কি কেউ আজ ‘জীবনের জয়’ ডেকে আনতে?
৫০০ কিংবা ১০০০ বছরে একবার যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষের আবির্ভাব হয় পৃথিবীর বুকে, আমাদের বাংলার মাটি কে ধন্য করে এসেছিলেন আমাদের সেই প্রাণের ঠাকুর, রবি ঠাকুর.
নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ – সারা দেশের গর্ব, গর্ব তিনি এশিয়া মহাদেশের, গর্ব সারা পৃথিবীর সংবেদনশীল শিক্ষিত জনসম্প্রদায়ের। কিন্তু বাঙালির জন্য তিনি এক বিশেষ অনুভূতি, আমাদের আর এক ইন্দ্রিয়।
ঋতুপর্ণর ভাষায় যিনি হলেন আমাদের প্রিয়তম বন্ধু কিংবা পরম আত্মীয়, কোনো রকম শর্ত বিহীন এক বন্ধনের নাম হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর. কান্না পেলে যাঁর কোলে মাথা রাখা যায়, আনন্দ হলে যাঁর কথা ধার করে উৎসব করা যায়, করোনার আতঙ্ক ভুলে, যাঁকে নিয়ে ঘরে খিল দেওয়া যায়; উনি সকলের সেই প্রিয় প্রাণের পুরুষ. আবার উনি এক যথাযথ ভোগ্য পণ্যও বটে, একমাত্র ওঁরই কোনো expiry date নেই।
তাই জন্যই রবি আর তার বৌঠানের মাখো মাখো করে, রসালো প্রেম কাহিনী লিখে সাহিত্যিকরা নাম করেন. কিন্তু এমন সাহিত্যিকদের আমি parasite বলি, আর যে যাই বলুক. কাদা ঘাঁটতে ঘাঁটতে, অবস্থার দৈন্যে, কুশিক্ষার আত্মগ্লানিতে যেন বাঙালি নীচে তলিয়ে যাচ্ছে!
জীবনের সকল অবস্থার, সুক্ষ অনুভূতির জন্য যেমন রয়েছে ওর কবিতা কিংবা গান. তেমনি রয়েছে ওর লেখা গল্প ও প্রবন্ধ যা আমাদের জীবনের পথে হাঁটবার শক্তি ও সাহস যোগায়।
‘রবীন্দ্রনাথ ও শিক্ষা’
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, ১৩১৫ বঙ্গাব্দে রচিত, ওঁর শিক্ষা গ্রন্থর নানান আলোচ্য বিষয় বস্তুর মধ্যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ও ঘুণ ধরা সমাজের বহু ধারাবাহিক অব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা এখনো খুঁজে পাই. তাই কবি গুরুর কথাতেই বলি, “সরস্বতীর সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রবেশ করেও আমরা কেবলমাত্র মজুরি করিয়া মরি”।
তারই লেখার উদ্ধৃতি নিয়ে, বিশেষ বিশেষ আলোচ্য পদ গুলি হুবহু ধার করেই আমার বক্তব্যটি পরিস্ফুট করবো. এ যেন আমার গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজোর চেষ্টা।
(অন্তর্জাল এ চোখ রাখলেই নিম্নোক্ত কথার উপলদ্ধি করা সহজ হবে)
#শিক্ষার_হেরফের নিয়ে উনি লিখেছেন: …”আমাদের মতামত কথাবার্তা এবং আচার-অনুষ্ঠান ঠিক সাবালকের মতো নহে। সেইজন্য আমরা অত্যুক্তি, আড়ম্বর এবং আস্ফালনের দ্বারা আমাদের মানসিক দৈন্য ঢাকিবার চেষ্টা করি”।
(শিক্ষা নিয়ে ছেলে খেলা আমাদের দেশের সকল সরকার ও কমিটি যা করে চলেছেন, সে প্রসঙ্গে উনি বলেন):
…”কমিটি দ্বারা দেশের অনেক ভালো হইতে পারে; তেলের কল, সুরকির কল, রাজনীতি এবং বারোয়ারি পূজা কমিটির দ্বারা চালিত হইতে দেখা গিয়াছে, কিন্তু এ পর্যন্ত এ দেশে সাহিত্য সম্পর্কীয় কোনো কাজ কমিটির দ্বারা সুসম্পন্ন হইতে দেখা যায় নাই। মা সরস্বতী যখন ভাগের মা হইয়া দাঁড়ান তখন তাঁহার সদ্গতি হয় না। অতএব কমিটি-নির্বাচিত গ্রন্থগুলি যখন সর্বপ্রকার সাহিত্যরসবর্জিত হইয়া দেখা দেয় তখন কাহার দোষ দিব। আখমাড়া কলের মধ্য দিয়া যে-সকল ইক্ষুদণ্ড বাহির হইয়া আসে তাহাতে কেহ রসের প্রত্যাশা করে না…”।
(information overload এর যুগে দেখুন, কেমন মিলে যাচ্ছে পরবর্তী কথা গুলি)
…”মালমশলা যাহা জড়ো হইতেছে তাহা প্রচুর তাহার আর সন্দেহ নাই; মানসিক অট্টালিকা নির্মাণের উপযুক্ত এত ইঁট পাটকেল পূর্বে আমাদের আয়ত্তের মধ্যে ছিল না। কিন্তু সংগ্রহ করিতে শিখিলেই যে নির্মাণ করিতে শেখা হইল ধরিয়া লওয়া হয়, সেইটেই একটা মস্ত ভুল। সংগ্রহ এবং নির্মাণ যখন একই সঙ্গে অল্পে অল্পে অগ্রসর হইতে থাকে তখনই কাজটা পাকা রকমের হয়”।
…সুশিক্ষিত মানুষ যখন অমানুষ হয়ে দাঁড়ায়, তার মধ্যেকার বিকৃতি রা যখন সামনে এসে পড়ে…
(তখন রবীন্দ্রনাথ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন)
…”এইরূপে বিশ-বাইশ বৎসর ধরিয়া আমরা যে-সকল ভাব শিক্ষা করি আমাদের জীবনের সহিত তাহার একটা রাসায়নিক মিশ্রণ হয় না বলিয়া আমাদের মনের ভারি একটা অদ্ভুত চেহারা বাহির হয়। শিক্ষিত ভাবগুলি কতক আটা দিয়া জোড়া থাকে, কতক কালক্রমে ঝরিয়া পড়ে”।
…”আমাদের সমস্ত জীবনের শিকড় যেখানে, সেখান হইতে শত হস্ত দূরে আমাদের শিক্ষার বৃষ্টিধারা বর্ষিত হইতেছে, বাধা ভেদ করিয়া যেটুকু রস নিকটে আসিয়া পৌঁছিতেছে সেটুকু আমাদের জীবনের শুষ্কতা দূর করিবার পক্ষে যথেষ্ট নহে”।
…”এইজন্য দেখা যায় একই লোক এক দিকে য়ুরোপীয় দর্শন বিজ্ঞান এবং ন্যায়শাস্ত্রে সুপণ্ডিত, অন্য দিকে চির কুসংস্কারগুলিকে সযত্নে পোষণ করিতেছেন”।
….”শিক্ষাকে আমরা যতই অশ্রদ্ধা করিতে থাকি, শিক্ষাও আমাদের জীবনের প্রতি ততই বিমুখ হইতে থাকে, আমাদের চরিত্রের উপর তাহার সম্পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করিতে পারে না”।
…”আমাদের বাল্যকালের শিক্ষায় আমরা ভাষার সহিত ভাব পাই না, আবার বয়স হইলে ঠিক তাহার বিপরীত ঘটে, যখন ভাব জুটিতে থাকে তখন ভাষা পাওয়া যায় না”।
…”অতএব ছেলে যদি মানুষ করিতে চাই, তবে ছেলেবেলা হইতেই তাহাকে মানুষ করিতে আরম্ভ করিতে হইবে, নতুবা সে ছেলেই থাকিবে, মানুষ হইবে না।”…
“শিশুকাল হইতেই কেবল স্মরণশক্তির উপর সমস্ত ভর না দিয়া সঙ্গে সঙ্গে যথাপরিমাণে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির স্বাধীন পরিচালনার অবসর দিতে হইবে।”
স্ত্রীশিক্ষা নিয়ে ওঁর অভিমত কিছুটা এই রকম:
…”এক দল লোক বলেন, স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজন নাই, কারণ স্ত্রীলোক শিক্ষিতা হইলে পুরুষের নানা বিষয়ে নানা অসুবিধা। …মেয়েরা যদি বা কাণ্ট-হেগেল্ পড়ে, তাহলে মেয়েদের মেয়েলিভাব নষ্ট হইবে। শিক্ষিতা স্ত্রী স্বামীকে দেবতা বলিয়া মনে করে না, স্বামীসেবায় তার তেমন মন থাকে না, পড়াশুনা লইয়াই সে ব্যস্ত ইত্যাদি”। আবার আর-এক দল বলেন, স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজন খুবই আছে, কেননা আমরা পুরুষরা শিক্ষিত, আমরা যাহাদের লইয়া ঘরসংসার করিব তাহারা যদি আমাদের ভাব চিন্তা আশা আকাঙ্ক্ষা বুঝিতেই না পারে তবে আমাদের পারিবারিক সুখের ব্যাঘাত হইবে”।
…”নারীর যে পুরুষের মতো ব্যক্তিত্ব আছে, সে যে অন্যের জন্য সৃষ্ট নয়, তাহার নিজের জীবনের যে সার্থকতা আছে”, তা দুই দলের কেহই নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের বাইরে বুঝতে অপারগ!
(মিথ্যার ইতিহাস খুঁড়ে দেশীয় সত্যাসত্য প্রমাণ করায় উঠে পড়ে লেগেছে আজকাল অনেকেই, এ বিষয়ে উনি বলছেন:)
…”আমাদের দেশীয় ইতিহাস হইতে মিথ্যা বাছিতে গেলে তাহার উজাড় হইবার সম্ভাবনা আশঙ্কা করি। কেহ কেহ এইরূপ প্রাত্যহিক ঘটনার দৃষ্টান্ত দেখাইয়া ইতিহাসের সত্যতা সম্বন্ধে আগাগোড়া সন্দেহ প্রকাশ করেন। কিন্তু একটি কথা তাঁহারা ভুলিয়া যান, ঐতিহাসিক ঘটনার জনশ্রুতি বহুতর লোকের মন হইতে প্রতিফলিত হইয়া আসে এবং সেই ঘটনার বিবরণে সাময়িক লোকের মনের ছাপ পড়িয়া যায়। তাহা হইতে ঘটনার বিশুদ্ধ সত্যতা আমরা না পাইতেও পারি কিন্তু তৎসাময়িক অনেক লোকের মনে তাহা কিরূপ প্রতিভাত হইয়াছিল সেটা পাওয়া যাইতে পারে”।
(ওঁর লেখায় Moral Text অংশটা বিশেষ ভাবে আমাকে প্রভাবিত করে. ঠিক যেন আজকালকার প্রতিচ্ছবি! )
…”কপি-বুক মোরালিটি’ বলে, তাহার দ্বারা এ পর্যন্ত কাহারও চরিত্র সংশোধন হইতে দেখা যায় নাই। নীতিগ্রনেথ শুধু বলিয়া দেয় যে, এটা পাপ, ওটা পুণ্য; ইহা পাপ-পুণ্যের একটা catalogue স্বরূপ”।
“রামায়ণ মহাভারত পুরাণকথার ধর্মব্যাখ্যা নানা প্রণালী বেয়ে প্রতিনিয়ত যেন পূজাপাঠের প্রতিই মন কে অবিষ্ট করে. ওর মধ্যে নিহিত নীতিশাস্ত্র, ন্যায়-শাস্ত্র ও বিজ্ঞান কে আমাদের উপেক্ষা করতেই শেখানো হয়েছে যে!”
…”প্রহ্লাদের কথা, সীতার বনবাস, কর্ণের কবচদান, হরিশ্চন্দ্রের সর্বস্বত্যাগ এর মতন পুরানের গল্পে দুঃখ ছিল অনেক, অবিচার ছিল, জীবনযাত্রার অনিশ্চয়তা ছিল পদে পদে, কিন্তু সেইসঙ্গে এমন একটি শিক্ষার প্রবাহ ছিল যাতে করে ভাগ্যের বিমুখতার মধ্যে মানুষকে তার আন্তরিক সম্পদের অবারিত পথ দেখিয়েছে, মানুষের যে শ্রেষ্ঠতাকে অবস্থার হীনতায় হেয় করতে পারে না তার পরিচয়কে উজ্জ্বল করেছে”।
তাঁর লেখনীতে ফুটে ওঠে শহুরে সভ্যতার কুফল ও তার একপেশে শিক্ষা পদ্ধতির প্রতি তীব্র তিরষ্কার।
…”এ কালে যাকে আমরা এডুকেশন বলি তার আরম্ভ শহরে। তার পিছনে ব্যাবসা ও চাকরি চলেছে আনুষঙ্গিক হয়ে। এই বিদেশী শিক্ষাবিধি রেলকামরার দীপের মতো। কামরাটা উজ্জ্বল, কিন্তু যে যোজন যোজন পথ গাড়ি চলেছে ছুটে সেটা অন্ধকারে লুপ্ত। কারখানার গাড়িটাই যেন সত্য, আর প্রাণবেদনায় পূর্ণ সমস্ত দেশটাই যেন অবাস্তব”।
…”শহরবাসী একদল মানুষ এই সুযোগে শিক্ষা পেলে, মান পেলে, অর্থ পেলে, তারাই হল enlighted- আলোকিত”।
(আজকাল বিদেশী মাধ্যমে পড়ানোর হিড়িক পরে গেছে দেশ জুড়ে. সেইসব ছাত্র ছাত্রী দের দেখে মনে হয়, দেশে থেকেও তারা পুরোদস্তুর ছিন্নমূল.. রবীন্দ্রনাথের কথায়,)
…”তারা দেশ বলতে বুঝলেন, শিক্ষিত সমাজ, ময়ূর বলতে বুঝলেন তার পেখমটা, হাতি বলতে তার গজদন্ত। সেই দিন থেকে জলকষ্ট বলো, পথকষ্ট বলো, রোগ বলো, অজ্ঞানতা বলো, জমে উঠল….নিরানন্দ নিরালোক গ্রামে গ্রামে। নগরী হল সুজলা, সুফলা, টানাপাখা-শীতলা; সেইখানেই মাথা তুললে আরোগ্যনিকেতন, শিক্ষার প্রাসাদ”।… দেশের বুকে এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রান্তে এত বড়ো বিচ্ছেদের ছুরি আর-কোনোদিন চালানো হয় নি”….
…”শিক্ষার সঙ্গে দেশের মনের সহজ মিলন ঘটাবার আয়োজন আজ পর্যন্ত হল না”।
(এই বৈষম্য এই অতি আধুনিক সভ্যতার বুকে, মোবাইল এর টর্চ লাইট এর মতোই জ্বাজ্জল্যমান.)
…”সকলের গোড়ায় চাই শিক্ষিত মন। ইস্কুল-কলেজের বাইরে শিক্ষা বিছিয়ে দেবার উপায় – সাহিত্য”।
(সাহিত্য তো এই মেলবন্ধনের কাজই করে. তবু তার মাঝেও এক অন্তসারশূন্যতা প্রত্যক্ষ করেন রবীন্দ্রনাথ. )
… “গল্প কবিতা নাটক নিয়ে বাংলা সাহিত্যের পনেরো-আনা আয়োজন। অর্থাৎ ভোজের আয়োজন, শক্তির আয়োজন নয়। আমাদের সাহিত্যে রসেরই প্রাধান্য। সেইজন্যে যখন কোনা অসংযম কোনো চিত্তবিকার অনুকরণের নালা বেয়ে এই সাহিত্যে প্রবেশ করে তখন সেটাই একান্ত হয়ে ওঠে, কল্পনাকে রুগ্ণ বিলাসিতার দিকে গাঁজিয়ে তোলে”।
(এর প্রতিফলন ঠিক যেমন প্রত্যক্ষ করি আজকের সংবাদ মাধ্যমে, টিভি serial এর কূটকচালিতে, internet এ, এমন কি কাদা ঘাঁটা সাহিত্যেও.)
(সর্বস্তরে,) …”এই ভাঙন-ধরানো ঈর্ষা, নিন্দা, দলাদলি আজ হিন্দু-মুসলমানে যে-একটা লজ্জাজনক আড়াআড়ি দেশকে আত্মঘাতে প্রবৃত্ত করছে তার মূলেও আছে সর্বদেশব্যাপী অবুদ্ধি”।
(বৈচিত্রময়)…”সংস্কৃতির প্রভাবে চিত্তের সেই ঔদার্য ঘটে যাতে করে অন্তঃকরণে শান্তি আসে, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আসে, আত্মসংযম আসে এবং মনে মৈত্রীভাবের সঞ্চার হয়ে জীবনের প্রত্যেক অবস্থাকেই কল্যাণময় করে”।
…‘আমি সব পারি, সব পারব’ এই আত্মবিশ্বাসের বাণী আমাদের শরীর মন যেন তৎপরতার সঙ্গে বলতে পারে। ‘আমি সব জানি’ কে ছাপিয়ে উঠে বলবো, ‘আমি সব জানব, সব পারব।’
শেষ করবো যে অন্যতম গভীর চিন্তা নিয়ে, তাহলো- আমরা যে আজ বড়োই নিঃস্ব!
-তাই প্রার্থনা করবো:
‘হে নূতন দেখা দিক আর বার, জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’।
কবি প্রণাম ~
২৫শে বৈশাখ
নিচের ছবির লিঙ্ক