সুদেষ্ণা মিত্র
“বাড়ির কাছে আরশীনগর —-
একঘর পড়শী বসত করে,
আমি একদিনও না
দেখিলাম তারে—-“
লালন ফকিরের গানের কথাগুলো বড় বেশী সত্যি মনে হতো, চোখের সামনে ভেসে উঠতো পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা যেখানে যাবো যাবো করেও যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি। বাঙালী ভ্রমণপিপাসু । দূর- দূরান্তরই হোক আর ঘর থেকে শুধু “দুই পা ফেলিয়াই হোক” সব ধরনের জায়গার নানা অভিজ্ঞতায় তাদের ঝুলি ভর্তি।
আজ প্রায় কুড়ি বছর ধরে দিল্লীবাসী আমি, তাই যখন সুযোগ পেলাম কলকাতা থেকে চারদিনের জন্যে পুরুলিয়া ঘুরতে যাওয়ার, তখন মনে হলো “শুভস্য শীঘ্রম-অশুভস্য কালহরণম”। বেড়াতে বেরোনোর সব থেকে বড় উত্তেজনা হলো প্ল্যানিং। প্রযুক্তির উন্নতিতে আজ দুনিয়া বেশ অনেকটাই আমাদের হাতের মুঠোর মধ্যে। তাই তার সাহায্যে মহুলবন রিসর্ট বুক করা হলো। ম্যানেজারবাবুর মানুষটি অত্যন্ত ভদ্র এবং অনেক ব্যাপারেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমাদের প্রথম গন্তব্যস্থল ছিল বরন্তী। আসানসোল পৌঁছনোর পর আমরা যাতে গাড়ি করেই বরন্তী পৌঁছে যেতে পারি সেই ব্যবস্থাও ম্যানেজারবাবুই করে দিলেন। সেইমতো আমরা ধানবাদগামী ব্ল্যাক ডায়মন্ডে উঠে রওনা দিলাম আসানসোলের উদ্দেশ্য। সেখান থেকে বরন্তী গাড়িতে ঘন্টা দেড় (৩০ কিলোমিটার)। আসানসোল পৌঁছলাম সকাল সাড়ে ন’টায়। অনেক ছোটোবেলায় আসানসোল এসেছিলাম; এতবছর বাদে তার আর কোনো স্মৃতিই নেই। আসানসোল স্টেশনটি কিন্তু ভারি সুন্দর। সময়টা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক। তাই আবহাওয়া অতি আরামদায়ক। স্টেশনের বাইরেই বোলেরো নিয়ে অপেক্ষা করছিল আমাদের রিসর্টের গাড়ির চালক লক্ষীকান্তবাবু। বেশ কিছু ছবি তুলে ও কয়েক কাপ চা খেয়ে আমরা গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি ছুটে চললো বরন্তীর দিকে।
~ ক্রমশঃ ~
বেড়ানোর বিবরণ সবসময়ই ভালো লাগে।আর পুরুলিয়া হলো এমন এক জায়গা যেখানে আমার যাওয়া হয়নি অথচ যাওয়ার ইচ্ছে প্রবল তাই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম
আরও একটু পড়তে মন চাইছিল। যাই হোক, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
Amaroo r ektu beshi porter parley bhalo lagto,opekhaye thaklam