Du~কলম
টানা একমাস লড়াই করে ‘হেরে’ গেলেন আমাদের ফেলুদা। বাঘা বাঘা ভিলেন তাঁর মগজাস্ত্রর কাছে পরাজিত হয়েছে কিন্তু আজ অনেক যুদ্ধ করেও নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারলেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
কাজ ভালোবাসতেন, অসুস্থতার আগের মুহূর্ত অবধি কাজ করে গেলেন আর আমাদের জন্যে রেখে গেলেন তাঁর অমূল্য সব সৃষ্টি।
অসুস্থতার কাছে ‘পরাজিত’ হলেও, সত্যিই কি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পরাজিত? না, কখনোই না। আমাদের অন্তরে মনের গভীরে চির প্রজ্জ্বলিত হয়ে থাকবে ‘ক্ষিদদা’-র সেই অমর বানী … “ফাইট কোনি ফাইট”, হাজার হাজার বাঙালীর অন্তরাত্মাকে যেমন জ্বালিয়ে দেবে, ‘ময়ূরবাহন’-এর “বাংগালী বাবু”-র প্রতি ব্যাঙ্গকটাক্ষ, শ্লেষমাখা উপেক্ষা আবার ঠিক তেমনই বাঙালীর মগজাস্ত্র প্রতিপক্ষকে চাঁদমারি বানিয়ে ‘আঙ্কল’-এর সম্মান পুণঃরুদ্ধারও করবে। স্মৃতির মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে অপু; জীবনযুদ্ধে ক্ষতবক্ষত হয়েও, শেষ হাসি হাসবার জন্যে। জীবনের পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে ভাবনা না করা, পাড়ার দামাল ছেলেদের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যাবে কোনোও ‘শ্যাম’-কে, যে কোনোও বসন্ত বিলাপ থেকে তার প্রিয় ‘অনুরাধা’-র মুক্তির প্রহর গুনছে।
হেরে তুমি যাওনি ফেলুদা। হারতে তুমি পারো না।
তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে।
তুমি যে “চির-অপরাজিত”।
মন ছোঁয়া লেখা…… চির-অপরাজিত কে প্রণাম।