সুমনা চৌধুরী
এখনকার ছেলেমেয়েরা বাইরের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু সব সময় তো বাইরের খাবার খাওয়া ভালো না। অনেকসময় তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে হয় ওদের আবদারে এমন কোনো আইটেম যা খেয়ে ওরা জিজ্ঞেস করবে “আবার কবে বানাবে মা।”
এরকমই একটা রেসিপি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যার নাম “বাটার গার্লিক চিকেন।” এটা খেতে সুস্বাদু তো বটেই; বানানোও বেশ সহজ।
বাটার গার্লিক চিকেন বানাতে যা যা লাগবে ::
বোনলেস চিকেন, মাঝারি সাইজের চৌকো করে কাটা।
ম্যারিনেশনের জন্য লাগবে নুন, এক চা-চামচ করে আদা ও রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, এক চা চামচ কর্ণফ্লাওয়ার ও একটি ডিমের সাদা অংশ।
এছাড়া লাগবে একটা ছোট পেঁয়াজ কুচি, পাঁচ/ছ’টা রসুনের কুচি, পেঁয়াজ পাতা বা স্প্রিং ওনিয়ন কুচি, দু চামচ মাখন।
আমি স্প্রিং অনিয়ন না পেলে অনেকসময় ধনেপাতাও দিয়ে থাকি । এবার, আমার কাছে আগে থেকেই ছিল রসুন পাতা। যেহেতু এটা বাটার গার্লিক চিকেন এর রেসিপি তাই এই রসুন পাতাটা আমি রান্নায় ব্যবহার করেছি যা এই রান্নার স্বাদটা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।
সব শেষে লাগবে আপনি কতটা ঝাল পছন্দ করেন সেই অনুযায়ী কিছুটা চিলি ফ্লেক্স, একটু ভিনিগার আর সয়া সস্ এবং অল্প একটু চিনি।
এই রান্নার মূল স্বাদ একটু ঝাল, একটু নোনতা। কিন্তু সামান্য চিনি পুরো স্বাদে একটা ব্যালেন্স আনে। স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই আমি দিই।
পদ্ধতি ::
এবার বলি কি ভাবে করবেন। প্রথমেই চিকেনের টুকরোগুলো ম্যারিনেশনের জন্য বলা জিনিসগুলো দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। বেশিক্ষণ না। পনেরো কুড়ি মিনিটই যথেষ্ট। নন্ স্টিক কড়াইতে দিন দু চামচ সাদা তেল। তেল গরম হলে সাবধানে একটি একটি করে সব কটি চিকেন পিস দিন আর আঁচ কমিয়ে বাড়িয়ে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিন। প্রয়োজন মনে করলে দু তিন চামচ জল দিতে পারেন, অসুবিধে নেই। যদিও চিকেন থেকে জল বেরোয় সাধারণত।
কিছুক্ষন ঢেকে রেখে নরম হতে দিন। পিস গুলোতে সোনালী রং ধরলে নামিয়ে নিন। অন্য আরেকটি কড়াইতে দিন মাখন। মাখন গলতে শুরু করলে ওতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন কুচি,স্প্রিং ওনিয়ন কুচি ইত্যাদি সবকিছু দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে ভেজে রাখা চিকেন পিস গুলো দিয়ে দিন। আবার সবটা ভালো করে মিশিয়ে নেড়ে চেড়ে নিন। এতে এবার একে একে দিন চিলি ফ্লেক্স, ভিনিগার, সোয়া সস্ এবং অল্প চিনি। এক দু মিনিট আবার একটু নাড়াচাড়া করে নিন।
ব্যাস! আপনার “বাটার গার্লিক চিকেন” রেডি। ইচ্ছে হলে নামানোর আগে একটু ধনেপাতা কুচি দিতে পারেন। টমেটো সস বা আপনার পছন্দের কোনো “ডিপ” দিয়ে সার্ভ করুন; সবার ভালো লাগবে। ছবিতে যে সস্টা দেখছেন এটাও আমি নিজেই বানিয়েছি।
সব শেষে বলি, ভালো থাকুন ও জমিয়ে খান।
চিত্র সৌজন্য : সৌমি চৌধুরী