গল্পরহস্য ও ভৌতিক

বন্ধু

 

সৌগত চক্রবর্তী

 
।। ১ ।।

ঝিমলির বয়স পনেরো, মানে যে বয়সে মেয়েরা আর ডল পুতুলের সঙ্গে কাল্পনিক সখ্য পাতায় না, সেরকমটাই। তাই যখন নিশার কথা ও প্রথমবার বাড়িতে বলেছিলো, ডক্টর হরিশ শ্রীমানী আর বিদিশা খুশিই হয়েছিলেন। ডাক্তারবাবু সদ্য কোচবিহারের চীফ মেডিক্যাল অফিসার অফ হেল্থ (CMOH) হয়ে এই শহরে এসেছেন। দক্ষিণ কলকাতায় নিজেদের ছোট্ট ছিমছাম বাড়ি ছেড়ে এসে কোচবিহারের এই ব্রিটিশ আমলের বিশাল লাল ইঁটের বাঙলোয় থাকতে শুরু করার প্রথম কয়েকদিন কেটে গেছিলো থিতু হয়ে বসতেই। ইতিমধ্যে ঝিমলির মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এতদিন কলকাতার এক বিখ্যাত মেয়েদের স্কুলে পড়েছে সে। শ্রীমানীরা বরাবরই চেয়েছেন মেয়ে পাঠ্যবইয়ের বাইরের পৃথিবীটাকেও চিনুক। সেই মতোই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী দু’বছর কোচবিহারের সুনীতি একাডেমীতেই পড়বে ঝিমলি। বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা না থাকলেও সাহিত্যের প্রতি ওর সহজাত টানকেও যথেষ্ট প্রশ্রয় দেন হরিশ ও বিদিশা। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হতে তখনো বেশ দেরি, কোচবিহারে এসে থেকে সময় কাটতে চাইছিলো না ঝিমলির।

ডক্টর শ্রীমানীর অফিসের ঠিক কোনাকুনি, সাগরদীঘির উল্টোদিকে ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরী। চীফ লাইব্রেরীয়ান সুমন্ত্র গাঙ্গুলী অমায়িক ভদ্রলোক। তদুপরি CMOH স্বয়ং যখন মেয়েকে নিয়ে সদস্যপদের জন্যে লাইব্রেরিতে এসে উপস্থিত হলেন, এতটাই খুশি হলেন সুমন্ত্রবাবু যে কোটার থেকে বেশি বই নিজে হাতে তুলে দিলেন ঝিমলির হাতে। আর আশ্চর্য হলেন যখন ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় চার খন্ড মুজতবা আলী রচনাবলী ফেরত দিতে হাজির হলো ঝিমলি একাই।

“পড়ে ফেললে এর মধ্যেই?”

“হ্যাঁ জেঠু। আচ্ছা, ন্যাট-জিওর লেটেস্ট ইস্যুটা কি আমি পেতে পারি?”

“ওটা তো বাড়িতে পড়ার জন্যে এখনই দেওয়া যাবে না ঝিমলি। একটু পুরোনো হলে তখন দিতে পারবো। আর যদি সময় থাকে হাতে তাহলে এখানে রিডিং রুমে বসে পড়তে পারো।”

ঝিমলির হাতে অফুরান সময়, ও হাতে চাঁদ পায় যেন। তুতেনখামেনের সমাধি নিয়ে লেখা কভার স্টোরি পড়ছে যখন, পেছন থেকে কে যেন বলে উঠলো, “আর্কেওলজিতে ইন্টারেস্ট আছে তোমার?”

ঘাড় ঘোরাতেই ঝিমলি দেখে ওর সমবয়সী একটি মেয়ে, পরণে একটা ফর্মাল জ্যাকেট আর টপ, সঙ্গে স্কার্ট। কোচবিহারে আসা ইস্তক এরকম পোশাক দেখেছে বলে মনে করতে পারলো না ঝিমলি।

“আমি নিশা। তুমি কে সেটা কিন্তু আমি জানি, ঝিমলি। এখানে কথা বলা বারণ, তোমার পড়া হয়ে গেলে বরং বাড়ি ফেরার পথে কথা বলা যাবে। তুমি তো আজ সাইকেল নিয়ে এসেছো, তাই না ?” করমর্দনের পর আবার বলে নিশা।

“ডোন্ট মাইন্ড, তুমি কি আমাকে স্টক করছো?” সাইকেলে চড়তে চড়তে বলে ঝিমলি। ওঁরা দুজনেই হেসে ওঠে।

“প্রয়োজন হয়নি। ছোট শহর, এখানে সবাই সবাইকে চেনে, তোমাদের মালপত্র যখন নামানো হচ্ছিলো তখনই সবাই জেনে গেছে যে তুমি সাইকেল চালাতে পারো।

“গাড়িও পারি, কিন্তু লাইসেন্স তো দেবে না, তাই বাবা চালাতে দেয় না। আচ্ছা তুমি থাকো কোথায়?”

“তোমাদের খুব কাছেই। তোমাদের বাংলো আমি সব সময় দেখতে পাই।” রহস্যের সুরে বলেছিলো নিশা।

 

।। ২ ।।

“কাদের মেয়ে বলো তো? আশেপাশে তো সব দোকানঘর, পেছনে এস ডি ও অফিস, কিন্তু সে তো যতদূর জানি একাই থাকে, বয়সও কম। এত বড় মেয়ে তো থাকার কথা নয়।” হরিশ বলেন।

“বোনও হতে পারে। তুই জানতে চাসনি?” মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন বিদিশা।

“আরে, তার আগেই তো বাড়ি চলে এলো। আমি ভেতরে আসতে বলেছিলাম, তাতে কেমন একটা গলা করে বললো ধরে নাও তোমাদের বাড়ির চৌহদ্দিতেই আছি। যখন তখন চলে আসতে পারি, তবে আজ নয়।”

“দেখ, আবার কবে দেখা পাস তোর নতুন বন্ধুটির।”

দেখা অবশ্য পরদিনই পায় ঝিমলি। শনিবার। মদনমোহন বাড়িতে সপরিবারে গেছে, সামনে বিরাট পুকুর। পুকুর না বলে তাই বলা হয় দীঘি। এটার নাম বৈরাগী দীঘি। ঝিমলি তার সামনে দাঁড়িয়ে কী যেন ভাবছিল, হঠাৎ আবার পেছন থেকে নিশার গলা। 

“সাঁতার জানো কিনা জানিনা, নাহলে ধাক্কা দিতাম। কী ভাবছো এইভাবে?”

“তুমি, কালকেই বাবা মাকে বললাম তোমার কথা। আচ্ছা তুমি ঠিক কোন্ বাড়িতে থাকো বলবে প্লীজ। কার সঙ্গে থাকো?”

“থাকি না তো, থাকতাম। তোমার ড্যাড এখন যে পোস্টে আছেন, আমার বাবাও তাই ছিলো। তারপর আমি আর মা চলে যাই। এখন বলতে পারো দেখতে এসেছি পুরনো জায়গা।”

“ওহ্, তাহলে তো নিশ্চয় বাবা চিনবে।”

“আঙ্কেল নাও চিনতে পারেন, বেশ অনেকদিন আগের কথা। তবে হ্যাঁ, অফিস বা এম জে এন হসপিটালের পুরনো স্টাফেরা চিনবেন। আঙ্কেলকে বোলো। পার্থসারথি সিনহা, আমার বাবার নাম। আর একটা কথা। তোমার তো আর্কেওলজিতে ইন্টারেস্ট আছে। তোমাদের বাংলোর পেছনে খালি জায়গাটা খুঁড়ে দেখতে পারো। কিছু পেয়ে যেতে পারো হয়তো। তবে একা পারবে না। তোমার ড্যাডকে বোলো। লোক লাগিয়ে যদি করতে পারেন।”

“ধেৎ, তুমি আবার মজা করছো।”

“না গো, এই আমাকে এখন বেরোতে হবে। তোমার সঙ্গে আর দেখা হওয়ার চান্স কম। আমরা কালই চলে যাচ্ছি।” বলেই প্যাডেলে পা রাখে নিশা।

যেমন ঝড়ের মতো আসা, তেমনই চলে যাওয়া মেয়েটার, ভাবতে ভাবতেই ঝিমলির বাবা মা মন্দিরের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসেন। তোরণের ওপরের ঘরে তখন নহবৎ শুরু হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ শুনে ওঁরা গাড়িতে উঠতেই ঝিমলি বলে, “জানো বাবা, নিশা এখানকারই এক্স-CMOH ডক্টর সিনহার মেয়ে। একটু আগেই আবার দেখা হয়েছিল, তোমরা তখন মন্দিরের ভেতরে।”

“না রে মা, আমি তো ঠিক প্লেস করতে পারছি না।”

“ও বললো সেটা, অনেকদিন আগে নাকি ছিল। বললো তোমার অফিসের পুরনো এমপ্লয়ীরা চিনবেন।”

“বিরাজ, আপনি চিনতেন ডক্টর সিনহাকে?” ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেন হরিশ। বিরাজ CMOH এর সরকারী গাড়ির অনেক পুরনো সারথি।

“ডক্টর সিনহার? পুরো নামটা কী একটু বলবেন স্যার?”

“পার্থসারথি সিনহা।” ঝিমলি উত্তর দেয়।

“ওহ্, সে তো প্রায় পনেরো বছর আগের কথা স্যার। ক্ষমা করবেন কিন্তু খুব বদমেজাজি মানুষ ছিলেন সিনহা সাহেব। চাকরি ছেড়ে দিলেন হঠাৎই। তারপর কোথায় গেলেন কেউ জানে না।”

“পনেরো বছর? কোনো ভুল হচ্ছে না তো বিরাজ? এই ঝিমলি, তুই না বললি নিশা তোর বয়সী।”

“নিশাদিদির কথাও মনে আছে স্যার। সে আমাদের ঝিমলির থেকে অনেকটাই বড়ো। এখানে যখন সাহেবরা ছিলেন, তখনই তো মনে হয় মাধ্যমিক দিয়েছিল। হ্যাঁ, স্যার মেমসাহেব গেছিলেন পরীক্ষার সময় দার্জিলিঙে। ওখানেই কোন বোর্ডিংয়ে থাকতো নিশাদিদি।”

“I think someone is playing a prank on you, Jhimli. Now you know. পরদিন দেখা হলে ওঁকে পাকড়াও করে বাড়িতে নিয়ে আসিস তো। খুব দুষ্টু মেয়েটা।” হরিশ বলেন।

“কিন্তু ও তো আর আসবে না। বললো ঘুরতে এসেছিল, আবার চলে যাচ্ছে।”

“যাচ্চলে। তাহলে আর কী, নিশা কাটিল রে …” মজা করে গেয়ে ওঠেন ডক্টর শ্রীমানী।

 

।। ৩ ।।

ডিনার টেবিলে মেয়েকে গুম হয়ে বসে থাকতে দেখে আবার তাঁকেই বলতে হয়, “কী হলো? আরে, স্কুলটা খুলতে দে, ঠিক আরো অনেক বন্ধু পেয়ে যাবি। And to tell you the truth, আমার মনে হয় না ওর তোর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার কোনো ইচ্ছে ছিল। ও জাস্ট একটু মজা করেছে। Don’t think about her.”

“না, বাবা। সেটা নয়। ও আরেকটা অদ্ভুত কথা বলেছিল।”

“কীরকম?”

“বললো বাংলোর পেছনের জমিটা খুঁড়লে নাকি পুরনো কিছু জিনিসপত্র পাওয়া যেতে পারে।”

“বলিস কি রে! এর কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতেই হয়।”

“আরেকটা খটকা লাগছে বাবা।”

“কী শুনি।”

“ওঁর যা বয়েস তাতে পনেরো বছর আগে কে এখানকার CMOH ছিলেন বা তাঁর মেয়ের নাম কী ছিল সেটা তো জানার কথা নয়।”

“You have a point. Maybe ও হয়তো নিশার ছোট বোন। But that too is a remote possibility. ঠিকই বলেছিস।”

“তুমি বিরাজকাকুকে সোমবার একটা কথা জিজ্ঞেস করবে?” হঠাৎই কী একটা মনে পড়ায় বললো ঝিমলি।

“বল।”

“এই যে নিশা, তাঁর ডান হাতে কোনো জড়ুল বা জন্মদাগ কিছু ছিল কি না?”

“Come on, তোর ঐ মেয়েটার হাতে দেখেছিস সেরকম কিছু?”

“হ্যাঁ, সেজন্যই তো বলছি।”

“সেক্ষেত্রে না থাকারই কথা, ঠিক আছে, তাও জানতে চাইবো।”

 

।। ৪ ।।

সোমবার অফিসে পৌঁছেই ডক্টর শ্রীমানী বাংলোর ল্যান্ড লাইনে ফোন করেন। ঝিমলিই ধরে।

“হ্যাঁ বাবা, বলো।”

“You won’t believe it. Biraj distinctly remembers the birth mark on Nisha’s right arm”, একটু উত্তেজিতই শোনায় হরিশকে।

“কী বলছো?”

“তুই এক কাজ কর। মাকে কিছু বলিস না এখনই, শুধু শুধু প্যানিক করবে। আর তুই আজ বাইরে কোথাও যাস না, At least আমি বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত। আরেকটু খোঁজ নিয়ে দেখি।”

লাইনটা কেটে গেলে আর সময় কাটতে চায় না ঝিমলির। মুজতবা আলীতেও মন‌ বসতে চায় না। বিকেল তিনটে নাগাদ হঠাৎ বাবার অ্যাম্বাসাডর ঢোকার শব্দ পায়। সঙ্গে আরো গাড়ির আওয়াজ। ঝিমলি ছুটে বাইরে আসে। পুলিশ ছাড়াও বেশ কয়েকজন লেবারার এসেছে।

“মা, তুই ভেতরে যা এখন। আমি একটু এঁদের বুঝিয়ে দিয়ে আসছি। আর মাকে বল চায়ের জল বসাতে।” হরিশ বলেন।

ঝিমলি মাকে কথাটা বলে বাইরের বসার ঘরে এসে বসে থাকে। মিনিট দশেক পরে ইন্সপেক্টর চন্দ্রকে নিয়ে ঘরে ঢোকেন হরিশ। ততক্ষণে বিদিশাও চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে হাজির।

“হাসপাতালের একজন পুরনো ফার্মাসিস্ট মাণিকবাবুর এ বাড়িতে যাতায়াত ছিল ডক্টর সিনহার সময়। উনি বললেন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিলো না ডাক্তারবাবুর। ওঁর সামনেই প্রবল ঝগড়াঝাঁটি হয় দু-একবার। এটা শোনার পর কী মনে হতে কলকাতায় ডিপার্টমেন্টে ফোন করে জানলাম মিনিমাম নোটিশ পিরিয়ড সার্ভ করেননি বলে ডক্টর সিনহার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস শুরু হয়েছিল, কিন্তু উনি absconding হয়ে যান, ওঁর বা পরিবারের অন্য কারো আর কোনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি।” চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন হরিশ।

“স্যার, বাকিটা আমি বলি, অবশ্য যদি আপনারা মনে করেন যে ঝিমলির সামনে বলা ঠিক হবে।” ইনস্পেক্টর চন্দ্র বলেন। বিদিশার ইঙ্গিতে ঝিমলি উঠে চলে আসে নিজের ঘরে। সেখানে আবার বাড়ির পেছনে লেবারারদের কথা শোনা যাচ্ছে।

ওদিকে ইন্সপেক্টর চন্দ্র বলতে থাকেন।

“ডক্টর সিনহার শ্বশুরবাড়ি থেকে ওঁর স্ত্রী আর মেয়ে নিশার নামে মিসিং পার্সন কমপ্লেইন লজ করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ তার কোনো সুরাহা করার আগেই তো ডাক্তার নিজেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন। এদিকে এই ঘটনার মাস দেড়েক বাদে এখানকার বছর চব্বিশের একটি মেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। নাম রঞ্জনা বিশ্বাস। মিস্ বিশ্বাস তার তিন মাস আগে এমজেএন হাসপাতালে নার্সের চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটা প্রাইভেট ক্লিনিক জয়েন করেছিলেন।”

“তাহলে বাড়ির পেছনে খুঁড়ছেন কেন আপনারা? মানে কী অ্যান্টিসিপেট করছেন?” হিসেব মেলাতে না পেরে জিজ্ঞেস করেন বিদিশা।

 

।। ৫ ।।

প্রায় একই সময়ে ঝিমলি শুনতে পায় কেউ একজন খুব উত্তেজিত হয়ে বলছে, “চন্দ্র স্যারকে ডাকো, ক্যুইক। এ তো মারাত্মক ব্যাপার।” ঝিমলির ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে পড়ে। ওকে দৌড়ে ঘরে ঢুকতে দেখে বড়রাও একটু হকচকিয়ে যায়। ইন্সপেক্টর চন্দ্র কিছু একটা বলছিলেন, তিনিও থেমে যান।

“কী রে, এরকম দৌড়চ্ছিস কেন?” হরিশ জানতে চান।

“ওঁরা বাড়ির পেছনে কিছু খুঁজে পেয়েছেন। চন্দ্র আঙ্কেলকে ডাকতে আসছে।”

শুনে আর এক মুহূর্ত দেরী না করে চারজনেই বাইরে বেরিয়ে আসেন। ঠিক তখনই খাকি উর্দি পরা একজন কনস্টেবল সামনে এসে ইন্সপেক্টর চন্দ্রকে সেলাম ঠুকে দাঁড়িয়ে পড়ে। 

“কী হয়েছে স্বদেশ?”

“স্যার, একটা কংকাল পাওয়া গেছে, আপনি আসুন স্যার।”

একটা নয়, দু’দুটো নারীকংকাল সেদিন পাওয়া যায় মাটির চার ফুট নীচের থেকে। দুটির মাথাতেই ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। মৃত্যুর সময় এঁদের একজনের আনুমানিক বয়স ছিল চল্লিশের কোঠায়, আর অন্য কংকালটি কোনো নাবালিকার।

লেখক পরিচিতি

সৌগত চক্রবর্তী

 
বাড়ির লোকেদের মতে একমাত্র প্যাশন হলো ঘুম। এতোটাই যে ঘুম নিয়ে একটা আস্ত বই লিখে ফেলেছে। পড়াশোনা নিতান্তই কম, তাই বিতর্ক দেখলেই দূরত্ব বজায় রাখে। মাটন ছাড়া বিরিয়ানি হয়না এই মৌলবাদে বিশ্বাসী। মুদ্রাদোষ: “একটা গল্প বলি শোনো”। অমলকান্তিদের একজন।

Author

Du-কলম

Join the Conversation

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!