সুলগ্না রায়
বঙ্গোপসাগর আমাদের বঙ্গদেশের মাতৃস্বরূপ। নামটাই রাখা হয়েছে সেই বিশ্লেষণে। কবি বলেছেন, ”তটের বুকে লাগে জলের ঢেউ/তবে সে কলতান উঠে”। আমাদের বিস্তীর্ণ তটভূমিও বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে সাগর সীমান্তে। জোরালো কলতানে আছড়ে পড়ছে সমুদ্র — কান পাতলেই শুনতে পাই সেই আওয়াজ। প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বারেবারে ছুটে যাই বিভিন্ন বেলাভূমিতে। আর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সাগর দর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে সমুদ্রতট বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে যেতে শুরু করলেই পরপর পাওয়া যাবে বিভিন্ন sea beach. এগুলির মধ্যে বেশিরভাগই tourist spot, আবার কিছু কিছু আজও অনাঘ্রাতা। আমি যদি মন্দারমনি থেকে যাত্রা শুরু করি, পরপর পাবো তাজপুর, শঙ্করপুর, দীঘা, উদয়পুর, তালসারি, চাঁদিপুর — ক্রমশ বাংলা থেকে উড়িষ্যার দিকে। আর এই সৈকত গুলো প্রত্যেকটিই বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং একে অপরের থেকে আলাদা। মন্দারমনির প্রশস্ত নরম বালুকাবেলার সাথে শঙ্করপুরের মৎস্যবন্দরের চরিত্রগত তফাৎ অনেক। কিংবা দীঘার তরঙ্গমালার সঙ্গে তালসারির শান্ত জলরাশির পার্থক্য।
বৈশিষ্ট্য যেমনি হোক্, সমুদ্রতটে নিজেকে হারিয়ে আবার নতুন করে আবিষ্কার করাটাই শান্তির। সামনে দিগন্ত প্রসারিত অতল সমুদ্র, আর তার সামনে, অতি ক্ষুদ্র, অতি নগণ্য আমি —- মুখোমুখি দুই অসমান অস্তিত্ব —— হে রত্নগর্ভা — তোমার অনন্ত রত্নরাজির কণামাত্র যদি ঈশ্বর আমাকে দিতেন, তোমার গভীরতার এক সহস্রাংশ ও যদি আমার মননে থাকতো, তেমার ওই গর্জনের ব্যাপ্তি যদি আমার মধ্যেও প্রতিধ্বনিত হতো, তাহলে আমি ধন্য হতাম। তোমার সৌন্দর্য, তোমার বিশালতা, বারংবার তোমার সামনে এনে আমায় দাঁড় করায়। তোমার আদিগন্ত তটরেখায় দাঁড়িয়ে এই অতি নগণ্য মনুষ্য সন্তান তোমায় শতকোটি প্রণাম জানাচ্ছে।
Sulagna Roy
M.A. in Economics, B.Ed.
Former Asst. Teacher of a private ICSE school.
Former Headmistress of a private ICSE School.
Read more: লেখিকার অন্যান্য লেখা
Asadharon barnona. Khub valo laglo.
Thanks a lot.
Khub sundar lekha. Monta jeno sei somudro saikat e harie gelo. Jemon sundar bhasa temon guchano lekha. Asadharon