Home বিবিধ, প্রবন্ধ আটটি সহজ উপায় বাড়িকে স্বাস্থ্যকর বানান
বিবিধপ্রবন্ধ

আটটি সহজ উপায় বাড়িকে স্বাস্থ্যকর বানান

সঞ্চারী গোস্বামী মজুমদার


 বাড়ির বাইরে থাকা অনেক সময় আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য  ভালো হয়।  কিন্তু আমরা অনেক সময় একটা জরুরী কথা ভুলে যাই যে বাড়ির ভেতরটাও আমাদের জন্য ততটাই স্বাস্থ্যকর হওয়া প্রয়োজন। তার কারণ হলো আমরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাটাই।  তাই বুঝি তো বাড়ির পরিবেশকে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখা।

 

সুস্থ বাড়ি,সুখী পরিবার

 

 যখনই আমরা আমাদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভাবি তখনই আমাদের মাথায় আসে ভালো খাবার এবং এক্সারসাইজ করার দিকে।   আমরা হয়তো এটা ভেবেও দেখি না যে বাড়ির পরিবেশ ও আমাদের ভালো থাকার জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই এনভারমেন্ট যদি ভালো না হয় তাহলে কতটা খারাপ হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। যদি আপনারা চান যে আপনাদের পরিবার এবং আপনি নিজেও ভালো থাকবেন তাহলে উচিত আমাদের বাড়ির পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া এবং পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর রাখা।  যদি আপনি আপনার বাড়িকে সত্যিই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চান  তাহলে  উচিত কিছু নিয়ম মেনে চলা।  নিচে আমি একে  একে  আটটি উপায় বলবো যাতে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

 

আটটি সহজ ও স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি

 

 আমরা সবাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে কাটাই। তাই এটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি বিষয় যে  কিভাবে আমাদের বাড়িকে  আমরা স্বাস্থ্যকর করে রাখতে পারব। এর মানে হল আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে অনেক বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং প্রায় প্রায় পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের থাকার জায়গাকে পরিষ্কার রাখলে শুধু যে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তা নয় আমরা তার সাথে অনেক বেশি পজিটিভ এনার্জি পাবো যা আমাদের  মনকে ভালো  রাখবে অনেক বেশি। 

 এবার  আমি বলব যে কিভাবে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কে  পরিষ্কার ও বাসযোগ্য করে তোলা যায় :-

 

১. যতটা সম্ভব ধুলো ঝেড়ে রাখুন

ধুলোর কারণে অনেক রোগ হতে পারে যেমন এজমা বা ডাস্ট এলার্জ।  তাই উচিত যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখা।  ধুলো পরিষ্কারের জন্য আমাদের উচিত ধুলো ছাড়া এবং তার জন্য আমরা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারি।  আর বিছানার চাদর প্রায় পাল্টালে  ধুলো জমতে বেশি পারেনা।

 

কেমিক্যাল প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকুন

অনেক সময় অনেক ধরনের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট আমাদের লাসং এর জন্য ভালো হয় না এবং তা আমাদের বাড়ির বাতাসকে কলুষিত করে। তাই আমাদের উচিত পরিষ্কারের জন্য স্পিরিট ভিনিগার বা সোডা বাইকার্বনেট  খুব ভালো পরিষ্কারের কাজে আসে এবং আমাদের বা আশপাশের কোনোরকম ক্ষতি করে না।

 

. অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন

আকোয়ারিয়াম রাখলে  ঘরের শোভা যেমন বাড়ে তেমনই  এটা আমাদের রিল্যাক্স অ্যাপীল করায়।  এটা বলা হয় যে মাছদের সাঁতার কাটতে দেখে অনেকেই আনন্দ পান আর তার কারণে ব্লাড প্রেসার এবং হার্ট রেট কমতে অনেকটা  সফল হয়।

 

. খাওয়ার কাচের পাত্রে রাখুন

প্লাস্টিকের তৈরি খাবার রাখার পাত্র আমরা অনেক বেশি দেখতে পাই এবং ব্যবহারও করে থাকি।  কিন্তু এই প্লাস্টিক খুব একটা ভালো নয়।  প্লাস্টিকে যে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকে সেটা অনেক সময় খাবারের সাথে মিশে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে।  কাঁচের পাত্রে সে ভয় নেই আর আমরা যতবার চাই ব্যবহার করে যেতে পারি এবং পরে বারবার পরিষ্কারও করতে পারি।

 

. রোজ সকালে বিছানা তুলুন

সকালবেলা রোজদিন বিছানা গোছালে  ঘর শুধু পরিষ্কারই হয়না এটা বলা হয় যে এতে রাতে অনেক বেশি ভাল ঘুম আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই রোজ সকালে বিছানা ভালো করে পরিষ্কার করে গুছিয়ে  তুলে রাখুন।

 

ঘরের দেওয়ালে রং করুন

রং এর ওপরে আমাদের মুড অনেক সময় নির্ভর করে।  তাই আমাদের উচিত খুব চিন্তা করে ঘরের দেওয়ালে রং বাছাই করা।  প্রকৃতির সুন্দর রঙ গুলোকে আমরা বেছে নিয়ে যদি আমাদের ঘরে লাগাই তাহলে আমরা অনেক বেশি ভালো ও রিল্যাক্স ফিল করব।

 

৭.  প্রকৃতির  সাথে  যোগস্থাপন করুন

আমরা প্রত্যেকেই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।  আমরা চাই বা না চাই আমাদের সবকিছু প্রকৃতির সাথে যুক্ত।  তাই এই ব্যাপারটাও কিছু আলাদা নয়। প্রকৃতির সবথেকে বড় দান গাছ।  আর এই গাছ লাগালে আমাদের অনেক রকম উপকার হবে।  আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেতে পারি ঘরে বসেই।  এবং গাছ আমাদের বাড়ির বাতাসকে পলিউশন ফ্রী করতে সাহায্যও করে।  ফাইনাল আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বাড়ির বাইরে এবং ভেতরে গাছ লাগানো।

 

অযথা লাইট ব্যবহার করবেন না

লাইট আমাদের বাড়িতে সুন্দর  দেখাতে এবং  উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।  কিন্তু বেশি উজ্জ্বল লাইট  ব্যবহার করলে আমাদের বাড়ির  পরিবেশের  জন্য এবং আমাদের নিজেদের শরীরের জন্যেও  সেটা খুব একটা ভালো হবে না। লাইট ঘরের পরিবেশকে গরম করে দেয় এবং ঘুম আসতে খুব অসুবিধা হয়। তাই  উচিত শুধু দরকারি জায়গায়  প্রয়োজনেই লাইট ব্যবহার করার অযথা করাটা  উচিত নয়।

আমরা জানি প্রত্যেকের জীবন এবং থাকার জায়গা একে অন্যের থেকে আলাদা হয়। কিছু সমস্যা এমনও থাকবে যাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবনা ।  কিন্তু তাও আমি বলব যে আমাদের ঘরের পরিবেশ কি আমরা সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখতে পারি যাতে করে সেই জায়গাটা আমাদের থাকার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।  আশা করি এই আটটি উপায় অনেকটাই সাহায্য করবে বাড়িকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে।

 



লেখিকা পরিচিতি

Sanchari Goswami Majumdar

Loves to teach and practice dance. Likes to read books.

 

 

 

 


 

Author

Du-কলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!