পর্ব – ২
সমরেশ বসু সৃষ্ট ক্ষুদে গোয়েন্দা গোগোল, প্রথম রহস্যভেদ করেছিল মাত্র ছয় বছর বয়সে। বাবা মার সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে ‘ইঁদুরের খুটখুট’ গল্পে ভ্যানের মধ্যে খুটখুট আওয়াজ শুনে ধরিয়ে দিয়েছিল ডাকাতদের। সেই শুরু গোগোলের রহস্যভেদের। তার শিশু মনের দুরন্ত কৌতূহল, আশপাশের ব্যতিক্রমী ঘটনাবলীতে তীক্ষ নজর তাকে গোয়েন্দা হতে সাহায্য করেছে। দিনে দিনে তার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতাও বেড়েছে, কিন্তু তার অনুসন্ধিৎসু মনের বদল হয় নি। ‘টেলিফোনে আড়িপাতা’ গল্পে টেলিফোনে ক্রস কানেকশনের মাধ্যমে সে একজনকে খুনের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে, তাকে বাঁচাবার জন্য যে ঝুঁকি সে নিয়েছিল, যার জন্য তাকে অপহরণ পর্যন্ত করা হয়েছিল, তবুও হার না মেনে সেখান থেকে পালিয়ে এসে একক প্রচেষ্টায় সে সেই ভদ্রলোককে বাঁচাতে পেরেছিল। মা বাবার সঙ্গে পুরী বেড়াতে গিয়ে সে জড়িয়ে পড়েছিল এক খুন কান্ডে ‘সোনালী পাড়ের রহস্য’তে। এখানেই তার পরিচয় হয়েছিল গোয়েন্দা অশোক ঠাকুরের সঙ্গে—সমরেশ বসুর আর এক গোয়েন্দা চরিত্র, যে তাকে সেই বিপদে সাহায্য করেছিল। ‘রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যা রহস্য’ উপন্যাসে গোগোল জীবন ফিরে পেয়েছিল, এই অশোক ঠাকুরের জন্যই।
শুধু মাত্র বালকই বা কেন- রহস্য কাহিনীতে কিশোর কিশোরীদেরও আবির্ভাব ঘটেছে গোয়েন্দারূপে।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর নাতনী নলিনী দাশ ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্ব হাতে নিয়ে লিখেছিলেন চার কিশোরী গোয়েন্দার কাহিনী ‘গণ্ডালু’। একসঙ্গে হোস্টেলে থাকে, একই স্কুলে পড়ে এমনই চারজন কিশোরী – অসমসাহসী কালু, কল্পনাপ্রবণ মালু, খেলোয়াড় কিন্তু ভীতু বুলু, আর ওদের অ্যাডভেঞ্চার অভিযান কাহিনী কথক টুলু, যখনই কোন রহস্যের সন্ধান পায় তার সমাধান করে। একসঙ্গে তাদের সবাই বলে গোয়েন্দা ‘গন্ডালু’। তাদের সকলেরই একটা করে ভালো নাম আছে ঠিকই, তবে সে নামে তাদের কেউই প্রায় চেনে না। মধ্যপ্রদেশ বেড়াতে গিয়ে রাণী রূপমতীর পুতুলের আড়ালে যে চলছে সোনা পাচার, তা গন্ডালু ধরে দেয় ‘রাণী রূপমতীর রহস্য’ গল্পে। গভীর রাতে, রাস্তা ছেড়ে খোয়াই দিয়ে ট্রাকগুলো কোথায়ই বা যায় আবার শেষ রাতে ফিরেই বা আসে কেন ‘খোয়াই রহস্য’ কাহিনীতে ভেজাল কারবারের ঘাঁটি আবিষ্কার করে তার সমাধান তারাই করে দেয়। হিমাচল প্রদেশের সিমলায় এক প্রদর্শনীতে নকল ছবি রেখে আসল ছবি চুরির, এক আন্তর্জাতিক দুষ্টচক্রকে হাতেনাতে ধরে দেয় ‘সিমলার মামলা’ কাহিনীতে। ‘শিখর রহস্য’ কাহিনীতে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এক সৌরশক্তি গবেষকের গবেষণালব্ধ ফল দুষ্কৃতিদের হাত থেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয় সেই গবেষকের হাতে।
কিশোররাও কিন্তু রহস্য অভিযান থেকে পিছিয়ে নেই। ষষ্টীপদ চট্টোপাধ্যায় ‘ফেমাস ফাইভ’ অনুসরণে তার ‘পান্ডব গোয়েন্দা’ সিরিজে এনেছেন পাঁচ কিশোর কিশোরীকে- বাবলু, বিলু, ভোম্বল আর দুই কিশোরী, বাচ্চু, বিচ্চু। তাদের সঙ্গ দেয় এক দেশী কুকুর ‘পঞ্চু’। দুঃসাহসী পান্ডব গোয়েন্দা কখনো নিজেরাই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে, আবার কখনো কারো সাহায্যার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদের মুখে। ভারতের বিভিন্ন শহরে এই দল গোয়েন্দাগিরি চালায়। এছাড়াও এই লেখকের ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’ নামে আরো এক গোয়েন্দা কাহিনী আমার খুব পছন্দের। এই কাহিনীতেও কিশোররাই রহস্য সমাধান করে। মুল্যবান এক গণপতি মূর্তি হাতে আসার পর গল্পের গোয়েন্দারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ বিপদসংকুল পথ অতিক্রম করে অনেক বাধাবিঘ্ন পার হয়ে উত্তর প্রদেশের টনকপুর হয়ে পৌঁছেছিল কৈলাস মানস। সেখানেই আসল মালিকের হাতে গণেশ তুলে দিয়ে তারা নিশ্চিন্ত হয়েছিল।
আমার পড়া ফ্রান্সিস এক অন্যরকম চরিত্র। তাকে ঠিক গোয়েন্দা বলা যায় না। তবে তার সমুদ্র অভিযান কাহিনীগুলি অবশ্যই আমাকে রোমাঞ্চিত করে। লেখক অনিল ভৌমিকের দ্বারা মধ্যযুগীয় পটভূমিতে রচিত এই কাহিনীগুলির ভাইকিং নায়ক একাধিক ভাষা জানা ফ্রান্সিস, ঘরে থাকতে পারে না। প্রাচীনকালে ভাইকিংরা মূলত জলদস্যু বলে পরিচিত হলেও, ফ্রান্সিসের সময়কালে তারা কিন্তু আর জলদস্যু নয়, বরং বীর যোদ্ধা হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছে। অজানাকে জানার নেশায় বারে বারেই সে জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সমুদ্র অভিযানে, দিগ্বিদিকে, একদল দুদ্ধর্ষ জাহাজী – হ্যারি, বিস্কো, শাঙ্কো, পেড্রোদের নিয়ে। বহুবার কারাবন্দী হলেও বুদ্ধিবলে বা শক্তিবলে তারা সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তার কাহিনীগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সোনার ঘন্টা’, ‘হীরের পাহাড়’ ‘মুক্তোর সমুদ্র’, তুষারে গুপ্তধন’, ‘রূপোর নদী’ ইত্যাদি রোমাঞ্চকর অভিযান। অজানা কোনখানে যদি সে কোন সোনাদানা বা গুপ্তধনের সন্ধান পায় নির্লোভ, বন্ধুবৎসল ফ্রান্সিস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো সবই বিলিয়ে দেয়। অনিল ভৌমিকের লেখা ‘সর্পদেবীর গুহা’ ও ‘সোনার শেকল’ রহস্যজালে মোড়া আরো দুই উপন্যাস।
প্রখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় অজ পাড়াগাঁয়ের ছেলে শঙ্কর, এমনই এক চরিত্র যে ভালবাসত ভূগোল বই পড়তে আর পৃথিবীর ম্যাপ দেখতে। তার ইচ্ছে সে একদিন দেশ বিদেশ অভিযানে যাবে – তবে স্থলপথে। তাই যখনই তার সু্যোগ এলো সে দেশ ছেড়ে পাড়ি দিল আফ্রিকায়, ‘চাঁদের পাহাড়’ কাহিনীতে। তারপর কত ভয়ঙ্কর জীবজন্তু, বিষাক্ত সরীসৃপ, সেখানের আদিবাসীদের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল – অবশেষে সে দেশে ফিরতে পেরেছিল অনেক বিপদসঙ্কুল পথ পার হয়ে।
এসময়ই আমি বেশ কিছু ইংরাজী রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনী পড়েছিলাম –আর্ল ষ্ট্যানলি গার্ডনারের ‘পেরী ম্যাসন’, আগাথা ক্রিস্টির ‘এরক্যুল পোয়ারো’, ‘মিস্ মার্পল, এবং জেমস হেডলী চেজ। আইনজীবী গোয়েন্দা পেরী ম্যাসন আদালতে ক্রস এগজামিনেসানের মাধ্যমে কেসের সমাধান করতেন। পোয়ারো অকুস্থল পর্যবেক্ষণ ও জবানবন্দী বিশ্লেষণ করে সমাপ্তিতে পৌঁছতেন, বর্ষিয়সী নারী গোয়েন্দা মিস্ মার্পল ঘরে বসে উল বুনতে বুনতে বর্নণা শুনে সমাধানে পৌঁছতেন। গোয়েন্দা থ্রিলার, স্পাই থ্রিলার, রহস্যধর্মী অ্যাকসান থ্রিলার, রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন জেমস হেডলী চেজ। তবে তার ‘নো অর্কিড ফর মিস্ ব্ল্যানডিস’ এর এমন দুঃখজনক পরিণতি, এমন বিষন্ন সমাপ্তি মেনে নিতে আমার কষ্ট হয়েছিল, আর আমার মনটাও তার জন্য ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল।
এরপরেই আসে নারায়ণ সান্যালের কল্প চরিত্র ব্যারিষ্টার বাসু বা প্রসন্ন কুমার বাসুর নাম। ব্যারিষ্টার বাসু যেন পেরী ম্যাসনের ছায়া। পঙ্গু স্ত্রী বুদ্ধিমতী রাণুকে নিয়ে তার সংসার। আদালতে তার কাছে কোন কেস এলে তিনি ভালো করে সেই কেস হিস্ট্রী পর্যালোচনা করে প্রথমে অপরাধীকে মনে মনে সনাক্ত করে নেন, তারপর অপরাধী বলে যাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে, অথচ আদতে সে অপরাধী নয়, তার হয়ে যুক্তি তর্কের জাল বিস্তার করে, সওয়াল জবাব করে, আসল অপরাধীকে ধরিয়ে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। তবে শুধুমাত্র কোর্টরুমেই তার গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকে না, সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তিনি যথেষ্ট ছোটাছুটিও করে থাকেন। তাকে এই কাজে সাহায্য করে স্বামী স্ত্রী –কৌশিক ও সুজাতা। নারায়ণ সান্যালের সব রহস্য কাহিনীই রয়েছে তাঁর কাঁটা সিরিজে, যেমন- ‘সোনার কাঁটা’, ‘অ-আ-ক খুনের কাঁটা’, ‘কুলের কাঁটা’ ‘ঘড়ির কাঁটা’। তবে তাঁর কোনো কোনো কাহিনীতে আগাথা ক্রিস্টির ছায়া বেশ ভালোই নজরে আসে। তাঁর প্রথম রহস্য রচনা ‘নাগচম্পা’য় ব্যারিষ্টার বাসুর আবির্ভাব হলেও এই বইটিকে তিনি কাঁটা সিরিজের মধ্যে জায়গা দেননি। ‘অশ্লীলতার দায়ে’ তার আরো একটি রুদ্ধশ্বাস রহস্য কাহিনী।
‘উলঙ্গ রাজা’র কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যে এত ভালো রহস্য কাহিনী লিখতে পারেন তাঁর ‘ভাদুড়ী মশাই’ না পড়লে আমি জানতেই পারতাম না। CBI এর এক সময়ের আধিকারিক চারুচন্দ্র ভাদুড়ী অবসর গ্রহণের পর একটি প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা তৈরী করেছেন। তার সদর দপ্তর ব্যাঙ্গালোর। সেখানে তার ভাগ্নে কৌশিক তাকে সাহায্য করলেও প্রকৃতপক্ষে ভাদুড়ী মশাইয়ের সহকারী হলেন তাঁর যুবাবয়সের পরিচিত কিরণবাবু, যাঁর বয়ানে আমরা কাহিনীগুলির সঙ্গে পরিচিত হই। বর্ষীয়ান গোয়েন্দা, ভাদুড়ী মশাই ক্রসওয়ার্ড পাজল সমাধান করতে ভালোবাসেন। মহেশমুন্ডার কৃষ্ণমূর্তির সোনার মুকুট কিভাবে চুরি হয়, টায়ার ফাটিয়ে কেন গাড়ীর আক্সিডেন্ট ঘটানো হয় বা দেরাদুনে ধনী মহিলার কি হয় এসবেরই সমাধান রয়েছ ভাদুড়ী মশাইএর কাছে। তার রহস্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘তুষারে রক্তের দাগ’, ‘বিগ্রহের চোখ’, ‘ভোর রাতের আর্তনাদ’।
কৃশানু বন্দোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা চরিত্র বাসবের সহকারী শৈবাল একজন ডাক্তার হলেও সে প্রায় সময়ই অনুসন্ধানে বাসবের সঙ্গে থাকে। সওয়াল জবাব ও তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তির মাধ্যমে রহস্যের সমাধান করেন বাসব – তার প্রতিটি কাহিনীর মধ্যেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। আমি এখানে তার মাত্র দুটি গল্পের কথাই বলবো। ‘শ্রীমতী বহুবল্লভা’ গল্পের শুরুতেই একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায় – পুলিশও পারে না তার পরিচয় বার করতে। সেসময়ই আগমণ বাসবের। তারপর সে শুধু সেই মৃত ব্যক্তির পরিচয়ই নয়, তার অপরাধীকেও খুঁজে বার করেন। ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্স’ এক প্রখ্যাত ব্যবসায়ীর রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কাহিনী। তার পরিবার যখন কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না, তখন বাসবই প্রথম সন্দেহ করেন যে তিনি হয়ত আর বেঁচে নেই। অবশেষে বাসব তার ধারণার সত্যতাই শুধু প্রমাণ করেন না, কিভাবে মৃতদেহ লোপাট হয়েছে তাও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেন।
‘একেন বাবু’ অর্থাৎ একেন্দ্র সেনের সৃষ্টিকর্তা সুজন দাশগুপ্ত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী। নিতান্ত নির্বিবাদী, গোলগাল, ভোলেভালা, ভুল হিন্দি বলা, অথচ তুখোড় গোয়েন্দা – একেনবাবুকে অন্যদের থেকে একেবারেই স্বতন্ত্র করে তুলেছে। ভারতের সঙ্গে সঙ্গে একেনবাবু আমেরিকার ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গেও কাজ করেছেন। আমেরিকায় তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেখানে তার সঙ্গে থাকে প্রমথ ও বাপিবাবু। এদের সঙ্গে নিয়েই একেনবাবু রহস্য সমাধানের জন্য নানা জায়গায় যান, যদিও ঘুণাক্ষরেও তাদের বুঝতে দেন না সেখান থেকে তিনি কোন্ সূত্র পেলেন। সমাধান শেষে যখন তিনি সবকিছু তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেন তখন তারা বুঝতে পারে কোথা থেকে কোন সূত্র তিনি পেয়েছেন। বাপিবাবু তার কাহিনীগুলো লিখে রাখেন। তার কাহিনীর মধ্যে রয়েছে ‘ম্যানহাটানে মুনস্টোন’, ‘ঢাকা রহস্য’, ‘ম্যানহাটানে ম্যানহান্ট’ ‘বর্মনবাড়ির রহস্য’ ইত্যাদি।
আজ এই গোয়েন্দা বা রহস্যান্বেষীরা সকলেই অতীত হয়েছেন। তবে এসে গেছে এদের পরের প্রজন্ম। তাই রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনী কখনোই থেমে থাকেনি, এগিয়ে চলেছে নিজের মত করেই।
২য় পর্ব সমাপ্ত
গোপা মিত্র
ফিজিক্স অনার্স। এক সময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও, প্রকৃতপক্ষে গৃহবধূ – কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষে। ভ্রমণের নেশা প্রবল। ভারতের বাইরে কোথাও না গেলেও দেশের মধ্যেই প্রচুর ঘুরেছেন। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থান – কোনোওকিছুই বাদ নেই। এখনও সুযোগ সুবিধে হলেই বেরিয়ে পড়েন। দু-কলমের জন্যে জীবনে প্রথমবার কলম ধরা।
খুব ভালো হয়েছে
ধন্যবাদ ।
অনেক ধন্যবাদ ।