হেমন্তের হাত ধরে ফিরছে সে ঘরে। ঘাসে ঘাসে শিশির বিন্দু দিল ছড়িয়ে। সপ্ত অশ্বারোহীর প্রথম আলোয় ভিজে মিশে গেল তারা মায়ের কোলে। সবুজ আঁচল, শিউলি ফুলের মালা একে একে সব হলো তার খোলা। নতুন সাজ, নতুন বসন পরবে এবার তাই নিল একটু বিরতি, এবার যে তার হিম সাজ নেওয়ার পালা। আঁকাবাঁকা শূন্যপথে হিমের হাতছানি আর তার শীতল পাপড়ি ঠোঁটে ভালোবাসার দু-এক বাণী। রাত গভীর, শীতলতাও গভীর, দুরু দুরু ব্যাকুল মন। পায়ে তার শুকনো পাতার নুপুর, বাজে দিবারাত, ভেসে ভেসে যায় বহু দূর। কুয়াশার চাদর গায়ে তার, পাহারায় বসে শশী অপলক শুধু তারই পানে চায়। সাথে রাত জাগা অজানা পাখির সুর…আহা! সব মিলেমিশে কি অপরূপ সাজে সেজেছে সে। চোখে চোখ, হাতে হাত, নিস্তব্ধে কেটে যায় সারারাত।
ঐ যে সূর্যের প্রথম আলো তার সাদা আঁচল বেয়ে পড়ে, লাজে রাঙ্গা মুখ গলেই চলে। তার আগমনের আনন্দে অরণ্যে অরণ্যে বনভোজনে কারা যেন মেতেছে। অচেনা পরিযায়ী ভিড় করেছে তারে দেখবে বলে।
অসহ্য দাবদাহ বয়ে আনা প্রভাকরও আজ তার রূপে নিস্তেজ, ম্লান। আবছা চোখে ঢুলে ঢুলে দেখে তারে। আনন্দ স্রোত বয়ে যায় মন ছুঁয়ে।
আসছে, সে আসছে হেমন্তের হাত ধরে সে ফিরে আসছে। আরেকটু কাছাকাছি আরেকটু আবেগে ভাসাতে সে আসছে …