প্রদীপ দে
গতরাত ৫ই নভেম্বর ২০১৮ ছিলো সেই রাত। ব্যথা ভরা মনে ক্ষেতের ধারে আলের উপর বসে ছিলাম। গ্রামের কিশোরেরা কালী পূজার প্যান্ডেল বানাচ্ছিলো আর বাজী ফাটাচ্ছিলো। অন্ধকারে আলোর রোশনাই ,সঙ্গে তুবড়ি,হাউইয়ের আওয়াজে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।
২০০৮-এর ঠিক এই ভূত চতুর্দশী রাতেই ওরা দুজন আমাকে একা করে চলে গেছিলো। ছেলে বায়না ধরে ছিলো বাজী কেনার জন্য। সেই নিয়েই অশান্তি চরমে ওঠে। পয়সা না থাকায় যা হয়। নীলিমার দোষ ছিলো না। কতো কষ্ট সহ্য করা যায় ! বিয়ের পর থেকে আবার ছেলে রোহিত আসার পরেও একই অবস্থা, চলছে তো চলছেই। সব বিশ্বাস ধৈর্য্য হারিয়ে আমি ওদের গায়ে হাত তুলেছিলাম সেদিনই, যা জীবনে কোনোদিন করিনি। আর সেটাই কাল হলো। সব শেষ হয়ে গেলো। নীলিমা রোহিতকে নিয়ে চলে গেলো দুনিয়া ছেড়ে। ওরা যে আমার উপরেই ভরসা করে বেঁচে ছিলো।
আজ ঠিক সেই রাতেই বাজির আগুনে যখন চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো ভরা মনে হঠাৎই দেখলাম আর অবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম নীলিমা! রোহিতকে নিয়ে সেই বাজির রোশনাই দেখছে। ছেলেটা আনন্দে নাচছে। নীলিমা ওর হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে আছে। যদি হারিয়ে যায় অথবা আমার কাছে চলে আসে।
~ সমাপ্ত ~