অঞ্জন বসু চৌধুরী
মা শব্দটি বহুল ও বিস্তৃত। এর কোনো শেষ নেই। আমাদের অস্তিত্ব মা এর থেকেই প্রাপ্য। মায়ের ঋণ শোধ করা যাবে এমন চিন্তাধারার ব্যক্তি সমাজে মূর্খ বলেই বিবেচিত। সত্যি বলতে কি এমন চিন্তা করাই পাপ। যার জন্যে আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি, যার আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শিখেছি, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষয়িত্রি যিনি তার নিজের সন্তানদের জন্যে প্রাণ ও বিসর্জন করতে পারেন , নিজে অভুক্ত থেকে ও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন সেই মা কে কি কোনো ভাবে কষ্ট দেওয়া উচিত!!
আজকাল সন্তানরা বড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠিত হলে অনেকসময় পরিস্থিতির চাপে মা কে ভুলে না গেলেও হয়েতো মা কে নিজের বাড়িতে রাখা সম্ভব হয় না তাই মায়ের ঠিকানা হতে হয় বৃদ্ধাশ্রম।
ছোটবেলায় কোনো কারণে মায়ের অনুপস্থিতিতে তারই ছেড়ে রাখা শাড়িতে মায়ের গায়ের গন্ধ অনুভব করা আমরা অনেক ক্ষেত্রে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে মায়ের খেয়াল রাখতেও ভুলে যাই। প্রকৃত শিক্ষিত আমরা সেদিনই হবো যেদিন মা কে আমরা যোগ্য সম্মান দিতে পারবো।
অঞ্জন বসু চৌধুরী
কর্মাসে স্মাতক ও এম বি এ পাস করে চাকুরি জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও গান এবং গল্পের বই পড়া অঞ্জন বসু চৌধুরীর অন্যতম নেশা। এক সময়ে অসম্ভব সুন্দর মাউথ অরগ্যান বাজাতেন।