মধুশ্রী দাস
ফুরিয়ে যাবার মুহূর্তে
তোমাকে দেখবার ইচ্ছে একবার,
ঠিক যেমন নিভু নিভু রোদ
শীতের ঘাস ছুঁয়ে বলে যায়
বেঁচে থাকো…
তেমন করেই
বালির ঘর ছুঁয়ে সমুদ্র বলে গেছে-
ভালো থাকো…
বেঁচে থাকো…
বেঁচে আছিই তো,
কেমন ঘর সাজিয়েছি দেখে যেও!
জানলার পাশের ছাতিম গাছটা
এখন আমার ছায়া সাথী |
আদুল গায়ের ধুলো মাখা ছেলেগুলো
আমার একমুঠো পৃথিবী,
ওদের খুনসুটি দেখতে দেখতে
বিছানা নোঙরা করে ফেলি জানো তো!
ইস্, কি যে লজ্জা করে…
এক একটা ঘুড়িতে মনে মনে
লাল নীল ইচ্ছেগুলো লিখে দিই,
কেমন তরতর করে উড়ে যায় ওরা-
আমিও তো উড়ি ওদের সাথে…
শরীরটা কি হাল্কা লাগে, জানো !
ঐ বোধ হয় এল হারানের মা
উঁকি মেরে আগে দেখবে আমায়
তারপর ভাঁড়ার ঘরে ঢুকে
কোঁচড়ে চাল ভরবে লুকিয়ে |
এই লুকোচুরি গুলোয়
ভারি মজা লাগে জানো !
এখন আমি ঘুমোনোর ভান করব,
তোমায় পরে সব বলবক্ষণ
এসো কিন্তু তুমি…
মধুশ্রী দাস।
একটি স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা। গানে, গল্পে, কবিতায় যাদের মুক্তি, আমি তাদেরই একজন। সবচেয়ে বেশী যা আমায় আনন্দ দেয়, তা হলো রঙ। তাই চারপাশের মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর রংটা খুঁজে নিতে বড় ভালো লাগে।
valo laglo