সাগ্নিক ভট্টাচার্য
এষা, চিনতে পারছ আমায়?
মনে আছে দেখা হয়েছিল সেইবারের বইমেলায়?
দিয়েছিলে সেই গমগমে স্টেশনে এক টুকরো নিস্তব্ধ,
শুনেছিলাম ভিড়ের মধ্যে বাড়ি ফেরার শব্দ।
এষা, চিনতে পারছ আমায়?
সেই শীতের সন্ধ্যায়ে হারিয়েছিলাম প্রথম দেখায়।
তোমার ঠোঁটের কোণায় লেগে থাকা আলত হাঁসিতে রাস্তা খুজে পেলেও,
এত বছরে এখনও হয়নি আবার মুখোমুখি হওয়া,
এখনও হয়নি তোমার ফোন নাম্বার চাওয়া।
এষা, চিনতে পারছ আমায়?
পিয়ানোর সুর থামবে না বলেও থেমে একদিন যায়,
ভিড়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া রাস্তা
আবার একদিন ধুলোয়ে মিশে যায়।
কিনেছিলে সেইদিন বইয়ের সঙ্গে এই মনও,
বই আগলে রাখলেও, নাওনি এই মনের যত্ন।
এষা, চিনতে পারছ আমায়?
লিখেছিলে চিঠি আমার ঠিকানায়,
বলেছিলে দেখা হবে বসন্তের চিরনতুন ছায়ায়।
দমকা বাতাশ কত বসন্ত নিয়ে পালিয়ে গেল,
চোখের সমুদ্রে ডুব দিয়েও মন শূন্য হাতে ফিরে এলো।
এষা, চিনতে পারছ আমায়?
প্রতি শীতে মনে হয়, এই বুঝি দেখা হল বইমেলায়।
কিন্তু, তোমার শহরে শীত কখনও আসে না,
হয়তো, তোমার শহরে সূর্য মেঘকে ভালোবাসে না।
জানি তোমার শহরে বইয়ের মধ্যে স্বপ্নেরা বাসা বাধে না,
হয়তো, তোমার শহরে মনের তেষ্টা ভালোবাসায় ভরে যায় না।
তুমি যে এসেছিলে তৃষ্ণা মেটাতে,
চলে গেলে কেন হাজারগুন বাড়িয়ে?
এষা, চিনতে পারছ আমায়?