আশীষ দাস
ঐ দেখ যুগ পরিবর্তনের সাথে
হৃদয়ে দৃষ্টির পরিবর্তনের প্রবাহমাত্রা বিবর্তমান।
মানব ভাবনার ক্রম শৈথিল্যরত
ক্ষণকাল মানব মনমানের দিক পরিবর্তন বিদ্যমান।
কত শত মনন চিন্তা বাহিত হয়,
অন্তর সত্ত্বাকে বিদ্যমান রাখিতে।
তবু অন্তর কলরব বাহিতে বিরত নারি।
আজি জাগিছে সকলই জ্বালার অন্তর্নিহিত সুপ্তাবস্থা।
ভাঙিছে সকলই অহং ক্ষমতার ক্ষমতা
হয়েছি সবই মিলে একাকার,
ভুলেছি সব ভেদাভেদ, ভাবিছে বাঁচার তাগিদের ভাবনা,
ভুলিছে সব ভেদাভেদ ওরা।
ওগো তোমরা যেওনা আজ, অন্তরদুয়ার ভাঙিয়া।
আজই মোরা দৃষ্টির ইতিহাসে উল্লিখিত।
হাসি কান্নার পূর্বাহ্ণে বিলাসিতার মূর্চ্ছিত
পদোল্লাসের কল্লোলধ্বনিত শবদেহের প্রবাহমান শোনিতধারা।
ওগো মোরা নই একত্রিত সব,
কেবলই হবে সেদিন সব অবসান।
শিখিব নতুন পাতার পড়াখানি,
এসো সকলি মিলে আজ মুক্ত কন্ঠে করি রব,
সবে মিলে চাহি বাঁচিবারে এ প্রার্থনা।
নেই যার কোনোও আকার
বলি তাঁরে ভগবান,
ডাকি তাঁরে অন্তর্নিহিত আত্মা হতে,
চরণ স্পর্শ করি সেই আকারহীন মহাশক্তির।
চল যাই একস্থানে মিলি ভগবানেরই দৃষ্টিপানে চেয়ে।
এসো বিশ্বালয়ের দরবারে বসি একলে,
বুলিতে বলি কোথা হতে কোথা যাই চলি।
আত্মাবলে আত্মশক্তি, সৃষ্টিবলে দৃষ্টিশক্তি,
কিরণের সাথে কিরণ হয়ে চলি।
আজ মোরা করি কত কানাকানি,
ভবানীর কানে ধান ভানি,
শান্তির ভাবনার ভনিতায় ভানি,
চিরসত্যেরে করি অপমান,
দুষিতে নারি, নিজেরে করি অপমান।
ভাবনার অকপটে কহি ঈশ্বরে,
বলি দিতে নারি এ বিশ্বালয়ে।
বিশ্বরণের অশ্রুধারায় সিক্ত পদতল,
মুক্ত হতে গাঙের জলধারে
বাঁচিবারে পথ দেখাও ওদের
নেই যাদের কোনোও ভাবনার পথপ্রদর্শক।
(রচনাকাল : ৩১/১০/২০১৮)