কাশ্মীর
।। প্রথম পর্ব ।।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, “রাখে হরি মারে কে”। আমার জীবনে বলা যায়, এমনই একটা ঘটনা ঘটেছিলো – যার কোনোও ব্যাখ্যা আজও আমি খুঁজে পাইনি। কিন্তু সে কথা বলতে গেলে স্মৃতির সরনী বেয়ে আমায় পিছিয়ে যেতে হবে অনেক, অনেকগুলো বছর আগে – ১৯৭৩ সালে।
এর পটভূমি কাশ্মীর তথা শ্রীনগর। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যায় আমরা ছজন এসে পৌঁছলাম জম্মু তাওয়াই – আমি, আমার স্বামী কল্যাণ, তার দুজন অফিসের সহকর্মী – অজয়দা আর অসিতদা, দুজনেই সস্ত্রীক। এই সময়ে শ্রীনগর যাত্রা করা যাবে না। আমরা আশ্রয় নিলাম ওয়েটিং রুমে।
পরদিন বাসে বানিহাল টানেল পেরিয়ে আমরা পৌঁছলাম শ্রীনগর। ২.৮৫ কিলোমিটার লম্বা বানিহাল টানেল বা জহর সুড়ঙ্গ ১৭৯০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পীরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণীর মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত হয়ে জম্মু এবং শ্রীনগর যুক্ত করেছে। এখানে রয়েছে দুটো সমান্তরাল সুড়ঙ্গ – একটা যাওয়ার ও একটা আসার। সুড়ঙ্গের ভেতরে রয়েছে চমৎকার আলোকব্যবস্থা ও আপৎকালীন টেলিফোন সংযোগের সুবিধা। আর রয়েছে সর্বক্ষণের জন্যে টহলদারী সৈন্যবাহিনী। সব গাড়িকে এর মধ্যে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট গতিবেগে চলতে হবে, গতি বাড়ানো-কমানো চলবে না। ভেতরে কোনোওরকম ছবি তোলা নিষিদ্ধ। এ এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা। নিশ্চুপ সকলে বসে আছি, আমাদের বাসযাত্রা উপভোগ করছি।
কলকাতা থেকে হাউসবোট বুকিং করা হয়েছিলো। আমরা ছজন এসে পৌঁছলাম, ডাল লেকের উপর অবস্থিত সেই হাউসবোট ‘প্যাগুমা (Pagooma)’-য়। বোটে রয়েছে তিনটি ফার্নিশড ডবল বেডরুম, প্রত্যেকটিতেই অ্যাটাচ্ড্ বাথ, একটি সুসজ্জিত ড্রয়িংরুম, একটি ডাইনিং রুম ও সামনে একটি ছোট্ট ব্যালকনি – সেখান থেকেই সিঁড়ি উঠে গেছে ছাদে – সেখানেও রয়েছে বসার ব্যবস্থা। তবে কোনোও রান্নার ব্যবস্থা নেই। রান্না ওরা (হাউসবোটের মালিক) ওদের বাড়িতেই করে এনে আমাদের পরিবেশন করতো। মালিক ও তার পরিবার থাকতো, হাউসবোট সংলগ্ন অন্য একটি ছোট বোটে।
কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থানগুলির অন্যতম ‘মুঘল গার্ডেনস্’। মুঘল বাদশাদের আমলে পারস্যরীতিতে তৈরী এই বাগানগুলো কয়েকটি স্তরবিশিষ্ট। প্রতিটি স্তরই বিভিন্ন রূপে সুসজ্জিত। পাহাড়ের পটভূমিকায়, পাদদেশে অবস্থিত প্রতিটি তাদের নিজস্বতায় বিশিষ্ট এবং সতন্ত্র। বাগানের প্রতিটি স্তরই সজ্জিত বিভিন্ন প্রকারের রংবেরঙের ফুলে। এই ফুলসজ্জা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতিসম্পন্ন। কোথাও সমান্তরাল, কোথাও ত্রিভূজাকার বা চতুর্ভূজাকার, আবার কোথাও বা বৃত্তাকার। মাঝে মাঝে অবস্থিত জলাশয়ে, ফোয়ারা, ঝরে পড়া প্রাকৃতিক ঝর্ণা বা ছোট ছোট স্থাপত্য বাগানগুলির সৌন্দর্য আরোও বর্ধিত করেছে।
চিনারগাছ পরিবেষ্টিত শালিমারবাগ এদের মধ্যে বৃহত্তম ত্রিস্তরবিশিষ্ট। দ্বিতীয় বৃহত্তম বাগান ‘নিশাতবাগ’ মানে ‘Garden of Joy’, পাহাড়ের পটভূমিকায় অবস্থিত ১২টি স্তরে বিন্যস্ত। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘চশমাশাহী’ মানে ‘The Royal Spring’-এ রয়েছে পাহাড় থেকে নেমে আসা অনেকগুলি স্বচ্ছ্ব জলের প্রাকৃতিক ঝর্ণা। ‘আছাবল বাগ’ ঘিরে রয়েছে কাশ্মীরের বিশেষ বৃক্ষশ্রেণী চিনার। শরৎকালে যখন এই গাছের পাতাগুলির রং পরিবর্তিত হয়ে সোনালী লাল হয়ে যায়, তখন মনে হয় যেন আগুন লেগেছে। পাহাড়ের পাদদেশে, শ্রীনগর থেকে বেশ কিছু দূরে অবস্থিত পান্না-সবুজ জলের ‘ভেরীনাগ’।
‘কোকারনাগ’ বিখ্যাত তার সুমিষ্ট পরিশ্রুত জলের জন্যে। অনেকগুলো ঝর্ণা মিলে তৈরী হয়েছে মোরগের পায়ের আকৃতির এক বিশাল জলাশয়। তাই এই নাম। লোকে বলে, কোকারনাগের জল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, ত্বকের রোগ নিরাময় করে।
কাশ্মীরের প্রাণ হলো, পর্বতবেষ্টিত ডাল লেক আর নাগিন লেক। ডাল লেকের জলে শিকারা ভ্রমণ এক বিরল অভিজ্ঞতা। এই শিকারা করেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকম দ্রব্য সামগ্রী – কাশ্মীরীদের হাতে তৈরী শাল, আলোয়ান, বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র, পাথরের গয়না। এছাড়াও নানারকম ফুল-ফল-সব্জিও বিক্রি হতে দেখলাম। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই শিকারায় বসেই দরদাম করে কেনাকাটা করছে। শিকারা করেই আমরা একদিন বেড়িয়ে এলাম ডাল লেকের উপর অবস্থিত ছোট্ট এক দ্বীপ ‘চার চিনার’-এ। চার দিকের চারটি গাছের জন্যেই এই নাম।
নাগিন লেকে হাউসবোট ও শিকারার সংখ্যা অনেক কম। শুনলাম, এখানে জলের গভীরতা বেশী। ফুটে রয়েছে শালুক জাতীয় নানারকম জলজ ফুল। কাশ্মীরী রমনীরা, এমন কি বাচ্চারাও সেই ফুল তুলে শিকারাতে বসেই বিক্রি করছে। লোকে ফুল কিনবে কি – কাশ্মীরী রমনীদের সৌন্দর্যেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকেই। তাদের ঐতিহ্যশালী কাশ্মীরী পোষাক আর গয়নায় তাদের রূপ যেন আরোও খুলেছে।
আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ অসমাপ্ত রেখেই (বাকি অংশ পরের পর্বে) আমি চলে যাচ্ছি সেই বিশেষ দিনের ঘটনায়। তখন আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ প্রায় শেষ। পরের দিনই আমরা ফিরে যাবো। এই শেষ দিনেই আমার জীবনে ঘটলো সেই বিচিত্র ঘটনা – যার অবতারণা আমি প্রথমেই করেছি। যা এখনোও আমার বোধের অতীত – বুদ্ধি দিয়ে যার ব্যাখ্যা এখনোও করতে পারলাম না।
সেই বিশেষ দিনের শেষ বিকেলে, আমরা সবাই ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণে বেরিয়েছি, এই কদিনের স্মৃতিচারণ করছি। আকাশ পরিষ্কার, আমাদের মতো অনেকেই এদিক-সেদিক বেড়াচ্ছে।
এমন সময়ে আকাশের এক কোণে চোখে পড়লো কালো মেঘের সঞ্চার। আমি ভয় পেয়ে বললাম, “ফিরে চলো’ – কারণ, যদি কোনোও দুর্ঘটনা ঘটে, আমরা কেউই সাঁতার জানি না। কিন্তু আমার কথা তখন কেউই কানে তুললো না। ভাবখানা এমন যে, ফিরে যাবো কেন? মেঘ তো এখনই কেটে যাবে।
বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলো। মেঘও বিস্তার লাভ করে আকাশ ঢেকে দিলো। অন্ধকার আকাশের তলায় দূরের কোনোও হাউসবোটের আবছা আলোয়, আলোছায়াময় কালো জলের ওপর আমাদের শিকারা দুলতে লাগলো। এবার আমাদের সঙ্গীরা বিপদের গুরুত্ব বুঝতে পারলো – তারাও মাঝিদের ফিরতে বললো। সমস্ত শিকারা তখন ফিরে গেছে – একমাত্র শুধু আমাদের শিকারাই সেই নির্জন ডাল লেকের জলে ভেসে চলেছে, দুজন মাঝি দু মাথায় বসে আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো স্রোতের বিপরীতে শিকারা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু হায়! শিকারা তখন তাদের হাতের বাইরে।
ইতিমধ্যে প্রচণ্ড ঝড় উঠেছে – শুরু হয়ে গেছে ঝম্ঝম্ বৃষ্টি। আমরা সবাই অন্ধকার শিকারায় ভূতের মতো চুপ করে বসে আছি আর মনে মনে প্রার্থনা করছি। জানি না, এ বিপদ থেকে আদৌ রক্ষা পাবো কি না! ডাল লেকের জলে ওঠা ঢেউয়ের ধাক্কায় আমাদের শিকারা তখন মোচার খোলের মতো যথেচ্ছ দুলছে। মাঝিরা চেষ্টা করেও কোনোও ঘাটেই শিকারা নিয়ে যেতে পারছে না – আমারা ভেসে চলেছি দূরে আরোও দূরে।
আমরা তখন এসে গেছি প্রায় চার চিনারের কাছে – এমন সময়ে একটা বিশাল ঢেউ আমাদের আছড়ে ফেললো ডাল লেকের উঁচু বাঁধানো পাড়ের গায়ে। মাঝিরা কোনোওক্রমে সেখানে নেমে শিকারা টেনে ধরলো। আমরা তখনোও উপরের রাস্তা থেকে অনেক নীচে – উপরে উঠবো কি করে? মাঝিরাই দেখিয়ে দিলো, সামনে একটা সরু খাড়া, বোধহয় স্থানীয়দের ব্যবহারের জন্যে লোহার সিঁড়ি।
মাঝিদের সাহায্যে কোনোওরকমে আমরা শিকারা থেকে নামলাম আর এক এক করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলাম। একসঙ্গে দুজনে ওঠা যায় না, এতোটাই সরু সেই সিঁড়ি। প্রাণের দায়ে আমাদের এই সিঁড়ি দিয়েই উপরে উঠতে হলো।
উপরের রাস্তায় পৌঁছে আমি আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পেলাম। মনে হলো, যাক্, অন্ততঃ আর জলে ডুবে মারা যাবো না। নিজের মনের জোরে আর পায়ের জোরে এ বিপদ থেকে নিশ্চয়ই উদ্ধার পাবো।
তখনোও বুঝিনি ব্যাপারটা এতো সহজ নয়। আমরা আমাদের হাউসবোটের দিক লক্ষ্য করে দৌড়চ্ছি কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডা, বিপরীতমুখী ঝোড়ো হাওয়া আর মূষলধারে বৃষ্টি আমাদের এগোতেই দিচ্ছে না। আমরা পুরো ভিজে গেছি, আমাদের পরনের শাড়ি পায়ে জড়িয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। পায়ের চটি খুলে সবাই হাতে নিয়েছি – কারণ পিচ্ছিল রাস্তায় চটি পরে হাঁটা যাচ্ছে না। রাস্তার অনুজ্জ্বল হলদে আলোর উপর ভরসা করে, একহাতে চটি ও একহাতে কল্যাণের হাতটা ধরে প্রাণপণে জনমানবশূণ্য রাস্তায় প্রায় অন্ধের মতো এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছি, ডাল লেকের ধারের ফুটপাথ ধরে। মনে মনে সবাই তখন ঠাকুরের নাম করছি – জানি না আজ কপালে কি আছে!
হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আবির্ভাব ঘটলো একটা সাদা রঙের অ্যাম্বাসাডর গাড়ির। আশ্চর্য! সেটা এসে আমাদের পাশেই দাঁড়িয়ে পড়লো আর গাড়ির একটা দরজাও খুলে গেলো। যেন আমাদের উঠে আসতেই বলছে। গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ নেই। হতচকিত, বিভ্রান্ত, ভালো-মন্দ চিন্তাশক্তিরহিত আমরা পড়ি কি মরি করে সেই গাড়িটাতে উঠে বসলাম আর গাড়িটাও চলতে শুরু করলো। আমাদের হাউস বোটের উল্টোদিকেই ছিলো ‘মাজদা’ হোটেল। আমরা যদি কোনোওক্রমে সেখানে পৌঁছতে পারি, তাহলে বৃষ্টি থামলে শিকারা চললে হয়তঃ আমরা হাউসবোটে পৌঁছতে পারবো।
আশ্চর্য হওয়ার তখনোও অবশ্য বাকি ছিলো। আমরা কিছু বলবার আগেই গাড়ির চালক আমাদের মাজদা হোটেলে নামিয়ে দিয়ে কিছু না বলেই চলে গেলো। আর আশ্চর্য, তখনই হোটেলের একজন কর্মচারী আমাদের দিকে এগিয়ে এলো। সে আমাদের ডাকলো উপরে যাওয়ার জন্যে। আমরা উপরে যেতে, সে দোতলার একটা স্যুটের দরজা খুলে দিলো। চমৎকার সাজানো পাশাপাশি দুটি ঘর, বাথরুম সহ। সে আমাদের ছজনকে ছটা কম্বল ধরিয়ে দিলো, পরিষ্কার তোয়ালে দিলো আর সবচেয়ে বড় কথা ফায়ার প্লেসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
আমরা সকলেই বাথরুমে গিয়ে ভিজে জামাকাপড় যতোটা সম্ভব ছেড়ে কম্বল জড়িয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে আগুনের সামনে বসে হাত-পা সেঁকতে লাগলাম। আমাদের পরনের সিন্থেটিক শাড়িগুলো বা পুরুষদের শার্ট ইত্যাদি যতোটা সম্ভব ঝুলিয়ে দেওয়া হলো জল ঝরাবার জন্যে।
ঘন্টাদেড়েক পরে বৃষ্টি থামলো। আমরা আবার যে যার পোষাক পরে সবকিছু গুছিয়ে রেখে বার হয়ে এলাম। নীচে সেই হোটেল কর্মচারীটির সঙ্গে আবার দেখা হলো। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা মাজদা হোটেল থেকে বেরিয়ে এলাম।
উল্টোদিকেই রয়েছে আমাদের হাউসবোট। রাত প্রায় সাড়ে নটা বাজে। বিকেলে বেরিয়ে আমরা ছজন তখনোও ফিরিনি কেন – এই চিন্তা নিয়ে তখন হাউসবোটের মালিকেরা শিকারা নিয়ে আমাদের খুঁজতে বেরিয়েছে। তাদের দেখে আমরা ভরসা পেলাম। হাত নেড়ে তাদের ডাকলাম। তারা এলে সেই শিকারাতেই আমরা ফিরে এলাম আমাদের হাউসবোটে। পরে তাদের কাছেই শুনেছিলাম, তারা আমাদের বিপদের আশঙ্কা করেছিলো। তাদের মতে, যদি আমরা চার চিনারের দিকে না গিয়ে নাগিন লেকের দিকে যেতাম, তাহলে হয়তঃ আমাদের বাঁচা খুবই মুশকিল হতো।
ভগবান তাহলে সত্যিই আছেন? তা না হলে এই বিপদ থেকে আমরা উদ্ধার পেলাম কিভাবে? কোথা থেকে গাড়ি এসে আমাদের সামনে উদয় হলো? কেন মাজদা হোটেল আমাদের আপ্যায়ণ করলো? এর কোনোও উত্তরই আমার জানা নেই। তবে কি এটা কোনোও অলৌকিক ঘটনা? আমার বুদ্ধি দিয়ে এর কোনোও ব্যাখ্যাও আমি খুঁজে পাইনি। আমার কাছে আজও সবটাই রহস্যময়। সত্য শুধু একটাই। ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আজও আমি সুস্থ শরীরে বেঁচে আছি।
(কাশ্মীর ভ্রমণ প্রথম পর্ব সমাপ্ত)
গোপা মিত্র
ফিজিক্স অনার্স। এক সময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও, প্রকৃতপক্ষে গৃহবধূ – কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষে। ভ্রমণের নেশা প্রবল। ভারতের বাইরে কোথাও না গেলেও দেশের মধ্যেই প্রচুর ঘুরেছেন। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থান – কোনোওকিছুই বাদ নেই। এখনও সুযোগ সুবিধে হলেই বেরিয়ে পড়েন। দু-কলমের জন্যে জীবনে প্রথমবার কলম ধরা।
রাখে অ্যাম্বাসাডর মারে কে?
Bhalo karmer fal…
Shihoron-jagania biboron. Arrival of the white Ambassador was truly sensational… description of nature’s fury remarkable. Accompanying B/W photographs are priceless treasures.
খুব ভালো হয়েছে লেখাটা। গল্পের মতো করে বললে তবেই আকর্ষণ বাড়ে নয়তো শুধুমাত্র খবর হয়ে দাঁড়ায়।
দারুণ লেগেছে
সকলকেই আমার ধন্যবাদ জানাই ।
দারুণ লেখা।তুমি তো দেখছি একেবারেই professional writer
একথা একেবারেই বোলো না । সকলের ভালো লাগলেই আমার লেখা সার্থক ।
তোমার দেওয়া হাউসবোট আর শিকারার মডেলের কথা মনে পড়ে গেল। আর আখরোট। দরজার খাঁজে চাপ দিয়ে আখরোট ভাঙ্গা। সেই প্রথম অতো আখরোট খেয়েছিলাম।
আরো লেখো। তোমার বেড়ানোর অভিজ্ঞতা তো অনেক।
খুব চমৎকার বর্ণনা। ভাল লেগেছে। কিন্তু এই লেখা ফিরে এসে লেখা না অনেক দিন বাদে লেখা ? কারণ দেরিতে অনেক লেখা ভুল হয়ে যায় ।
আমার মনের মণিকোঠায় ছবিগুলো এমনভাবে বসে গেছে ভুল হবার কোনো সম্ভাবনা নেই ।