গোপা মিত্র
দিল্লী—যেমন দেখেছি
পর্ব-২
দিল্লীর আর এক আকর্ষণ চাণক্যপুরীতে অবস্থিত জাতীয় রেল মিউজিয়াম। ১৫০ বছরের বেশী পুরোনো রেলের ইতিহাসের সঙ্গে, থানে থেকে শুরু প্রথম বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের মডেল প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। রাজপথে ন্যাশনাল মিউজিয়ামে রয়েছে মৌর্য ভাস্কর্যের পাশাপাশি ব্রোঞ্জ টেরাকোটা ও কাঠের তৈরী কারুকৃতি। এছাড়াও এখানের চিত্রকলার সংগ্রহও উল্লেখযোগ্য। চাণক্যপুরীর তিনমূর্তি মার্গে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর বাসভবন এখন রূপান্তরিত হয়েছে নেহেরু মিউজিয়ামে। নেহেরুজীর ব্যবহৃত ও উপহার পাওয়া নানা সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই সংগ্রহালয়।
কনট প্লেসের পশ্চিমে মন্দির মার্গে উড়িষ্যা মন্দির শৈলীতে নির্মিত লক্ষীনারায়নণ মন্দির বা বিড়লা মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর হাতে। সব ধর্মাবলম্বীদের জন্যই এই মন্দিরের দরজা খোলা। পাশেই রয়েছে শিব কৃষ্ণ ও বুদ্ধ মন্দির। সাড়ে সাত একর জমির উপর নির্মিত এই মন্দিরে জন্মাষ্টমী ও দিওয়ালীতে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়। বিড়লা মন্দিরের পাশেই বিখ্যাত দিল্লী কালীবাড়ী। এদের গেষ্ট হাউসে সামান্য অর্থের বিনিময়ে থাকার ব্যবস্থা আছে। দিল্লীর আরো কয়েকটি কালীবাড়ীতেও এমন ব্যবস্থা রয়েছে।
দিল্লীর অবশ্য দ্রষ্টব্য মন্দিরগুলির অন্যতম কালকাজী পাহাড়ের উপরে কালকা দেবীর মন্দিরের নিকটে অবস্থিত পদ্মফুল আকৃতির ‘লোটাস টেম্পল’ বা বাহাই ধর্মানুসারী ‘বাহাই মন্দির’। তিনটি স্তরে বিন্যস্ত সাতাশটি মার্বেল পাথরের পদ্মপাপড়ি – ঠিক যেন প্রস্ফুটিত এক পদ্মফুল। রাতের অন্ধকারে মন্দিরের আলোকসজ্জা দূর থেকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর ন’টি দ্বারপথেই মন্দির কেন্দ্রের এক হলঘরে প্রবেশ করা যায়। সব ধর্মাবলম্বীরাই এখানে অবাধে প্রবেশ করে প্রার্থনা করতে পারে। এর স্থাপত্য দেখবার মত।
বর্তমান দিল্লীর আরো এক আকর্ষণ, নয়ডার কাছাকাছি যমুনা তীরবর্তী অক্ষরধাম স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলাম একদিন। দেবতা স্বামীনারায়ণ ছাড়াও রয়েছে রামসীতা, রাধাকৃষ্ণ, শিবপার্বতী ও লক্ষীনারায়ণ। বিশাল এই মন্দির চত্বরের ভবনগুলি নির্মিত গোলাপী রাজস্থানী বেলেপাথর ও ইটালীয়ান মার্বেলে। মন্দিরের স্থাপত্য ভাস্কর্য অসাধারণ। বিশাল উদ্যান, মিউজিক্যাল ফোয়ারা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর জন্য একাধিক মন্ডপ দিয়ে সজ্জিত এই মন্দির সম্পূর্ণ দর্শনে সারাদিন কেটে যায়।
দিল্লীর যে কয়েকটি সমাধিস্থল রয়েছে, তার মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর কালো পাথরের সমাধি বেদী রাজঘাটের অদূরেই শান্তিবন, প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর সমাধিস্থল। এদের মাঝেই ইন্দিরা গান্ধীর শেষকৃত্যস্থান শক্তিস্থল। শান্তিবনের উত্তরে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর শেষকৃত্যস্থল। বিদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ভারতে এলে এসব জায়গায় শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।
১৯৮২-র এশিয়াড ও ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের পরে যখন গিয়েছি দিল্লীতে তখন দেখেছি গড়ে ওঠা আর্ন্তজাতিক মানের একাধিক ষ্টেডিয়াম – জওহরলাল নেহেরু, তালকোটরা, ইন্দিরা গান্ধী ষ্টেডিয়াম ইত্যাদি, অবশ্য দেখা আমার সবই পাশ দিয়ে যাবার সময়, কোনটাতেই প্রবেশ করা হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্ট হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের এক অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। দিল্লীতে গড়ে উঠেছে একাধিক বিশাল বিশাল মল যার মধ্যে (Ambience Mall) এ প্রবেশ করে আমার চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল, সাজানো গোছানো DLF Emporio-তে বিদেশী দোকানের ছড়াছড়ি। এছাড়াও দিল্লীতে গড়ে উঠেছে একাধিক বড় বড় হসপিটালস্, হাউসিং কমপ্লেক্স। তবে দিল্লীতে গেলেই একবার অন্ততঃ আমার দিল্লী হাটে যাওয়া চাই-ই চাই। আই এন এ, পিতমপুরা, জনকপুরী তিন জায়গার তিনটি হাটের মধ্যে দক্ষিণ দিল্লীর আই এন এ দিল্লী হাট বৃহত্তম। খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন প্রাদেশিক দোকানগুলিতে যেমন চলে বিকিকিনি, তেমনই চলে প্রদর্শনী। অনেকসময় বিভিন্ন প্রদেশের হস্তশিল্পী বা কারিগরেরা এখানে বসেই জিনিষপত্র তৈরী করে বিক্রী করে। এদের তৈরী দ্রব্যসামগ্রী এতই বিশিষ্ট ও অসাধারণ যে না কিনে পারা যায় না। এই চত্বরেই রয়েছে একাধিক প্রাদেশিক মুখরোচক খাবার দোকান।
এছাড়াও অবশ্য দিল্লীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই রয়েছে বাজার দোকান। কেনাকাটার জন্য চাঁদনী চক, সরোজিনী নগর, করোলবাগ বা লাজপত নগর মার্কেটে যাওয়া যেতেই পারে। দিল্লীতেই প্রথম কনট্ প্লেসে মাটির নিচে এয়ারকন্ডিশন্ড মার্কেট বা পালিকা বাজার দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। তবে এসব বাজার নয়, আমার কাছে অনেক বেশী আকর্ষণীয় মনে হয়েছে এখানের অঞ্চল ভিত্তিক হাটগুলি। দিল্লীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই সপ্তাহের এক নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে হাট বসে। খোলা আকাশের নিচে আশপাশ থেকে আসা মানুষজন তাদের পসরা নিয়ে এসে বিক্রী করে। ফলমূল, শাকসব্জী থেকে গৃহস্থালীর জিনিষপত্র, জামাকাপড়, প্লাষ্টিক ষ্টীল কাচের বাসনপত্র, ঘরসাজানোর ও উপহার সামগ্রী সবই পাওয়া যায় এই হাটগুলিতে। মাটির গন্ধমাখা এই হাটে সাধারণের সঙ্গে মিশে, অস্থায়ী আলোতে রাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বাজার করা – আমার এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
বাজার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাঙালী অধ্যুষিত এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্ক বা সি আর পার্কের বাজারের কথা এসেই যায়। এখানের বিশাল মাছের বাজারে গিয়ে আমি তো একেবারে স্তম্ভিত, এমন মাছ নেই, যা এখানে পাওয়া যায় না। সারাদিনই এখানে বাঙালিদের ভীড়, বিশেষ করে রাতে, অফিসফেরৎ বাবু বিবিদের। বড় বড় বঁটি সামনে নিয়ে বসে আছে মেছুয়ারা, আর অর্ডার মত কেজি কেজি মাছ কেটে ক্রেতাদের ব্যাগে ভরে দিচ্ছে। এতো গেল মাছ বাজারের কথা। পাশেই সি আর পার্কের বাজার চত্বরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর দ্রব্যাদির সঙ্গে বাঙালীদের রান্নায় ব্যবহৃত খুঁটিনাটি মশলাপাতি সহ মুড়ি মুড়কি মোয়া চ্যানাচুড় নতুন গুড় সবই পাওয়া যায়। বাংলা পত্রপত্রিকাও এখানে উপলব্ধ।
দিল্লী এক বিশ্বজনীন (Cosmopolitan) শহর। তাই এখানে গড়ে উঠেছে মিশ্র সংস্কৃতি। দিওয়ালীতে এখানে যেমন হয় দিপাবলীর উৎসব, বড়দিনে ক্রিস্মাস, আবার ঈদের চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন, তেমনি দুর্গাপূজোয় পালিত হয় বাঙালীদের দুর্গোৎসব। কলকাতার মতই দিল্লীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই বিশাল ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকের সঙ্গেই উদ্যাপিত হয় দুর্গোৎসব। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, বোনের কাছেই জানলাম, কলকাতার মত এখানে থিম পূজোর বাড়াবাড়ি নেই বা রাস্তায় নয়, আলোকসজ্জা শুধুমাত্র দেখা যায় নির্দিষ্ট জায়গায় সজ্জিত মন্ডপগুলিতে প্রবেশের পর। সকাল থেকেই সেখানে চলে পূজোপাঠ, খাওয়াদাওয়া, দর্শনার্থীদের আনাগোনা। সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতা মুম্বই এমনকি দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করে থাকে সেইসব অনুষ্ঠানে।
প্রায় সমগ্র ভারতের সঙ্গেই দিল্লী যুক্ত ট্রেন ও বিমান দ্বারা। বর্তমানে ৪/৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়েগুলি দিয়েও দিল্লী যুক্ত হয়েছে পাশের রাজ্যগুলির সঙ্গে। এগুলি দিয়ে অনেক দ্রুত বাধাবন্ধহীন ভাবে পাশের রাজ্যগুলিতে পৌঁছে যাওয়া যায়। নয়ডা যেতে গিয়ে দেখেছিলাম, কত দ্রুত কতটা দূরত্ব অতিক্রম করা যায়।
দিল্লী ক্যান্টনমেন্টে থাকার সময় কনট প্লেসে যেতে আসতে সবসময়ই চোখে পড়েছে দিল্লীর প্রায় কেন্দ্রে মাদার টেরেসা ক্রেসেন্ট ও সর্দার প্যাটেল মার্গের সংযোগে অবস্থিত কালো পাথর কুঁদে তৈরী ‘এগারো মূর্তি’-র বিশাল ভাস্কর্য। বিখ্যাত শিল্পী দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী কৃত এই ভাস্কর্য গান্ধীজির ডান্ডি মার্চের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। সামনে লাঠি হাতে গান্ধীজি একটু ঝুঁকে হাঁটছেন, তাঁর পিছনে পুরুষ মহিলা শিশু মিলিয়ে আরো দশজন চলেছেন।
দিল্লীর রাস্তায় যেতে যেতে মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে কিছু অঞ্চল ঢেকে রয়েছে জঙ্গলে। জিজ্ঞেস করে জানলাম, এই অরণ্য অঞ্চল রক্ষা করা হয় দিল্লীর দূষণ কমানোর জন্য।
একদিন ভোরবেলা পৌঁছে গেলাম দিল্লীর সুরক্ষিত উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম সুসজ্জিত লোদি গার্ডেনে। সেখানে এখনো অবিচল দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন কয়েকটি স্থাপত্য।
বিশাল এই উদ্যানে ভোরবেলা এসে দেখলাম বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতিদের ওড়াউড়ি আর পাখীর ঝাঁকের কলকলানি। সেখানের জলাশয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁস, জলার ধারে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে বক সারস। ফোয়ারার ছিটকে আসা জলে ভিজে যাচ্ছে তারা। সকাল বেলাতেই সেখানে চলছে নানারূপ শরীরচর্চা, দৌড়নো, হাঁটা। শুনলাম শীতের রোদ গায়ে মেখে অনেকেই এখানে আসে পিকনিক করতে।
দুপাশে সারিবদ্ধ সবুজ সতেজ গাছপালা দিয়ে সাজানো প্রশস্ত পথঘাট, উদ্যান শোভিত বড়বড় বাড়ী ও আপার্টমেন্ট, একাধিক ফ্লাইওভার, মাকড়সার জালের মত দিল্লীর কোণে কোণে পৌঁছনো মেট্রো রেল নিয়ে গড়ে উঠেছে আধুনিক দিল্লী।
দিল্লী তো শুধুমাত্র বেড়ানোর জায়গাই নয়, খাবার জায়গাও বটে। এখানের রেস্তোরাঁগুলোতে যেমন মিলবে কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ, মোঘলাই খানা, তেমনই মিলবে দিশী পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, উত্তরপ্রদেশীয় খাবারদাবার। এছাড়াও নানারকম ক্ষীরের মিষ্টি, গাজরের হালুয়া, এমনকি দিল্লীর বিখ্যাত লাড্ডু, এসব তো আছেই।
আমার দিল্লী ভ্রমণ বৃত্তান্ত সমাপ্তির পথে। আমি জানি আবার যদি কখনো দিল্লী যাওয়ার সুযোগ হয়, হয়তবা গিয়ে দেখবো লুটিয়ান্স দিল্লীর নবীকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, আর তার সঙ্গেই দিল্লী আবারও আমার কাছে হয়ে গেছে অচেনা। অতি সম্প্রতি শুনলাম, ইন্ডিয়া গেট থেকে অমর জ্যোতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়ামে। কাজেই ধরে নেওয়া যায় দিল্লীর এমন পরিবর্তন চলতেই থাকবে।
পাহাড় পর্বত জঙ্গল সমুদ্র বিহীন ভারতের রাজধানী দিল্লী না দেখলে মনে হয় ভারত দর্শন সম্পূর্ণ হল না। তবুও সদা পরিবর্তনশীল ঝাঁ চক্চকে দিল্লী আমার কাছে যেন এক প্রাণহীন মরা শহর – বড় বেশী কৃত্রিম। সেখানে গাড়ীতে যেতে আসতে চোখে পড়লো না, রাস্তার ধারে কোন খাবারের ঠেক, ইচ্ছে হলেই গাড়ী থেকে নেমে যেখানে দাঁড়িয়ে মুখরোচক বা পেট ভরে কিছু খেয়ে নেওয়া যায়। হয়ত আছে, কিন্তু আমার চোখের আড়ালে। দেখলাম না, রাস্তার মোড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সিনেমা থিয়েটার খেলাধূলো বা রাজনীতি নিয়ে উচ্চৈস্বরে তর্কবিতর্ক বা আড্ডা দেওয়া। তাই যতই আধুনিক ঝাঁ চক্চকে সাজানো গোছানো হোক্, চড়াপড়া নদী যমুনা পার্শবর্তী দিল্লীর তুলনায় অগোছালো মলিন, কিন্তু উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত কল্লোলিনী (Vibrant) তিলোত্তমা স্রোতস্বিনী গঙ্গা তীরবর্তী কলকাতাই আমার প্রিয়।
— দিল্লী পর্ব সমাপ্ত —
গোপা মিত্র
ফিজিক্স অনার্স। একসময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও, প্রকৃতপক্ষে গৃহবধূ – কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষে। ভ্রমণের নেশা প্রবল। ভারতের বাইরে কোথাও না গেলেও দেশের মধ্যেই প্রচুর ঘুরেছেন। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থান – কোনোও কিছুই বাদ নেই। এখনও সুযোগ সুবিধে হলেই বেরিয়ে পড়েন। দু-কলমের জন্যে জীবনে প্রথমবার কলম ধরা।
Reading this, is a traveller’s delight. Very well written.
I’m inspired. Thank you .
বড়ো সুন্দর করে দিল্লীকে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিটি পর্বে। নিজে দিল্লীবাসী। তাই বোধহয় লেখার মধ্যে বর্ণিত ভালোমন্দ সব কিছুর সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা কে ভীষন ভাবে মেলাতে পারলাম। এমন লেখা আরো চাই যা শুধুই ভ্রমণ কাহিনী নয়। ধন্যবাদ লেখিকা কে।
দিল্লী বাসীর ভালো লেগেছে ? তাহলে আমার লেখা সার্থক । অনেক ধন্যবাদ ।
A detailed study of the capital.সুন্দর লেখা, মনে পড়ে গেল অনেক কিছু।।দিল্লীবাসি রাও খাটিয়া পেতে শীতের দুপুরে মূলো কাটতে কাটতে আড্ডা দিত, সেই দৃশ্য বোধহয় আজকাল আর দেখা যায় না।
সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু ।সব কিছু মেনে নিয়ে এগিয়ে চলাই মনে হয় জীবনের ধর্ম ।