গোপা মিত্র
অন্ধ বিচার
রহস্য ধারাবাহিক (পর্ব-১০)
কথামত পরশুদিনই সুমেধা এসে উপস্থিত হল, অজেয় রায়ের বাড়িতে। এসে দেখল, অজেয় রায় ল্যাপটপের ওপর ঝুঁকে পড়ে কোনো এক রাস্তার ফুটেজ বারবার দেখছেন। সুমেধা অবাক হয়ে অজেয় রায়কে জিজ্ঞেস করলো, বারবার আপনি একই রাস্তার ফুটেজ কেন দেখছেন স্যর, আর এটা কোন্ রাস্তারই বা ফুটেজ!
– বলছি, বলছি, তার আগে বলো, তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম, তা হয়েছে কি? কি জানতে পেরেছো?
“আমি রিসর্টের ডাইনিং হলের সি সি ক্যামেরার একটা ফুটেজ নিয়ে এসেছি। কিছুতেই দিতে চাচ্ছিল না , পুলিশের ভয় দেখাতে তবেই দিতে রাজী হয়েছে। আর আপনি রির্সটের কাছা কাছি আছে, এমন কোনো সাইবার কাফের খোঁজ নিতে বলেছিলেন, তার খবরও নিয়ে এসেছি”।
“বেশ এবার যা বলছি, তা শোনো, কাল সকালে তাড়াতাড়ি তুমি আমার বাড়ী চলে আসবে। আমি অমলিন বসুকেও বলে রাখবো, আমরা কাল তিনজনে একবার দীঘার সেই রির্সট আর তার কাছের সাইবার কাফেতেও যাবো। তোমাকে আরো একটা কাজও আমি দেব, কোর্টের শুনানীর দিন বা তার আগের দিন আমাকে আরো একটা খবর তোমাকে জোগাড় করে এনে দিতে হবে। এবার দেখো, কোন্ খবরের কথা তোমাকে বলছি – এই যে দেখছো, ল্যাপটপে বারবার আমি একটা রাস্তার ফুটেজ দেখছি, এটা কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়ার রাস্তার ফুটেজ, তবে অবশ্যই প্রধান রাস্তার, কোনো গলিঘুঁজির নয়। কারণ যেহেতু ছেলেটি তার যাওয়ার প্রমাণ রাখতে চেয়েছিল এবং বুঝেছিল তার ফোন নম্বর ট্র্যাক করা হতে পারে সেইজন্য সে কখনোই কোনো সর্টকার্ট বা গলিঘুঁজি নেবে না।”
ল্যাপটপ স্ক্রীনের ওপরে আঙুল রেখে অজেয় রায় আবার বলে উঠলেন – এই যে দেখছো, দীঘার রাস্তার এই অংশে একটা শাড়ীর দোকানের অ্যাড রয়েছে, তার পরেই দুটো বড়বড় দোকান রয়েছে,-একটা বেশ বড় মিষ্টির দোকান, অনেক লোক সেখানে ভীড় করে মিষ্টি খাচ্ছেও যেমন, কিনছেও তেমন, আর তার একটু পরেই রয়েছে একটা ধাবা, সেখানেও অনেক লোক খাওয়াদাওয়া করছে, এই দুটো বড় দোকানের বাইরে নিশ্চয় সি সি ক্যামেরা লাগানো আছে। যে গাড়ি করে ছেলেটি দীঘায় গিয়েছিল বলছে, আধুনিক মডেলের গোল্ডেন ইয়েলো রঙের অমন এস উ ভি গাড়ী সচরাচর নিশ্চয় ঐ রাস্তায় হর্বখত্ চলে না। তুমি ঐ দোকান দুটোতে যাবে, যে কোনো একটা দোকান থেকে আমাকে ওই দিনের ঐ গাড়ির একটা স্পষ্ট ফুটেজ জোগাড় করে এনে দেবে, একটু দেরী হয়ে গেলেও আমার বিশ্বাস যে কোনো একটা দোকান থেকে তুমি ফুটেজ পেয়ে যাবে। তবে কিভাবে তুমি সেটা আদায় করবে, সেটা তোমার ব্যাপার। কোর্টের পরবর্তী দিনের আগে অবশ্যই এই ফুটেজটা আমার চাই, বুঝলে? বেশ এখন তুমি এসো, আমাকে একটু ভাবতে দাও।
সুমেধা উঠে দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বেরোতে যেতেই অজেয় রায় বলে উঠলেন – কাল কিন্তু সক্কাল সক্কাল চলে এসো।
ক্রমশ interesting হচ্ছে।ভালোই লিখছো।
শুনে খশী ,হলাম। অনেক ধন্যবাদ ।