সৃজিত্ মিত্র
লালবাজার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এসেছে এক রহস্যময় চিঠি। পত্রলেখক জানিয়েছে, কলকাতার বুকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নারকীয় তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে সে পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করতে চায়। প্রেরকের নামের জায়গায় শুধু একটি মানুষের খুলির ছাপ।
অতঃপর কলকাতা শহরের আনাচেকানাচে পড়ে থাকতে দেখা যায় বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রভাবশালী ব্যক্তির অচেতন দেহ। চোয়ালে এক রহস্যময় খুলিচিহ্ন। জ্ঞান ফিরতেই প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা প্রকাশ্য জনমাধ্যমে সবিস্তারে বিবৃতি দেন, কিভাবে তাঁরা তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, কিভাবে প্রমাণ লোপাট করেছেন এবং কারা কারা সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলো এবং হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যকাহিনী―সমস্ত!
প্রকাশ পায় তিলোত্তমা হত্যারহস্যের যাবতীয় তথ্য। বন্ধ হয় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা হাসপাতাল / চিকিৎসা দুর্নীতি। হয় কিছু রাজনৈতিক পালাবদলও।
কলকাতাবাসী জনগণ হন্যে হয়ে খোঁজে সেই রহস্যময় পরিত্রাতাকে কিন্তু তার কোনোও সন্ধান পাওয়া যায় না। জনমানসে থেকে যায় শুধু খুলিচিহ্ন!
শুধু গভীর রাতে টলতে টলতে বাড়ি ফেরবার সময়ে এক মাতালের নেশাতুর চোখদুটো যেন দেখতে পায়, দীর্ঘকায় এক ছায়ামূর্তি যেন তিলোত্তমার ছবির সামনে কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থেকে চকিতে অদৃশ্য হয়ে গেলো। স্খলিত পদে অগ্রসর হয়ে ছবির সামনে পৌঁছে মাতাল দেখলো, তিলোত্তমার কপালে আড়াআড়ি করে রাখা জোড়া তরবারির ছাপ।
মাতালের কথা কে আর বিশ্বাস করে?
খুব ভালো লিখেছিস রে ।
Thank You.
দারুণ রোমাঞ্চকর!