Home বিবিধ, প্রবন্ধ এই শহর জানে …
বিবিধপ্রবন্ধ

এই শহর জানে …

প্রিয়ঙ্কর চক্রবর্তী

আইনত আগস্ট মাসে জন্মদিনের তকমা এ শহর হারিয়েছে বটে, কিন্তু প্রায় তিনশো তিরিশ বছর আগের এক আগস্ট মাসেই যে জোব চার্নক নামের সেই সাহেব বর্তমান উত্তর কলকাতার কোনো এক ঘাটে তার নৌকা থেকে প্রথমবার নেমেছিলেন, সে নিয়ে বোধহয় খুব একটা বিতর্ক নেই। আর সেই ঘটনার তিনশো বছর পরের কোন এক সকালে বাবা-মায়ের হাত ধরে ভয়ে ভয়ে ওই উত্তর কলকাতারই এক বিখ্যাত স্কুলের বিশাল ভবনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল শার্ট আর হাফপেন্টুল পরিহিত বছর দশেকের এক ভ্যাবাচ্যাকা বালক। জন্মাবধি এতদিন সে বড় হয়েছে কখনো দিনাজপুর, কখনো নদীয়া, কখনো বাঁকুড়ার শান্ত মফস্বলে। সেই পরিবেশ থেকে হঠাৎ এই কংক্রিটের জঙ্গল, বাসট্রামের দৌরাত্ম্য আর জনস্রোতের গুঁতো খেয়ে সে যথেষ্ট নাজেহাল তখন। তার মধ্যেই অবাক চোখে দেখছে বড়দের মুখে শোনা বা বইয়ে পড়া রূপকথার জগৎ। স্কুলবাড়িটার পাশেই আরেকটা বিশাল বাড়ি। প্রেসিডেন্সি কলেজ। শিহরিত হল বালক। এখানেই না পড়তেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র কিংবা আজকের সত্যজিৎ রায়! মনীষীদের জীবনকথায় পড়েছে সে। আরেকপাশে আরো একটা বিরাট বাড়ি। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি। আরে! বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এখানকারই ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন না! বালক তখনো জানে না আরো দশ এগারো বছর পরে ওই বাড়িটিতেই সে ঢুকবে স্নাতকোত্তর পাঠের জন্য। যে স্কুলে সে এইমাত্র ভর্তি হল, সেই বা কম কী! ভেতরে বারান্দায় একটা বোর্ডে বিখ্যাত প্রাক্তন ছাত্রদের নাম লেখা। জগদীশচন্দ্র বসু থেকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মেঘনাদ সাহা থেকে দীনবন্ধু মিত্র – কে নেই সে তালিকায়। স্কুলের সামনের রাস্তাটার নাম কলেজ স্ট্রিট। এ নামও তো শোনা। রাস্তার দু পাশে সার দিয়ে পুরনো বইয়ের দোকান। উল্টো ফুটে হিন্দু স্কুল। তার পেছনেই সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল আর সংস্কৃত কলেজ। বিদ্যাসাগর মশাই এই কলেজেরই অধ্যক্ষ ছিলেন তো! সে জানে। পাশেই কফি হাউস। সে রস আস্বাদনের বয়স তার হয় নি। কিন্তু আরেক পাশে কলেজ স্কোয়ারের টলটলে জল তার চোখ টানলো। সব মিলিয়ে প্রথম দর্শনেই শহরটার প্রেমে পড়লো ছেলেটা।

সেই শুরু। যত দিন যায় প্রেম গাঢ় হয়। কখনো ভালো লাগা কখনো মন্দ লাগায় জড়িয়ে থাকে, কখনো যন্ত্রণা দেয় এ শহর, কখনো নরম হাতে চুলে বিলি কেটে ভুলিয়ে দেয় সে ব্যথা। ছেলেটাও চিনতে থাকে এই মহানগরের অলি-গলি-পাকস্থলী। প্রথমবার দেখে বর্ষায় গোটা রাস্তা তার প্রায় কোমর সমান জলে ডুবে যেতে। তার মধ্যেই ঘন্টি বাজিয়ে ছুটে চলে হাতে টানা রিকশা। অনেক কষ্টে কোন গাড়ি যদি জল কেটে এগোয় তো সমুদ্রের ঢেউ যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে কলকাতার রাস্তায়। সে চেনে প্যারামাউন্টের শরবৎ, চেনে পুঁটিরামের কচুরি আর ছোলার ডাল, কালিকার চপ, দিলখুশার কবিরাজি কাটলেট। সে এখন জানে বৌবাজার কোনদিকে আর কোনদিকে শ্যামবাজার, শিয়ালদার বাস কোন ফুটে আর হাওড়ার দিকের বাস কোন ফুটে দাঁড়ায়। এরই মধ্যে একদিন অভিভাবকদের সাথে তারা বন্ধুরা দল বেঁধে দেখতে যায় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুপী বাঘা ফিরে এল’। সে চিনলো মিত্রা। দেখলো মিনার, রূপবাণী, টকি শো হাউস, স্টার থিয়েটার। চিনে গেল ঠনঠনিয়া কালিবাড়ি, হেদুয়া, হাতিবাগান। দেখলো বেথুন কলেজ, স্কটিশ চার্চ কলেজ, বিদ্যাসাগর কলেজ। পুজোর সময় পঞ্চমীর দিন স্কুল ছুটির পর মা-বাবার সাথে অবাক বিস্ময়ে সে ঘুরে দেখেছে কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক, শ্রদ্ধানন্দ পার্কের পুজো। আর শীতকালে সে পাগল হয়ে যাচ্ছে ময়দানে ধুলোমাখা কলকাতা বইমেলার অমোঘ আকর্ষণে। 

এই শহরে কোনদিনই থাকেনি সে। আশপাশের জেলা থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করেছে। কখনো বাসে, কখনো লঞ্চে, কখনো ট্রেনে। লঞ্চে আসতে আসতে তৈরী হতে দেখেছে হাওড়া ব্রিজের মতই বিরাট আরেক ব্রিজ – দ্বিতীয় হুগলী সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতু। কাজ চলাকালীন কয়েকবার ভেঙ্গে পড়লেও সে জানে এই ব্রিজ ঠিক তৈরী হয়ে যাবে। যেমন তার আরো ছোটবেলায়  যখন সে এই শহরে বেড়াতে আসতো, তখন সারা কলকাতা বিরাট বিরাট গর্তে ভরা থাকতো আর এখন সে সব বুজিয়ে নীচ দিয়ে মেট্রো রেল ছুটে চলে দিব্যি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম, জাদুঘর সে সবও তো তার তখনই দেখা। খিদিরপুরের বিখ্যাত বাস্কুল ব্রিজ অবশ্য সে দেখবে অনেক পরে, যেখানে জাহাজ যাওয়ার জন্য ব্রিজ দু ভাগ হয়ে রাস্তা দুপাশে সটান ওপরে উঠে যায়।

শহরটাও চুপচাপ নজর রাখছিল ছেলেটার দিকে। দেখছিল, বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরনো বইয়ের দোকানে ফেলুদা  ছেড়ে সে খুঁজছে সুনীল, সন্দীপন বা শক্তি। চক্রবর্তী অ্যান্ড চ্যাটার্জী বা দে’জ-এর দোকানে লুব্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে নতুন বইয়ের দিকে। মনীষা গ্রন্থালয়ে বিরাট ছাড়ে রাশিয়ান বই পাওয়া যাচ্ছে শুনেই দৌড়চ্ছে দুড়দাড় করে। আস্তে আস্তে বাড়ছে বন্ধুসংখ্যা। কলেজ স্ট্রিটে, বাগবাজারে বন্ধুদের বাড়িতে কাটছে অনেকটা সময়। তার স্কুলজীবন শেষ হয়ে আসছে। হিন্দি গানের বদলে তার কানে বাজতে শুরু করেছে সুমন, নচিকেতা, অঞ্জন। তার পরিধি বাড়ছে ওদিকে এসপ্ল্যানেড এদিকে রাজাবাজার হয়ে মানিকতলার টিউশন ক্লাসে। নিউ এম্পায়ার, লাইটহাউস, যমুনার এলিট দুনিয়ার সাথে কানে আসছে স্যোসাইটি, রিগ্যাল, খান্নার এক প্যারালাল জগতের কথাও। কলেজ জীবনে সে দেখতে পেল দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্র শাখার রেষারেষি, আড্ডা গড়ালো ক্যান্টিন থেকে কফি হাউস, শুরু হল কবিতা লেখার চেষ্টা আর এই সময়েই নতুন বন্ধুদের সুবাদে প্রথম ছেলেটার পা পড়লো শহরের দক্ষিণে। এবার পরিচিতি হল টালিগঞ্জ বা যাদবপুরের সাথে। ইতিমধ্যে সে দেখে ফেলেছে ইডেনে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। দেখেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ফুটবল ম্যাচের উন্মাদনা। বইমেলায় তখন যেতে হচ্ছে একাধিক দিন। সেখানে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে মহাশ্বেতা দেবী, সুনীল, শীর্ষেন্দু, বুদ্ধদেব গুহদের। সাথে জুড়েছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। চেনা হয়েছে নন্দন। পাঁচ টাকার টিকিটে বাংলা থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের সিনেমা দেখার মহাতীর্থ। ওই চত্বরেই পয়লা বৈশাখ শুরু হত বইবাজার। কী সস্তায় পাওয়া যেত সব প্রকাশনীর বই। একসময় ওখানেই শুরু হয়েছিল গানমেলা। তখন সদ্য এ শহরের বুকে এসেছে গিটার হাতে কতকগুলো বাউন্ডুলে ছেলে, যারা পরের দশকটা বাংলা গানের জগৎ শাসন করবে বাংলা ব্যান্ড নামে। এসেছে পরশপাথর, ক্যাকটাস, চন্দ্রবিন্দু, ফসিলস্‌। অ্যাকাডেমি কিংবা গিরিশ মঞ্চে থিয়েটার দেখারও শুরু সেই সময়টাতেই।

ইউনিভার্সিটিতে দক্ষিণী বন্ধুবান্ধব আরো বেশী। ফলে কলেজ স্ট্রিট বেস ক্যাম্প হলেও এদিকে আসা যাওয়া বাড়লো। প্রিয়া সিনেমা, নজরুল মঞ্চ, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী চেনা হল। তাতে সুবিধে হলো এই যে কিছুদিন পর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সুবাদে সে যখন দক্ষিণের এক স্কুলে পার্টটাইম শিক্ষক হিসাবে যোগ দিল, তখন জায়গাগুলো তার অনেকটাই চেনা হয়ে গেছে। পরের স্থায়ী চাকরি তাকে চেনালো ডালহৌসি চত্বর। রাইটার্স বিল্ডিংস, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, জি.পি.ও, টেলিফোন ভবন, লালবাজার, রাজভবন এসব দূর থেকে আগে কয়েকবার দেখলেও এবার খুব কাছ থেকে প্রতিদিন দেখতে পেল সে। নতুন করে  বুড়ো শহরটাকে ভালবেসে ফেলল আরেকবার। রাইটার্সের পাশের ফুটপাথে বিক্রি হতে দেখলো হাজারো লোভনীয় খাদ্যের সম্ভার। কুড়ি টাকার বিখ্যাত সেই বিরিয়ানী, যাকে তারা বলতো কৌয়া বিরিয়ানি। পেল ডেকার্স লেনে দুরন্ত সব খাবারের সন্ধান। শুনলো পোদ্দার কোর্টের সামনে ভোরবেলায় কলকাতার চীনাদের নিয়ে বসা অথেনটিক চাইনিজ ব্রেকফাস্টের কথা। জানলো এবং দেখলো বো ব্যারাকের অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের কথা। বৌবাজারের ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, চিৎপুরের নাখোদা মসজিদ আর ক্যানিং স্ট্রিটে ইহুদীদের সিনাগগের কথা। বুঝলো সবার জন্যই বুক পেতে রেখেছে এই শহর কলকাতা। এর পরের চাকরিটা তাকে সাহায্য করলো এই শহরটাকে আরো ভালভাবে, আরো বিশদে চিনতে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। সে দেখলো অজস্র অচেনা গলিখুঁজি, সে দেখলো মধ্যরাতের কলকাতা। শহরটার অচেনা অন্ধকার দিক তাকে বিষণ্ণ করলো যেমন, তেমনি ভোরবেলার রেড রোড, গঙ্গার ধার আরেকবার মুগ্ধ করলো তাকে। 

এতদিনে একটা জিনিষ সে বুঝে গেছে, এই শহরটার প্রাণ আছে। বিগত তিন দশক ধরে এ শহরটাও তার সাথেই চলেছে, তার সাথেই বড় হচ্ছে, বুড়ো হচ্ছে। এ শহর দেখেছে ক্লাস সিক্সে নতুন ভর্তি হওয়া শান্ত ছেলেটির সাথে তার বন্ধুত্ব গাঢ় হচ্ছে, আস্তে আস্তে বাকি সহপাঠীদের কাছে তারা জুটি হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এবং এই শহরই সাক্ষী থেকেছে তিনটি দশক পার করে পরবর্তীকালে ছাত্রদের প্রিয় অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত সেই সদাহাস্যময় বন্ধুটির আচমকা একদিন জুটি ভেঙ্গে অন্য দুনিয়ায় পাড়ি দেওয়ার। শহরটা দেখেছে, আচমকা খবরটা পেয়ে মাঝপথে বাস থেকে নেমে পড়ে ফ্যালফ্যাল করে শুন্য চোখে চেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটা। আরো অনেকবারই শহরটা এ ভাবে দেখে ফেলেছে অপ্রস্তুত তাকে। কখনো এদিক ওদিক তাকিয়ে কেউ নেই দেখে হাত মুঠো করে আনন্দে লাফিয়ে উঠতে দেখেছে ছেলেটাকে, কখনো অপমানে, যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত চেপে ঝাপসা চোখে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছে।

ছেলেটাও দেখছে শহরটাকে পালটে যেতে। জগুবাবুর বাজার, ছাতুবাবুর বাজার, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট মার্কেট সব ম্লান করে দিয়ে আসছে একের পর এক ঝাঁ চকচকে শপিং মল। এখনকার কলেজপড়ুয়ারা কফি হাউসে আড্ডা মারার চেয়ে বেশী স্বচ্ছন্দ বারিস্তা বা সিসিডিতে। উঠে গেছে পুরনো সেইসব সিনেমা হলগুলোর অধিকাংশই। বদলে এসেছে আইনক্স বা অন্য কোন মাল্টিপ্লেক্স। ডমিনো’জ, কে.এফ.সি বা মোমো প্লাজার আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে অনাদির মোগলাই, গোলবাড়ির কষা মাংস, মিত্র কাফের ব্রেন চপ বা অ্যালেনের চিংড়ির কাটলেট। এ কলকাতা অচেনা ঠেকে তার কাছে। তারপর তার স্বস্তি ফিরে আসে ২৩শে জানুয়ারী সকালে হাতিবাগানের লক্ষ্মীনারায়ন সাউয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। সেখানে গত একশ বছরের মত আজও নেতাজীর জন্মদিনকে মনে রেখে সারাদিন বিনামূল্যে তেলেভাজা খাওয়ানো হয়। তার ভারী শান্তি হয় থিমপুজোর ভিড় এড়িয়ে শোভাবাজার রাজবাড়ি বা দর্জিপাড়ার মিত্রবাড়িতে দু-আড়াইশো বছর আগেকার সাবেকী প্রথা মেনে হওয়া পুজোমন্ডপে দাঁড়িয়ে। চেনা আরাম টের পায় গড়ের মাঠের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া ফাঁকা ট্রামে বসে, পার্ক স্ট্রিট গোরস্থানে একা হাঁটতে হাঁটতে অথবা পড়ন্ত বিকেলে প্রিন্সেপ ঘাটের ধারে বসে গঙ্গায় সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে। আর তখনই এক লহমায় সে বুঝে যায় তার কলকাতা আছে সেই কলকাতাতেই, থাকবেও। কে জানে, তিনশো বছর আগে ওই একই সময়ে সুতানুটির কোনো এক ঘাটে বসে অস্তমিত সূর্যের দিকে চেয়ে স্বয়ং জোব চার্নকও সেই একই কথা ভাবছিলেন কী না! 

লেখক পরিচিতি

 

 

প্রিয়ঙ্কর চক্রবর্তী

ভালোবাসেন বেড়াতে আর প্রচুর বই পড়তে। ইদানীং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আর ওয়েব সিরিজের পাল্লায় পড়ে বই পড়া কমে যাচ্ছে বলে নিজেকেই গাল দেন। লেখালেখিতে ভয়ানক আলস্য। নেহাত বন্ধুদের তাড়নায় একমাত্র প্রকাশিত বই ‘বৈঠকী’।

Author

Du-কলম

Join the Conversation

  1. অন্তরের একদম গভীরতম স্থান থেকে লেখা। শহরটাকে প্রাণ দিয়ে ভালো না বাসলে, এ প্রবন্ধ লেখা সম্ভব নয়। একটা কথা না বলে পারছি না। বাইরের কোথাও থেকে ফিরে যখন হাওড়া ব্রীজের ওই বিশাল লোহার ট্রাসটা দেখি, মনে হয় যেন আবার মায়ের কোলে ফিরে এলাম। এ শহর সত্যিই জানে। এ শহর সকলকে ভালবাসতে জানে।

  2. অসাধারণ লেখা বন্ধু। বাংলায় তোর মত দখল নেই, তাই খুব ভালো লাগলেও, সঠিক ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না লেখাটার প্রশংসা করার। তোর লেখার মধ্যে একটা সাবলীল ভাব আছে যেটা খুব টানে। ভালো লিখেছিস।

  3. অপুর্ব লেখা। সব থেকে বড়ো কথা খুব আন্তরিক ভাবে কলকাতা কে বিশ্লেষন। এমন আরো লেখা পাবার আশা রাখছি ।

  4. দারুন লেখা। মন প্রাণ উজাড় করে লিখেছো। খুব ভালো লাগলো।

  5. Thik emon korei choto theke bere uthechi amar bhalobasar sahar kolkatay .kakhono maner gavir theke eto eto priyo sabdo diye sajate parini maner katha .priyankar tumi sundar sahaj kore chobir moto tule dhorecho.khub bhalo laglo.ashadharan.emon bhabei likhte thako…

  6. প্রিয়ঙ্কর আপনার লেখাটি মনের গভীর ছুঁয়ে গেল। এরকম লেখা আরো পড়ার দাবী রইলো। তবে ছোট একটি technical ভুল নজরে এলো। রাণী রাসমণি তৎকালীন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি রবার্ট চেম্বার্সের বাগানবাড়ীটি ক্রয় করে সেখানে একটি বাজার বসান ও মেজমেয়ের পুত্র যদুনাথ চৌধুরীকে দান তরে যান। এটিই বর্তমান ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার যা লোকে ভুল করে জগুবাবুর বাজার বলে জানে।

Leave a Reply to প্রিয়ঙ্কর Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!