Home ভ্রমণ, প্রবন্ধ আমার ভ্রমণ বৃত্তান্ত – ২৯
ভ্রমণপ্রবন্ধ

আমার ভ্রমণ বৃত্তান্ত – ২৯

গোপা মিত্র

দার্জিলিং
পর্ব ১

এই প্রথমবার আমি মুখোমুখি কাঞ্চনজঙ্ঘার, বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ (উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার) – মুগ্ধ বিস্ময়ে স্তব্ধ আমি, অনড় অচল বাক্‌রহিত। উন্নতশির, ধ্যানগম্ভীর, শুভ্রসুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘা, যেন আমাদের বরাভয় দানেই প্রহরারত, স্থির অচঞ্চল। এর আগেও তো আমি হিমশিখর গিরিশ্রেণী দেখেছি মানালীতে ( আমার ভ্রমণ বৃত্তান্ত – ১), এমনকি রোটাংপাসে বরফের ওপর দিয়ে হেঁটেওছি, কিন্তু সে অনুভূতি অন্যরকম। এই দিগন্তবিস্তৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার সামনে নিজেকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হল। এমন মৌন অথচ মুখর, এত দূরে অথচ হৃদয়ের এত কাছে –এজন্যই কি কাঞ্চনজঙ্ঘা অনন্য, বিশেষ?

শৈলরাণী দার্জিলিং, কাঞ্চনজঙ্ঘার দার্জিলিং, আমার প্রিয় দার্জিলিং-এ, এসেছি আমি বারেবারে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ঋতুতে – তার রূপ দর্শনে। বসন্ত, বর্ষা, শরৎ, শীত –প্রায় কোন ঋতুই বাদ যায়নি। দার্জিলিং আমায় সব ঋতুতেই খুশী করেছে। কোনোবারই আমি হতাশ হয়ে এখান থেকে ফিরিনি। 

১৯৭৩ সালে মার্চের একেবারে প্রথমে, কল্যাণের সঙ্গে দার্জিলিং আসা সব অর্থেই আমার কাছে স্মরণীয়। প্রথমবার দেখব কাঞ্চনজঙ্ঘা, তার জন্য যতটা আগ্রহ, ততটাই উৎসাহ প্রথমবার রকেট বাসে চড়ব বলে।

তখন উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের উচ্চগতিসম্পন্ন রকেট বাস, চলছে ধর্মতলা শিলিগুড়ির মধ্যে। ট্রেনে তো আগে চড়েছি অনেকবার – তাই এবার বাসের টিকিট কাটা হল। বাস ছাড়ে রাতে, পৌঁছয় ভোরে। 

আমরা Seat পেয়েছি প্রায় পিছনের দিকে – ঝাঁকুনি একটু হচ্ছে বটে, তবে বেড়াবার আনন্দে আমরা সেসব গ্রাহ্যের মধ্যেই আনছি না। এগিয়ে চলল বাস, পিছনে পড়ে রইল রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর, পলাশী, মুর্শিদাবাদ – ইতিহাসের শহরগুলো পেরিয়ে চলেছি আমরা, কিন্তু আলো অন্ধকারে চকিতের দেখায়, তাদের চেনার উপায় নেই। বাস যত এগোচ্ছে, ততই তার গতি বাড়ছে, ঝাঁকুনিও বাড়ছে। ঝিমুনি আসছে ঠিকই, কিন্তু চোখ বন্ধ হলেই লাফিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছি, আবার পরমুহূর্তেই Seat এ বসে পড়ছি। 

ঘুমের আশা ছেড়ে দিয়ে এবার বাসের এই Journey-টাই উপভোগ করতে চেষ্টা করলাম। জানলার বাইরে দৃষ্টি ফেরালাম, হাওয়ার ঝাপটা শরীর ঠান্ডা করে দিল। নিস্তব্ধ, নিঃঝুম পিচের রাস্তা পিছিয়ে গিয়ে আমাদের যাবার রাস্তা এগিয়ে দিচ্ছে। বাসের হেডলাইটের আলোয় মাঝেমাঝেই দেখছি অন্ধকার ঘুমন্ত বাড়ী ঘরগুলো। রাস্তার ধারের Street Light-গুলো টিমটিমে একচক্ষু মেলে যেন চেয়ে আছে শুধু আমাদেরই দিকে।

ফারাক্কা বাঁধ পেরিয়ে আমাদের বাস মধ্যরাতের পর প্রথমে থামল গৌড় তারপর মালদহে। এখানে কয়েকজন নেমে গেল আবার কয়েকজন মালদহ থেকে বাসেও উঠল। আমরাও নেমে মুখে চোখে জল দিয়ে Fresh হয়ে গা হাত পা একটু ছাড়িয়ে নিলাম। 

আবার ছাড়ল বাস, ঝাঁকুনিতে তখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এবার চোখ জড়িয়ে এল ঘুমে। ঘুম ভাঙল একেবারে ভোরবেলা, শিলিগুড়ি পৌঁছে। সকলেই তখন নামার তোড়জোড় করছে। আমরাও নেমে একটা জিপ নিয়ে রওনা দিলাম দার্জিলিংএর পথে। 

৬৭০০ ফুট উচ্চতায় পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শৈলশহর দার্জিলিঙ-এর দূরত্ব কলকাতা থেকে প্রায় ৬৫৬ কিলোমিটার। হিমালয় গিরিশ্রেণীর ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা শৈলরাণী দার্জিলিং-এর রূপের তুলনা নেই। চারিদিকে সবুজ অরণ্য পাহাড়ের ঢেউ আর তারই উত্তরে প্রহরারত দিগন্তবিস্তৃত গগনচুম্বী বরফাবৃত রুপোলী ঝক্‌ঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যোদয়ে সে রক্তিমাভা ছুঁয়ে স্বর্ণবরণী। এসবের মধ্যে দিয়েই বয়ে চলে কন্‌কনে হিমেল ঠান্ডা বাতাস, সঙ্গে নিয়ে কখনো মিঠেকড়া রোদ্দুর বা ইতস্ততঃ চলমান মেঘের ভেলা। 

আমাদের হোটেল নিউ এভারেষ্ট লাক্সারী ম্যাল থেকে সামান্য দূরে গান্ধী রোডের উপরে। রাস্তা থেকেই সিঁড়ি উঠে গেছে দোতলায়। ঘরের কাচের জানলা দিয়েই দেখা যায় নিচের রাস্তা বা সামনের দৃশ্যাবলী। সিঁড়ি দিয়ে নেমে ডানদিকে কিছুদূর হাঁটলেই পৌঁছে যাই ম্যালে। তার আগে, কোনো কোনো দিন ক্যাভেন্টার্সের ছাদে বসে হটডগ বা অন্য কিছু দিয়ে সেরে নিই প্রাতঃরাশ। 

ক্যাভেন্টার্স থেকে একটু এগোলেই ডানদিকে পাহাড়ের পাঁচিলের গায়ে ভুটিয়া মেয়েরা বসে তাদের গরম জামাকাপড়ের পসরা সাজিয়ে বিক্রীর অপেক্ষায়। হাত তাদের সর্বদাই ব্যস্ত উলকাঁটা চালনায়। তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তার উপরেই খেলায় মত্ত। 

পর্যটন নির্ভর দার্জিলিং-এর প্রাণ ম্যালের চৌরাস্তা। ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে মিঠে রোদ গায়ে মেখে ম্যালের বেঞ্চে বসে দেখতে ভালো লাগে সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া সুদৃশ্য পোষাকের পর্যটকদের, বাচ্চাদের বা তাদের বাবা মায়েদের ঘোড়ার পিঠে বসে পোজ্‌ দিয়ে ছবি তোলা, আশেপাশের দোকানদারদের সঙ্গে পর্যটকদের দরদস্তুর বা ম্যালের বেঞ্চিতে বসেই দার্জিলিংএর সুবাসিত চা পান উপভোগ করা।

পাহাড়ি ধাপে ছোট্ট সমতল ম্যালের চারিপাশ ঘেরা রেলিং দিয়ে। পাশে তার সবুজ উপত্যকা আর দূরে বরফে মোড়া পর্বতশৃঙ্গ। দেখতে দেখতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামে। আমরাও ফিরে চলি হোটেলের পথে। একবার অবশ্য থেমে যাই গ্লেনারিজের বেকারীতে – সেখান থেকে কিনে নিই বা খেয়ে নিই কোনো পছন্দসই কেক পেস্ট্রী। এবার দার্জিলিং থাকাকালীন একদিনও মিস্‌ হয়নি এখানের কেক পেস্ট্রী খাওয়া।

প্রায় ম্যাল থেকেই উঠে গেছে অবজারভেটারী হিল – এই পাহাড়েই রয়েছে মহাকাল গুহা। আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথে প্রায় ট্রেক করেই পৌঁছতে হয় সেই মহাকাল মন্দিরে। অবজারভেটারী হিলের পাশ দিয়ে ম্যাল রোড থেকেই শুরু, উঁচু উঁচু সারবন্দী পাইন গাছের ছায়াময় পথ ধরে একদিন পৌঁছে গেলাম পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল গার্ডেনে। অন্যান্য জীবজন্তুর সাথে এখানেই প্রথম দেখলাম রেডপান্ডা, পোলার বিয়ার। এর পাশেই রয়েছে ভারতের প্রথম পর্বতারোহন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র – হিমালয়ান মাউন্টেনি্য়ারিং ইনষ্টিটিউট।

আর একটু এগিয়েই দার্জিলিং রঙ্গিত ভ্যালী রোপওয়ের প্যাসেঞ্জার ষ্টেশন। আকাশপথে আমরাও বেড়িয়ে এলাম রঙ্গিত ভ্যালী পর্যন্ত। নিচের উপত্যকা তখন আবৃত সবুজ চাদরে।

অবজারভেটারী হিলের অন্য পাশে রয়েছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতিবিজড়িত ষ্টেপ অ্যাসাইড ভবন। আর একটু এগোলেই পড়ে রায় ভিলা – সিষ্টার নিবেদিতার স্মৃতি মন্দির, যেখানে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। আরো খানিক এগোলেই পড়ে ভুটিয়া বস্তি। 

৮ কিলোমিটার দূরে ১৮০৯ মিটার উচ্চতায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ঘোড়দৌড়ের মাঠ লেবং রেস কোর্স মনে হয় যেন সবুজ গালিচায় ঢাকা। 

আমাদের হোটেলের কাছেই উঁচু নিচু পাহাড়ের ঢালে বোটানিক্যাল গার্ডেন – এতটাই বড়ো এবং এতরকম গাছের সমারোহ যে একদিনে দেখে শেষ করা যায় না। 

সমগ্র দার্জিলিংএর জল Supply হয় ৮১৬০ ফুট উচ্চতার এক পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত সেঞ্চল লেক থেকে। দার্জিলিং থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চারিপাশের বনাঞ্চলের মধ্যে এই অঞ্চলটিতে অনেকেই আসে পিকনিক করতে। আমরাও একদিন বেড়িয়ে এলাম সেখান থেকে। 

দার্জিলিং রেল ষ্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার এগিয়ে রাস্তার ডানপাশে রয়েছে আভা আর্ট গ্যালারী – শিল্পী আভা দেবীর আঁকা ছবি আর এমব্রয়ডারী দিয়ে সাজানো। ষ্টেশনের কাছেই নিচের রাস্তায় রয়েছে নেপালের বিখ্যাত পশুপতিনাথ মন্দির শৈলীতে নির্মিত শিব মন্দির ধীরধাম। এবার জিপ আমাদের নিয়ে চললো হ্যাপী ভ্যালী টী এস্টেটে। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি – ছোট ছোট ঝোপাকৃতি কালচে সবুজ চা গাছগুলি পায়ের নিচে যেন কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে। তারই মাঝে সরু পায়ে চলা পথ দিয়ে এগিয়ে চলি আমরা এদের চা প্রস্তুতির কারখানায়।  এখানে আমরা দেখলাম, কিভাবে চা পাতা থেকে চা প্রস্তুত হয়ে প্যাকেজিং হচ্ছে।

ম্যালের কাছেই স্টাফ করা পাখী, সরীসৃপ ও প্রজাপতির সংগ্রহ নিয়ে তৈরী ন্যাচারাল হিস্ট্রী মিউজিয়াম ছোট হলেও আকর্ষণীয়। 

একদিন ভোরে আমরা চললাম টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখতে। দার্জিলিং থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ৮৫০০ ফুট উচ্চতায় টাইগার হিল ভিউ পয়েন্ট। আগের দিনই জিপ ঠিক করে রাখা হয়েছিল। পরদিন রাত প্রায় সাড়ে তিনটেয় তারা এসে আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে দিল। কোনরকমে তৈরী হয়ে, তখনও অন্ধকার সেই রাতে, বাইরে এসেই ঠান্ডায় হাড় কেঁপে গেল। জ্যাকেট, উইন্ডচিটার তখনও বাজারে আসে নি। এত ঠান্ডায় আমরা যাবো কি করে? দুজনে আবার ঘরে ফিরে গিয়ে বিছানায় ছড়িয়ে থাকা লেপ কম্বলগুলোও তুলে নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নিলাম। 

টাইগার হিলের নিচে গাড়ী থেমে গেল। লেপ কম্বলের বোঝা নিয়েই আস্তে আস্তে আমরা উঠে এলাম উপরে  – View Point-এ। সেখানে তখন আমাদেরই মত কিছু পর্যটক উপস্থিত – তাদেরও গায়ে জড়ানো লেপ কম্বল। 

টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার একটাই সুবিধা, একই সঙ্গে এখান থেকে মাউন্ট এভারেষ্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তবে মেঘ এসে গেলে সব কিছুই মাটি। 

আমরা সবাই অপেক্ষায় সূর্যোদয়ের। আস্তে আস্তে আকাশ হয়ে উঠলো রক্তাভ, পাহাড় চূড়াও তখন ধারণ করেছে রক্তিমবর্ণ। অন্ধকারের মধ্যে থেকে হঠাৎই যেন জেগে উঠল সূর্য, আর তারই আলোকপ্রভায় লালচে পাহাড় চূড়া হয়ে উঠল সোনার বরণী। রঙীন নয়, সাদা কালো ক্যামেরায় এই দুর্লভ দৃশ্যের ছবি উঠল সাদা কালোয়। 

দার্জিলিং-এর সব কথাই তো লেখা হয়ে গেল,  বাকী রয়ে গেল শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু আমার লেখার এই স্বল্প পরিসরে তাকে আমি ধরব কেমন করে? দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘা তো সমার্থক, একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যখনই হেঁটেছি দার্জিলিংএর রাস্তায়, তখনই তো সে আমাদের সঙ্গী হয়েছে –  কখনো চলেছে পাশে পাশে আমাদের হাত ধরে আবার কখনো বা সামনে সামনে আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে। আমি শুধু তার অকল্পনীয়, অতুলনীয়, অনবদ্য, শুভ্র উজ্জ্বল রূপ আমার মন দিয়ে স্পর্শ করতে চেয়েছি। অবাক বিস্ময়ে তার পদতলে নতজানু হয়ে তার মহামহিম, গর্বোদ্ধত, দীপ্তিময় রূপের বিশাল ব্যাপ্তি হৃদয় দিয়ে অনুভব করে তাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি মাত্র।

শেষ হয়ে গেল দার্জিলিঙএর আনন্দময় দিনগুলো। নেমে এসেছি শিলিগুড়িতে – আবারও ফেরা রাতের সেই রকেট বাসেই। কিন্তু শিলিগুড়িতে নেমেই মনে হল, এত গরম কেন? তখনই মনে পড়ল, গরম তো লাগবেই,  এখন যে মার্চ মাসের মাঝামাঝি। নিজেদের গায়ের গরম জামাগুলো সব টেনে টেনে খুলে ফেললাম। তখনই মনে হল, না জানি কলকাতায় এখন কি অবস্থা! সেই প্রথম বুঝলাম গরমকালে শীতের দেশে বেড়ানোর মজা! নাঃ, এবার থেকে সাময়িক স্বস্তির জন্য গরমকালে নয়, শীতের দেশে যেতে হবে শীতকালেই।

— প্রথম পর্ব সমাপ্ত —

লেখিকা পরিচিতি
 
 
 
গোপা মিত্র

ফিজিক্স অনার্স। একসময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও, প্রকৃতপক্ষে গৃহবধূ – কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষে। ভ্রমণের নেশা প্রবল। ভারতের বাইরে কোথাও না গেলেও দেশের মধ্যেই প্রচুর ঘুরেছেন। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থান – কোনোওকিছুই বাদ নেই। এখনও সুযোগ সুবিধে হলেই বেরিয়ে পড়েন। দু-কলমের জন্যে জীবনে প্রথমবার কলম ধরা।

Author

Du-কলম

Join the Conversation

  1. As usual লেখা টা খুব ভালো হয়েছে ।কাঞ্চনজঙ্ঘার descriptionটা দারুণ।

    1. ধন্যবাদ । তবে সত্যিই কি কাঞ্চন জঙ্ঘা কে ঠিক মত ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি ?

Leave a Reply to গোপা মিত্র Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!