সামাজিকগল্প

তিস্তা

তানিয়া সাহা

 
।। ১ ।।

বিয়ের পর প্রথম পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পা রাখলো তিস্তা। খুব একটা বেশী বেড়ানোও হয়নি কখনোও, আত্মীয়স্বজন যাঁরা আছেন, বেশীরভাগই কলকাতা বা তার আশেপাশে। তাই বাইরের দুনিয়াটা দেখার সৌভাগ্য তেমন হয়নি। সম্বন্ধ করেই বিয়ে। প্রেম একটা হয়েছিলো বটে। বেশ গভীর এবং অনেক লম্বা সময় ধরে, সেই ক্লাস ইলেভেন থেকে গ্র্যাজুয়েশন অবধি। সেই প্রেমটা কেন টিকলো না, সেটা আর এক গল্প। খুব অযৌক্তিক ভাবে হঠাৎ করেই ব্রেকআপ করে দেয় ছেলেটি। তিস্তা ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনি। খুব কান্নাকাটি করেছিলো। বেশ কিছুদিন লেগেছিলো নিজেকে সামলাতে। তারপরই সে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার। বরং খানিকটা সেই কারণেই মনে মনে ঠিক করে যে, বিয়ে যদি করতেই হয়, অনেক দূরে চলে যাবে। এই চেনা পরিবেশ, পুরোনো স্মৃতি – সবকিছু যেন দম বন্ধ করে দিচ্ছিলো তার। সিদ্ধান্ত নেয় সবকিছু ভুলে গিয়ে নতুনভাবে জীবনটাকে শুরু করবে। জীবনের কাছে হার মানতে তার আত্মসম্মানে লেগেছিলো।

যাই হোক, মনের ইচ্ছে পূর্ণ হলো তিস্তার। যার সঙ্গে বিয়ে হলো সে প্রবাসী। কিন্তু বিয়ে পাকা হওয়ার পর তিস্তা কোনোওকিছু তার হবু স্বামীর কাছে লুকোয়নি।অকপটে সব কথা খুলে বলেছিলো তাকে। মিথ্যাচার দিয়ে জীবনটা সে শুরু করতে চায়নি। মৈনাক অর্থাৎ তার হবু স্বামীও অতীত নিয়ে চলতে চায়নি এবং তিস্তার সততাকে মর্যাদা দিয়েছিলো।

মৈনাক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং একটি বহুজাতিক সংস্থার মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। সেই সূত্রে তাকে খুবই ঘন ঘন অফিসের কাজে বাইরে ট্যুরে যেতে হতো। তিস্তা সুন্দরী, শিক্ষিতা, নাচ-গান-আঁকায় পারদর্শী। কিন্তু বাংলার বাইরে গিয়ে থাকার জন্যে যেটা অবশ্য প্রয়োজনীয় গুণ, সেটারই কমতি ছিলো তার। সে মোটেই হিন্দী, ইংরেজী বলতে পারদর্শী ছিলো না। তার ওপর একেবারে অজানা, অচেনা পরিবেশ তাকে খুব অসহায় করে তুলেছিলো। বিশেষতঃ মৈনাকের অনুপস্থিতির সময়টা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলতে পারতো না, শুধু মৈনাকের এক অফিস কলিগের ছোট বাচ্চা ছেলেটির সাথে ভাঙা ভাঙা হিন্দীতে কথা বলে হাতেখড়ি হচ্ছিলো তার হিন্দী শেখার।

 

।। ২ ।।

এরই মধ্যে কি হলো, বিয়ের মাসখানেকও কাটেনি – মৈনাক ট্যুরে। সারাদিনটা তো কাজকর্ম, স্নান, খাওয়াদাওয়া করেই কেটে গেলো, সন্ধ্যেবেলা কি করবে তিস্তা? বিকেলে ঘরে লাগোয়া ছাদটাতে একটু হাঁটতে বেরিয়েছিলো। কিন্তু ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করলো, কেউ ওকে লক্ষ্য করছে। তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কাগজপত্র, পেনসিল নিয়ে ছবি আঁকতে বসলো। খুব ভালোবাসার একটা জায়গা। তখন টেলিফোন, টি.ভি., মোবাইল, ইন্টারনেট কিছুই ছিলো না, সদ্য বিয়ে হয়েছে, সংসার সেরকমভাবে গুছিয়ে ওঠা হয়নি। দোতলার দুটো ফ্ল্যাটের মধ্যে একটায় ওরা থাকে। অন্যটা খালি। একতলায় দুটো পরিবার। ফেব্রুয়ারী মাস। তখনোও শীতটা ভালো করে যায়নি।

চারিদিক নিঃস্তব্ধ। একটু ভয় ভয় তো অবশ্যই করছে। বাইরে সন্ধ্যের অন্ধকার বেশ গাঢ় হয়েছে। মন দিয়ে ছবি আঁকছে তিস্তা। হঠাৎ দরজায় ঠক্‌ঠক্‌। “ক্যুরিয়ার হ্যায় ম্যাডাম্‌, দরওয়াজা খোলিয়ে।”

তিস্তার তো বুকের ভেতর হৃদপিন্ডটা লাফাতে শুরু করে দিয়েছে। নিজেকে খুব সংযত করে সে বললো, “আভি? ইতনী রাত কো?”

“হাঁ, মিস্টার মিত্রা কা হ্যায়।” (মিস্টার মিত্র মানে মৈনাক। তিস্তার হাজব্যাণ্ড।) “অফিস সে ভেজা হ্যায়।” প্রেরকের নামটাও সে বলে দিলো।

তিস্তা চিন্তায় পড়লো। এবার কি করবে সে? অনেক ভেবেচিন্তে সে বললো, “আপ দরওয়াজা কে নীচে ডাল্‌ দো।”

কিন্তু লোকটা নাছোড়বান্দা। সে বললো, “ঠিক হ্যায়, পর আপ থোড়াসা মুঝে পানি তো পীলা দিজিয়ে। বহুৎ প্যাস লাগা।”

তিস্তার তো ভয়ে হাত-পা কাঁপছে। কি হবে এবার? কেউ তো টেরও পাচ্ছে না, ওপরে কি হচ্ছে। সিঁড়ি তো খোলা। যে কেউ ওপরে ঊঠে আসতে পারে। আসলে, এতোদিন ব্যাচেলর ছেলেরা থাকতো। কেউ খেয়ালও করেনি, কতোটা ইনসিকিওর একজন একা মহিলার জন্যে এই ফ্ল্যাট।

সেদিন কিছুতেই দরজা খোলেনি তিস্তা। সারারাত ভয়ে ঘুমোতেও পারেনি। পরেরদিন সকালে উঠে রাস্তার দিকের জানলাটা দিয়ে বাইরে উঁকি মেরে দেখে, চকরা-বকরা পোষাক আর রঙ্গীন সানগ্লাস পরা একটি অত্যন্ত গুণ্ডা প্রকৃতির ছেলে মোটরবাইকের ওপরে বসে তাদের ফ্ল্যাটের দিকে নজর রাখছে। সঙ্গে সঙ্গে নীচে গিয়ে মৈনাকের সহকর্মীর পরিবারকে সবকিছু বিস্তারিত জানায় তিস্তা। তার তারপরেই আশপাশের সবাই মিলে যেই বাইরের লনে বেরিয়ে আসে, ছেলেটি বুঝতে পারে গণ্ডগোল এবং বাইক স্টার্ট করে দে দৌড়। সেইরাত্রেই মৈনাক ট্যুর থেকে ফিরে আসে আর সব শুনে সেও চমকে যায়।

সে যাত্রা তো বেঁচে গেলো তিস্তা। কিন্তু এখানেই শেষ নয় – এরপরেও আরোও আছে।

তিস্তা নতুন নতুন বিয়ের পর  প্রায়ই কলকাতা যেতো। এরকম ই একবার যাওয়ার সময় একটি অসস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সাধারণত সে মিডল বার্থে শোয়া পছন্দ করতো। রাত্তিরে শুয়ে পড়ার পর সে হঠাৎ খেয়াল করে তার উল্টোদিকের মিডল বার্থের  ভদ্রলোকটি শুধু তাকে দেখছেই না, তাকে যাতে ছুঁতে পারে তার জন্যে নিজের ডান হাতটা বাইরে ঝুলিয়ে রেখেছে। সবাই ঘুমালেই সে সেই কাজটি করবে সেটা তিস্তা বুঝতে পেরেছিল। আসলে ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষনের মধ্যেই তিস্তা এই লোকটার হাবভাব বেশ ভালোই বুঝতে পারলো। তাই আসন্ন বিপদের কথা ভেবে সে শিউরে উঠলো। নিচের বার্থেই শুয়ে আছে মৈনাক। সে হঠাৎ তাকিয়ে দেখলো ওপর দিকে, সঙ্গে সঙ্গে আলো জ্বেলে সেই লোকটির উদ্দেশ্যে চেঁচাতে শুরু করলো। আশপাশের দু একজন ও তখন উঠে এসেছে। তিস্তার খুব অপ্রস্তুত লাগছে আবার মৈনাকের এই রুখে দাঁড়ানো মনোভাব একটা অদ্ভুত ভালোলাগা এনে দিচ্ছে। লোকটিকে ঘাড় ধরে মৈনাক আর দুজন মিলে ক্যুপের বাইরে নিয়ে গেলো। ওই লোকটির সঙ্গে যে ছিলেন, তিনি অনেকবার ক্ষমা চাইলেন এবং স্বীকার করলেন যে, তাঁর সঙ্গীর একটু স্বভাবের দোষ আছে।

 

।। ৩ ।।

তিস্তারা যেখানে থাকতো সেখান থেকে পুরী ওভারনাইট জার্নি। একটা উইকএণ্ডে বেরিয়ে পড়লো দুজনে। সারারাত বাসজার্নি করে পরদিন ভোর ভোর পুরী পৌঁছে গেলো তারা। দোল উৎসব ছিলো তখন। প্রথম দিনটা তো ঘুরে বেড়িয়ে রেস্ট নিয়েই কেটে গেলো। পরের দিন একটু বেলা করে উঠেই সোজা সমুদ্রের ধারে চলে গেলো ওরা স্নান করবে বলে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করলো সী-বীচ বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। যাই হোক, ব্যাপারটাকে অতোটা সিরিয়াসলি না নিয়ে জলে নেমে পড়লো ওরা।

একটু সময় জলে থাকার পরেই তিস্তার মনে হলো, জলের তলায় কে যেন তার পা-টা টেনে ধরে তাকে ফেলে দিতে চাইছে। ভাগ্যিস মৈনাকের হাতটা ধরা ছিলো তার, তাই পড়ে যায়নি। তারপর তারা খেয়াল করলো, ছ-সাতটি ছেলের দল জলের তলা দিয়ে মোটামুটি তাদের ঘিরে ফেলেছে। ভাগ্যিস ওরা সমুদ্রের খুব একটা গভীরের দিকে চলে যায়নি, তাই তাড়াতাড়ি করে উঠে আসতে পারলো। মৈনাক প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তিস্তা তাকে আটকায়, এতোগুলো ড্রাঙ্ক ছেলের সঙ্গে ও একা পারে না কি? সেইজন্যে ঝামেলা হতে হতে বেঁচে গেলো ওরা সেবারের মতো। পরে হোটেলে ফিরে শুনলো, দোলের দিন না কি সী-বীচ খুবই আনসেফ থাকে। হোটেলের কর্মচারীরাও সেদিন নিজেদের উৎসবে মজে থাকায় ওদের সতর্ক করে দিতে পারেননি।

 

।। ৪ ।।

পরের ঘটনা আরোও কয়েক বছর পরের। তখন তিস্তার একটি ছেলেও হয়ে গেছে। পরে অনেক ভেবে দেখেছে তিস্তা মানুষরূপী ভয়গুলো তাড়া করার কোনোও বয়সও লাগে না – জরুরী নয় যে, কোনোও মেয়ে, তন্বী, তরুণী, অবিবাহিতা হলেই তার সব থেকে ভয়। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সে বুঝেছে এইসব মানুষগুলো বিবাহিত, অবিবাহিত কোনোও কিছুরই পরোয়া করে না। যাইহোক শেষ ঘটনাটা বলি।

তখন অন্য একটি শহরে বদলি হয়েছে মৈনাক। একটি বহুতল হাউজিং কমপ্লেক্সে থাকে তারা। তখন তিস্তা অনেক কিছু করছে। ড্রাইভিং শেখা, কম্পিউটার শেখা, ফ্যাব্রিক পেন্টিং শেখা। এছাড়াও নানারকম হাতের কাজ, বিভিন্ন রকম রান্নার রেসিপি সে শিখে চলেছে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। সে তখন অনেকটা প্রবাসী আবহাওয়ায় নিজেকে তৈরী করে নিতে পেরেছে। গুজরাতী, সাউথ ইণ্ডিয়ান, মারোয়াড়ী, বিহারী নানারকম প্রতিবেশী। সবাই মিলে হৈ হৈ করে সময় কেটে যায়। সঙ্গে ছোট বাচ্চার কাজ তো আছেই।

তখন মৈনাকের ট্যুরে অনেকটা অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে সে। একাকীত্ব কাটাবার অনেক ব্যবস্থা করে নিয়েছে সে। মানে এককথায় বলা যেতে পারে সে স্মার্ট হয়ে উঠেছে। সেই সময় মৈনাকের কোম্পানীর এক ডিস্ট্রিবিউটর (যার স্ত্রী ছিলেন ডাক্তার) তাদের বাড়িতে বেশ আসা যাওয়া করতো। বেশীরভাগ সময়েই বাঙালী রান্নার স্বাদ পেতে। ওখানে বেশ বড় বড় গলদা চিংড়ী পাওয়া যেত, আর তিস্তা তখন খুব ভালো মালাইকারী বানানোতে হাত পাকিয়েছিলো। তো সেই ভদ্রলোক মাঝে মাঝে নিজেই চিংড়ীমাছ কিনে এনে অর্ডার করতেন “ভাবী, আজ মালাইকারী খানা হ্যায়।” যাইহোক, এইভাবেই চলছিলো।

এর মধ্যে মৈনাক যথারীতি ট্যুরে বেরোয়। সন্ধ্যেবেলা একটু বাজার করতে বেরোলো তিস্তা, বাচ্চাটাকে সঙ্গে নিয়ে। বাজার করতে করতে হঠাৎসেই ভদ্রলোকের সাথে দেখা। অল্প কিছু আলাপচারিতার পর উনি বললেন, “চলিয়ে ভাবী, ম্যায় আপকো ঘর ড্রপ দেতা হুঁ।” তো তিস্তার আপত্তি করার কথা মনে হয়নি। গাড়িতে উঠে বসেছিলো। এটাই ভুল করেছিলো। পরে ভেবে কী যে খারাপ লেগেছে তার।

ভদ্রলোক তারপর গাড়ি নিয়ে হু হু করে চালাতে শুরু করলেন। তিস্তা দেখলো তাদের বাড়ির দিকে না গিয়ে অন্য দিকে যাচ্ছেন তিনি। সে জিজ্ঞেস করাতে বললেন, “আভি জ্যাদা দের নেহী হুয়া হ্যায়। আপকো থোড়া ড্রাইভিং প্র্যাকটিস্‌ করোয়া দেতা হুঁ। উসকে লিয়ে থোড়া খালি রোড পে জানা পড়েগা।”

তিস্তা রাজী হচ্ছিলো না, কিন্তু স্টিয়ারিং তো ওনার হাতে। গাড়ি নিয়ে ভদ্রলোক একটা খালি এরিয়ায় গেলেন। তারপর তিস্তাকে বললেন, ড্রাইভারের সীটে এসে বসতে। অন্ধকার রাস্তা। এদিকে গাড়িতে চলছে রোম্যান্টিক হিন্দী গান। তিস্তা কাঠের মতো সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ী চালাচ্ছে। একেই তখন নতুন নতুন শিখছে, তার ওপর ভদ্রলোক গীয়ারের ওপর তিস্তার হাতের ওপর হাত রেখে চাপ দিচ্ছেন আর বলছেন, “দাদা তো হামেশা হি বাহার রহতে হ্যায়, আপ বোর নেহী হো যাতে? মুঝে বুলা লিয়া কিজিয়ে যব আপ কি মন চাহে।”

তিস্তার তো রাগে, লজ্জায়, ভয়ে কান দিয়ে আগুন বেরোতে শুরু করেছে। তার ছেয়েও বেশী হচ্ছে অপরাধবোধ। মৈনাককে কিভাবে বলবে ও এইসব ঘটনা। সব তার নিজেরই দোষ। সে তাড়াতাড়ি কথা ঘুরিয়ে বাচ্চার অসুবিধে হচ্ছে বলে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। খুব একটা কথা বাড়ায় না। কিন্তু ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। মৈনাক বাড়ী ফেরার পরে ধীরে ধীরে তাকে সব কথা জানায়। মৈনাক তো রেগে আগুন। ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে সারা জীবনের জন্যে সম্পর্ক ত্যাগ করা হয় তারপর থেকে।

মেয়েদের জীবনে এইরকম বহু ঘটনা থাকে যা তারা লজ্জায়, ভয়ে বা সংকোচে কাউকে বলে উঠতে পারে না। সাহিত্যচর্চা করা মানে ফুলের মতো সুন্দর ভাষা ব্যবহার করে মনের কল্পনাকে কথার রঙে রাঙিয়ে দেওয়া। কিন্তু জীবনের বাস্তবতাকে সুন্দর করে বলার উপায় জানা নেই। এই লেখা পড়ে হয়তো পাঠকরা আনন্দ পাওয়ার বদলে মনে অস্বস্তি অনুভব করবেন। কিন্তু এইসব ঘটনা তো কিছুই নয়। এগুলো হয়তঃ কোনোও নির্ভয়া বা অ্যাসিড অ্যাটাকের মতো জঘন্য, ঘৃণ্য অপরাধের মধ্যে পড়বে না, কিন্তু কিছু কিছু পুরুষ মানুষের লোলুপ দৃষ্টি বা কথা কোনোও মহিলার জীবনে অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরী করার জন্যে যথেষ্ট নয় কি?

Author

Du-কলম

Join the Conversation

  1. I know all these incidents, and I also faced these type of scoundrels many times! Even I know Tista very well as she is very close to my heart!

Leave a Reply to Srijit Mitra Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!