Home ভ্রমণ, প্রবন্ধ আমার ভ্রমণ বৃত্তান্ত – ৩৪
ভ্রমণপ্রবন্ধ

আমার ভ্রমণ বৃত্তান্ত – ৩৪

গোপা মিত্র

অমৃতসর
পর্ব-২

শ্রান্ত ক্লান্ত বিধ্বস্ত আমরা অবশেষে এসে পৌঁছলাম আমাদের জন্য নির্দিষ্ট, ‘হোটেল ইনডাস’-এ। সাতটা তখন বেজে গেছে। আমাদের আই ডি প্রুফ দেখিয়ে, টাকা জমা দিয়ে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট তিনতলার ঘরে এসে উপস্থিত হলাম। আসতেই এসি ঘরের বন্ধ কাচের জানলার ওপারে দৃষ্টি যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে গেলো। গলি পার হয়ে রাস্তার ঠিক ওপারেই বৈশাখী উৎসব উপলক্ষ্যে আলোকমালায় সজ্জিত স্বর্ণ মন্দির তখন স্বর্ণদ্যুতি ছড়াচ্ছে। হাতমুখ ধুয়ে চা জলখাবার খাবার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল আকাশে আলোকবাজির উৎসব – যেমন আমরা টিভিতে দেখি বর্ষবরণের সময় সিডনী থেকে সম্প্রচারিত আলোকোৎসব। মুগ্ধ বিস্ময়ে আমরা তখন চেয়ে রয়েছি সেইদিকে। এমন সময় একজন হোটেল কর্মচারী এসে আমাদের বললো যে, এই ঘরের উপরেই রয়েছে আপাততঃ বন্ধ এদের Roof Top Open Air রেস্তোরাঁ – আমরা সেখানে গেলে আরো ভালো করে দেখতে পাবো। ছাদে এসে আমরা দেখলাম – কখনো আকাশ থেকে ঝরে পড়া তারার বৃষ্টি, কখনো রঙবেরংএর গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের সম্ভার আবার কখনো বা ঝরে পড়া রঙীন ফুলের মালা। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চললো এই আলোকৎসব, তারপর শেষ হলো। সন্ধ্যার কালচে নীল আকাশের পটভূমিতে শুধু  জেগে রইলো স্বর্ণপ্রভায় উজ্জ্বল স্বর্ণ মন্দির।

ঘরের জানলা দিয়ে তখন দেখছি ঝলমলে পোষাকে সজ্জিত ছেলে মেয়ে বাচ্চা বুড়োর দল হৈহৈ করে নিচের রাস্তা দিয়ে ভীড় করে প্রবেশ করছে উল্টোদিকে স্বর্ণমন্দিরের দ্বারপথে। তাদের চোখে মুখে উৎসবের আনন্দ- ঠিক যেমন আমরা দেখে থাকি আমাদের দুর্গাপূজার সময়, সারারাত সারাদিনব্যপী বিরামহীন আনন্দউল্লাস আর অবিরাম জনস্রোত।

ক্লান্ত আমরা সেই ভীড়ে সেদিন আর স্বর্ণ মন্দির যাবার চেষ্টাই করলাম না। পরদিন সকাল তো রয়েইছে, তখনই নাহয় যাওয়া যাবে। তাড়াতাড়ি রাতের খাবারের কথা বলতেই এক ধাক্কা- কর্মচারীরা ছুটিতে বাড়ী যাওয়ার জন্য, রেস্তোরাঁ বন্ধ। আমাদের এখন বাইরে গিয়েই খেতে হবে। তারাই আমাদের পথ দেখিয়ে দিল, একটু এগিয়ে রাস্তা পার হলেই বাজার, সেখানে রয়েছে প্রচুর খাবার দোকান। উপায়ান্তরহীন আমরা সেই ভীড়ে ভারাক্রান্ত রেস্তোরাঁর একটায়, একটু জায়গা পেয়ে আমাদের রাতের খাওয়া সেরে নিলাম। পরদিন ভোরেই যাবো স্বর্ণ মন্দির- আনুর কাছেই শুনেছি সেসময় চমৎকার সুস্বাদু মোহনভোগ (হালুয়া) প্রসাদ পাওয়া যায়। 

গুরু নানক প্রবর্তিত ধর্মমতে আকৃষ্ট হয়ে অনেক হিন্দু ও মুসলমান তাঁর শিষ্য অর্থাৎ শিখ হয়ে যান। পাঞ্জাবী ভাষায় শিখ অর্থ শিষ্য। ১৫৭৭ সালে মোঘল বাদশা আকবর শিখগুরু রামদাসকে, এখন যেখানে স্বর্ণ মন্দির, সেই জমিটি দান করেন। চতুর্থ গুরু রামদাস সেই স্থানে পুষ্করিণী অমৃতসর অর্থাৎ অমৃতের সরোবর খনন করান। পঞ্চম গুরু অর্জনদেব সেই পুষ্করিণীর মাঝে নির্মাণ করেন মন্দির। মন্দির ঘিরেই পত্তন হয় নগর, অমৃতসর। আফগান রাজ আহমদ শাহ আবদালী সেই মন্দির ধ্বংস করলে শিখরা আবার তার পুননির্মাণ করে। পরে মহারাজ রণজিৎ সিংজী মন্দিরের নিচের অংশে মর্মর পাথর ও উপরের অংশে তামার পাত বসিয়ে সোনার চাদরে মুড়ে দেন। সেই থেকে এই মন্দির খ্যাত হয় স্বর্ণ মন্দির নামে।

শিখরা এই মন্দিরকে বলেন দরবার সাহিব বা হরমন্দির সাহিব বা ভগবানের বাসস্থান। মন্দিরে কোনো বিগ্রহ নেই, আছে গুরু অর্জনদেব সংগৃহীত শিখ ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থ সাহিব’। এই গ্রন্থই শিখদের উপাস্য। এতে এদের গুরুজীর সব উপদেশ লিপিবদ্ধ আছে। 

মন্দিরের চারদিকে চারটি প্রবেশতোরণ। তারই একটি দিয়ে হোটেল সংলগ্ন গলিপথ পার হয়ে আমরা প্রবেশ করলাম মন্দির চত্বরে। তোরণ পার হলে সামনেই স্বচ্ছজলের বিশাল অমৃত সরোবর, ঠিক তার উল্টোদিকেই রৌদ্রালোকে স্বর্ণপ্রভায় উজ্জ্বল স্বর্ণ মন্দির চোখ ধাঁধিয়ে দিলো। প্রায় চতুষ্কোণ সরোবর বেষ্টন করে এর বিশাল চত্বরে রয়েছে একাধিক ভবন। শিখ ধর্মের পীঠস্থান ‘অকাল তখ্‌ত’ রয়েছে এক ভবনে, ক্লক টাওয়ারে রয়েছে গুরুদ্বোয়ারা পরিচালন কেন্দ্র, এছাড়াও লঙ্গরভবন থেকে প্রতিদিন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার পূণ্যার্থীদের নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়। শুনলাম, প্রায় হাজার তীর্থযাত্রীর থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে অন্দরে। এত বিশাল কর্মকান্ড, অথচ এত সুশৃঙ্খল ভাবে এরা পরিচালিত করে যে না দেখলে বিশ্বাস করাই শক্ত।

স্টেশন থেকে ১ কিমি দূরের বিশাল এই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে হয় মাথা ঢেকে, খালি পায়ে। প্রয়োজনে এরা ছোট ছোট রুমাল আকৃতির কাপড়ও দিচ্ছে – ব্যবহারের পর এগুলো এদের ফেরৎ দিয়ে যেতে হয়। প্রবেশের পরই একটি ঘরে জুতো খুলে রাখতে হয়। সম্ভ্রান্ত ঘরের মহিলারা জুতো তুলে রাখেন, এর জন্য একটি পয়সাও ব্যয় করতে হয় না। কারণ এরা সকলেই এখানে আসেন কর্মদান করতে। এরপর মাথা রুমাল বা কাপড়ে ঢেকে পাথর বসানো প্রশস্ত পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া ঘড়ির কাঁটার চলনের দিকে, লাইন দিয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে – পাশে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য রাখে কোমরে কৃপাণ ঝোলানো শিখ প্রহরী। সরোবর বেষ্টন করা, এই পথ আবৃত আচ্ছাদনে, দুপাশের পাঁচিলে জাফ্‌রি কাটা। মাথার উপরে বা পাশে পাখা ঘুরছে, এছাড়াও জাফরির ফাঁক দিয়ে আসা সরোবরের ঠান্ডা হাওয়া ভিতরের তাপমাত্রা কখনোই খুব বাড়তে দিচ্ছে না। 

সরোবরের মাঝে দোতলা মন্দির সেতু দিয়ে যুক্ত, উপরে তার সোনায় মোড়া গোলাকার চূড়া। বর্গাকার একতলার অন্দরে মার্বেল পাথরের মঞ্চের উপর রয়েছে হস্তলিখিত ‘গুরু গ্রন্থসাহিব’। ভক্তরা এর সামনেই প্রার্থনায় রত। ধূপের ধোঁয়ায়, সর্বক্ষণ গেয়ে চলা মধুর ধর্মীয় সঙ্গীতে পবিত্র এই ধর্মস্থানে মন আপনা থেকেই ভক্তিভাবে নত হয়ে আসে। উপর তলায় রয়েছে গ্যালারী – সিলিং সোনায় ও মূল্যবান পাথরে ঝক্‌মকে। সিঁড়িতে ওঠার দেওয়ালে শিখগুরুদের ম্যুরাল। দরজা দেওয়াল সবেতেই রয়েছে সোনালী জমকালো কারুকার্য – ফুল লতাপাতা ও পাখীর।

অমৃত সরোবরে স্নানের ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেকেই সেখানে স্নান করে নিজেদের পবিত্র করে নিচ্ছেন। 

দর্শন সেরে পাশের লঙ্গর ভবনে গিয়ে আমরা লঙ্গরে অংশ নিলাম। হাজার হাজার ভক্ত সেখানে খেতে বসেছে। এক ব্যাচের খাওয়া শেষ হলেই কি অপূর্ব দক্ষতায়, সঙ্গে সঙ্গেই সেই জায়গা পরিস্কার করে মুছে, আবার বসার ব্যবস্থা হচ্ছে, সত্যি তা দেখার মত। সব কিছুই করছেন করসেবকরা, সুষ্ঠুভাবে, কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, চীৎকার চেঁচামেচি নেই। ভাত ডাল রুটী সব্জী ভাজী চাটনি ও হালুয়া- যত চাইবে তত পাবে, তবে ফেলে নষ্ট করা চলবে না। খাবার পরে ষ্টীলের থালা বাসনও ওরাই ধুয়ে পরিস্কার করছেন- সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষ মহিলারা এই কাজে রত। এই কর্মদান এরা অতি পুণ্যের বলে মনে করেন। শুনলাম, প্রতিদিন কাজে বেরোবার আগে এরা এখানে এসে কর্মদান করে তবেই কাজে যান। 

সরোবর প্রদক্ষিণ করে, সমস্ত কর্মকান্ড ঘুরে দেখে, মুগ্ধ আমরা, তৃপ্ত আমরা আবার এসে উপস্থিত হলাম যেখানে জুতো রেখে গিয়েছিলাম সেখানে, তারপর বেরিয়ে এলাম মন্দির চত্বর থেকে। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হোলো। 

স্বর্ণমন্দির থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথে জালিয়ানওয়ালাবাগ। ১৯১৯ সালের বৈশাখীর দিন (১৩ই এপ্রিল) রাওলাট এক্টের প্রতিবাদে আহূত হয় এক জনসভা, চারিপাশ ঘেরা এই উদ্যানে। এর প্রবেশ পথ ছিল মাত্র একটিই – আবার সেটিও ছিল যথেষ্ট সংকীর্ণ। সভা চলাকালে, তৎকালীন ব্রিটিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ার সেনাসহ সংকীর্ণ প্রবেশ পথ ঘিরে নিয়ে গুলি চালিয়েছিল অন্দরের সমবেত নিরস্ত্র নরনারীর ওপর। মুহূর্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিল অন্দরে উপস্থিত অসংখ্য নরনারী। বাঁচার আশায় পাশের এক কুয়োয় ঝাঁপিয়ে পড়ে অনেকেই। সেখানেও চলে গুলি। নিহত হয় কয়েক হাজার, আহত হয় আরো বেশী।

সেদিন সভ্যজগৎ ধিক্কার জানায় বর্বর এই ব্রিটিশ অত্যাচারকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশদের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন। 

কুয়োটি এখন রেলিং দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজও কুয়ো এবং দেওয়ালের গায়ে একাধিক গুলির চিহ্ন বর্তমান। পরবর্তীকালে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে লালপাথরের এক স্মৃতিস্তম্ভ।

বাগের প্রবেশপথে রয়েছে উধম সিং-এর মূর্তি। ভিতরে রয়েছে এক সংগ্রহশালা – সেখানে রয়েছে জালিয়ানওয়ালাবাগে মৃতদের ছবি, অবশ্য বেশীটাই হাতে আঁকা। সঙ্গে রয়েছে তাদের পরিচিতিও। উধম সিংএর ছবির সংগে রয়েছে সংগৃহীত তার দেহাবশেষ। এছাড়াও রয়েছে তখনকার বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই হত্যাকান্ডের Clippings. মহাত্মা গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুষ্প্রাপ্য চিঠিও রয়েছে এখানে। উদ্যানের মাঝে খোদিত সাদা রঙের ‘স্বাধীনতার জ্যোতি’- যেন আগুনের শিখা। মাথা ঢাকা এক চতুষ্কোণ চত্বরে জ্বলে চলেছে ‘অমর জ্যোতি’। 

নানারকম গাছপালা দিয়ে সজ্জিত এই উদ্যানে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন বৃক্ষও। 

বর্তমানে অবশ্য জালিয়ানওয়ালাবাগ দেখা যাবে নবরূপে। শুনেছি প্রবেশপথ থেকে অন্দর, মূর‍্যাল ও আলোকসজ্জায় সেজে উঠবে। তখন হয়ত দর্শকরা পরাধীন ভারতে ইংরেজদের অত্যাচার বা শহীদদের বলিদানের অতীত ইতিহাস খুঁজতে সেখানে যাবে না, বরং অমৃতসরের অবশ্য দ্রষ্টব্য হিসাবে জালিয়ানওয়ালাবাগ দেখে সম্মোহিত হয়ে তার অকুণ্ঠ প্রশংসা করবে।  

এখান থেকে বার হয়ে আমরা চললাম এখানকার বিখ্যাত এক ধাবায়। আজ দুপুরের আহার সেখানেই। সেখান থেকে ফিরে হোটেলের আনুকূল্যে আমরা আরো কিছুক্ষণ সেখানেই বিশ্রাম নিয়ে, সময় হলে টাঙ্গায় মালপত্র চাপিয়ে এসে উপস্থিত হলাম অমৃতসর জং স্টেশনে বিকেলের শতাব্দী এক্সপ্রেসের জন্য। রাতের খাবার ট্রেণেই সারা হয়ে গেল। এবার অপেক্ষা কখন দিল্লী পৌঁছবো!

আমরা নিউ দিল্লী স্টেশনে এসে পৌঁছলাম রাত ১১টার পরে। ষ্টলগুলো অন্ধকার, ষ্টেশনের আনেক আলোও তখন নিভে গেছে। দেখলাম, সেই নিঃঝুম ষ্টেশনে আমাদের জন্য অপেক্ষারত আনু আর সুনীত। তাদের গাড়ীতে রওনা দিলাম বাড়ীর পথে। কিন্তু এ কোথায় চলেছি আমরা- এ তো বাড়ীর পথ নয়! আমাদের কোনো উত্তর না দিয়েই তারা যেখানে গাড়ী থামালো, আলো ঝল্‌মল্‌ সেখানে তখন জনতার ভীড়। সামনেই দেখি ইন্ডিয়া গেট। কি ব্যাপার? এখানে কেন? তখনই মনে পড়ল, আজ আমাদের নববর্ষ- ১লা বৈশাখ, ১৫ই এপ্রিল। আনুরা আমাদের এখানে এনেছে বর্ষবরণের আনন্দোৎসবে সামিল হতে।

আলোকজ্জ্বল ইন্ডিয়া গেটের চতুর্দিক তখন উচ্ছল জনতার হৈ হট্টগোলে গমগম করছে। কে বলবে এখন রাত প্রায় বারোটা বাজে! উৎসব মুখর সেই পরিবেশ আমাদের সকল ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল। চারিদিকে নানারকম জিভে জল ঝরানো খাদ্যসম্ভার, ছোটোদের খেলনাপাতি বিক্রী হচ্ছে। পুলিশ দেখছে যেন কোন গোলমাল না হয়। আনুরা আমাদের আইসক্রীম খাওয়ালো। আর এইভাবেই আমরা নববর্ষ বরণ করে ফিরে চললাম আনুদের বাড়ী বসন্ত কুঞ্জের দিকে। মনে মনে ভাবলাম, একদিনে আমার অমৃতসর বেড়িয়ে আসার ইচ্ছে, অবশেষে পূরণ হল। ইচ্ছের জোর সময়কে হার মানতে বাধ্য করল।

— অমৃতসর পর্ব সমাপ্ত —

লেখিকা পরিচিতি
 
 
 
গোপা মিত্র

ফিজিক্স অনার্স। একসময়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও, প্রকৃতপক্ষে গৃহবধূ – কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষে। ভ্রমণের নেশা প্রবল। ভারতের বাইরে কোথাও না গেলেও দেশের মধ্যেই প্রচুর ঘুরেছেন। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, ঐতিহাসিক স্থান – কোনোও কিছুই বাদ নেই। এখনও সুযোগ সুবিধে হলেই বেরিয়ে পড়েন। দু-কলমের জন্যে জীবনে প্রথমবার কলম ধরা।

Author

Du-কলম

Join the Conversation

    1. অত দূরে গিয়েও যে লেখাটা পড়েছিস এর জন্যে আমি সম্মানিত ।

  1. এখন তো আর স্বর্ণমন্দির যাওয়া হবেনা কিন্তু তোমার সুন্দর detailed descriptionএর মাধ্যমে অনেক কিছু দেখা হয়ে গেল মনে হচ্ছে।খুবই ভালো লাগল অমৃতসরের ভ্রমণ লেখা টা।

Leave a Reply to Ritwick Ray Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!