গল্পরহস্য ও ভৌতিক

সমাধি

কলমে : প্রদীপ দালাল

দূর থেকে ভেসে আসে মোটর গাড়ির দ্রুত চলে যাওয়ার শব্দ। রাত যখন গভীর হয়, সামান্য শব্দও, যা দিনের কোলাহলে হয়তো কানে পৌঁছতো না, রাতের নিস্তব্ধতায় তা দূর দূর ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তা দিয়ে হুশ হুশ করে গাড়িগুলো ছুঁটে যায়। রবি ছাদে দাঁড়িয়ে একমনে সেই শব্দ শোনে। ছাদের প্যারাপেটে গাছের একটা ডাল ক্রমাগত বারি খায় আর তার থেকে একটা রিনরিনে কম্পন অনুভূত হয়। নারকেল গাছের লম্বা লম্বা পাতাগুলো হাওয়ায় দুলে দুলে খরখর শব্দ তোলে। কেমন এক বিষন্নতা চারদিকে। আকাশে চাঁদের ম্লান আলো। দিগন্ত জুড়ে ছেঁয়ে আছে কুয়াশার এক অস্বচ্ছ পর্দা যা স্বাভাবিক দৃশ্যমানতাকে কমিয়ে পরিবেশকে আরও রহস্যময় করে তোলে।

শালবনে ঘেরা লাল মাটির দেশে এমন এক অলৌকিক পরিবেশ মনে ভৈরবী সুর তোলে। নিবিড় জঙ্গল দূর দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই বিশালতার দিকে বেশিক্ষণ চেয়ে থাকলে বুকের মধ্যে এক অদ্ভুত শূন্যতা জায়গা করে নেয়, তখন মন কালসীমা পেরিয়ে বিচরণ করে অনন্তে।

জঙ্গলের উত্তর দিকে আকাশ আশপাশের মিশকালো অন্ধকারের চেয়ে কিছুটা উজ্জ্বল। জঙ্গলের বুক চিরে বেরিয়ে গেছে ১৯ নং জাতীয় সড়ক। ওই দিক থেকেই ভেসে আসে যান চলাচলের শব্দ। রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের থমথমে পরিবেশে সেই আওয়াজ কেমন গোঙানির মতো শোনায়। রবি শোনে সেই গোঙানি। সারা গ্রাম যখন ঘুমিয়ে পড়ে, রবির ভালো লাগে একা ছাদে সেই নির্জনতার মাঝে চুপচাপ দাঁড়িয়ে প্রকৃতির কথা শুনতে। প্রকৃতির নিজস্ব একটা ভাষা আছে, রবি সেটা বোঝে। প্রকৃতি আর মানুষের মাঝে নিবিড় সম্পর্কের কথা আধুনিক মানুষ ভুলে গেলেও প্রকৃতি ভোলেনি। তাই সে আপ্রাণ চেষ্টা করে মনে করানোর। কিন্তু হতভাগা মানুষ শোরগোল থামাবে, তবে না শুনতে পাবে প্রকৃতির কথা।

পানাগড় অঞ্চলের দুর্ভেদ্য জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট একটি গ্রাম দেবশালা। লোকের মুখে শোনা যায়, বর্ধমানের রাজার কোন এক দেওয়ান না কি এই গ্রাম স্থাপন করেছিলেন। রবি এই গ্রামের নয়, চাকরি সূত্রে এখানে একটা বাড়িতে ভাড়া থাকে। শহর থেকে বহু দূরে এমন এক বন্য পরিবেশে থাকতে তার বেশ ভালোই লাগে। শুরুর দিকে মনটা উদাস থাকত বৈকি, কিন্তু এখন আর কোনো অসুবিধে হয় না। পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিয়েছে সে।

যে মাটির ওপর এত যুগ ধরে এত মানুষের আনাগোনা হয়েছে, সেখানে যে প্রতি পরতে পরতে গল্প মিশে থাকবে,এটাই স্বাভাবিক। গল্প বলা ও শোনা মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি, আর সেই গল্প যদি কোনো অলৌকিক ঘটনা নিয়ে হয়, তো কথাই নেই।

রবি যে বাড়িতে থাকে,তার পাশে শিব মন্দিরে এক বৃদ্ধের সাথে তার প্রায় কথা হয়। গল্প করার লোক পেয়ে সেই বৃদ্ধও বেশ আহ্লাদিত বোধ করেন। রবিরও চলার পথে ওই মানুষটির সঙ্গে দু দন্ড কথা বলতে বেশ ভালোই লাগে। রবি সেই বৃদ্ধের থেকেই জানতে পারে যে অতীতে এক সময় সেখানে এক বিরাট জলাধার ছিল। নৌকা বিহার করত দেওয়ান পরিবারের সদস্যরা সেখানে। কত হাসি কান্নার সাক্ষী ছিল সেই দিঘি,যা আজ সময়ের পলি পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা পথ চলার সময় ক্ষণিকের জন্যও ভাবি না যে আমাদের পায়ের নীচে মাটিতে অতীতের না জানি কত গল্প চাপা পড়ে আছে। বোবা গল্পেরা নিজেদের কথা শোনাতে বেছে নেয় কিছু মানুষকে। বৃদ্ধ জ্যাঠামশাই ছিলেন তেমনই একজন মানুষ।

একঘেয়েমি কাটাতে মাঝেমধ্যেই বিকেলে বনের পথ দিয়ে বেরিয়ে আসত রবি। অমনই এক বিকেলে বেড়াতে বেরিয়েছিল সে। ফিরতে তার একটু দেরি হয়েছিল সেদিন। পথ ভুলে অন্যদিকে চলে গিয়েছিল সে। তারপর এক কাঠুরের সহযোগিতা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তারপর থেকে রবি বনের ওই দিকটাই আর যায় না।

আজ একা ছাদে দাঁড়িয়ে সেইদিনের কথা ভাবতে রবির গা ছমছম করে ওঠে। জঙ্গল থেকে হঠাৎ শেয়ালের ডাক শুনতে পায় সে — হুক্কা হুয়া… হুক্কা হুয়া…

গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায়। জঙ্গল যেন তার আদিম নিঃশ্বাস ছাড়ে। রবি যেন আজও শুনতে পায় সেদিনের ভয় ধরানো পরিবেশের চাপা ফিসফিসানি। মুহূর্তে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেদিনের দৃশ্য। সূর্য তখন অস্তগামী। আঁধার গাছের ফাঁক দিয়ে চুইয়ে নেমে পড়ে। পাখিরা বাসায় ফিরে চুপটি করে বসে বনের ভিতর অন্ধকার নামতে দেখে। জুতোর নীচে শুকনো পাতাগুলো মচ মচ শব্দ করে যেন আর্ত রব করে। আশেপাশে ঝোপঝাড় থেকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যায়। লাল মাটির শুড়িপথ একেবেঁকে চলে গেছে জঙ্গলের আরও গভীরে। রবি সেই পথ ধরে হেঁটে চলে। বিরাট বিরাট শালগাছের মাঝে দু একটা সোনাঝুরি গাছ বেমানান ভাবে দাঁড়িয়ে। জঙ্গলে সব জায়গাই একরকম দেখায়। অচেনা পথও চেনা বলে ভ্রম হয়। রবি দেখে, জঙ্গলের এই অংশে গাছগুলো যেন আরও ঘন। লতা গুল্মের ঝোপে শাল গাছের পুরু কাষ্ঠল দেহ ঢেকে গেছে। চারদিকে একটা থমথমে ভাব। অন্যদিন জঙ্গলের পথে দু একজনের সাথে দেখা হয় তার। কিন্তু আজ এখনো পর্যন্ত কারো দেখা মেলেনি।মনে মনে ভাবে, তবে কি সে পথ ভুল করেছে। ওদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। মনে একটা যুক্তি খাড়া করে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে, সুড়ি পথ যখন রয়েছে, কাছে কোথাও গ্রাম নিশ্চয় থাকবে। কারো না কারো দেখা মিলবে নিশ্চয়। এদিক ওদিক না গিয়ে পথ অনুসরণ করে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু যত এগোয় রাস্তা যেন ততই বেড়ে চলে, যেন কোনো এক গোলকধাঁধায় আটকে পড়েছে সে, নিস্তার পাওয়া খুব কঠিন। রবি এবার সাহায্যের জন্য চিৎকার করে ডাকে,” কেউ আছেন এখানে?”

“কেউ কি শুনতে পাচ্ছেন আমায়?”

প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, কিছু গেছো প্রাণীর তরতর করে উঠে যাওয়া আর পাখির ডানা ঝাপটানো ছাড়া আর কিছু শোনা যায় না। গাছের আড়াল থেকে একটা পেঁচা হুট হুট শব্দ করে ডেকে ওঠে, যেন সে বলতে চায়, এগিয়ো না আর,সামনে বিপদ! প্রচন্ড উত্তেজনায় রবির বুক ধড়ফড় করে। বুঝতে পারে না,সে কী করবে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে,সন্ধ্যে ছটা বাজে। আশ্বিন মাস, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জঙ্গল পুরো অন্ধকারে ডুবে যাবে। রবির হঠাৎ মনে পড়ে কম্পাসের কথা, তড়িঘড়ি তাই সে মোবাইলে কম্পাস বের করে। কিন্তু সে যা দেখে, তা বড়োই আশ্চর্যের; রবি দেখে, অদ্ভুতভাবে কম্পাসের কাঁটাটা উত্তর দিক নির্দেশ করার জায়গায় ঘড়ির কাঁটার মতো ক্রমেই ঘুরে চলেছে। রবি আগে কখনও কম্পাসের এমন অদ্ভুত আচরণ দেখেনি। ওর এবার ভয় করতে শুরু করে। আশেপাশে চোখ মেলে তাকায়। গাছগুলো,দেখে মনে হয়, যেন আরও কাছে সরে এসেছে। রবি ঢোক গেলে। জোড়ে জোড়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে মনকে শান্ত করার চেষ্টা করে। মাথার ওপর দিকে তাকায়। নিশ্চল শাল গাছগুলোকে কেমন দানবের মতো দেখায়। গাছগুলোর ফিসফাস যেন রবির কানে আসে। এদিকে মাটির দিকে চোখ যেতে রবি চমকে ওঠে। কোথায় সে শুঁড়ি পথ, যে পথ ধরে সে এখানে পৌঁছেছে! সে এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে চারদিকে কেবল আগাছার জঙ্গল, কাছে দূরে কোথাও কোনো পথ নেই। তবে সে এখানে পৌঁছল কিভাবে, চোখের ভ্রম, না কি অন্যকিছু! সেই অন্যকিছু যে কী হতে পারে, তার সামান্য সম্ভাবনার কথা মনে হতেই বুকের মধ্যেটা ভয়ে ঢিপ ঢিপ করে ওঠে। জ্যাঠা মশাইয়ের থেকে রবি শুনেছিল, জঙ্গলের এক জায়গায় না কি সমাধি আছে। কেউ সেখানে ভুল বশত চলে গেলে, তাকে ভুলোই পথ ভুলিয়ে জঙ্গলের আরও গভীরে নিয়ে যায়। আর তারপর তার কী হয়, তা কেউ জানে না।

জ্যাঠা মশাই রবিকে বলেছিলেন, কিছু মানুষের অতৃপ্ত বাসনা মৃত্যুর পরও না কি তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। প্রেম অন্ধ; ছোট বড়, উঁচু নীচু কিছু দেখে না। দেওয়ান পরিবারের মেয়ে রাজনন্দিনী এক সাধারণ গোয়ালার প্রেমে পড়েছিল। দেওয়ানজির চোখে তা ছিল ঘোর অপরাধ। গোপনে ওই প্রেমিক প্রেমিকা সেই জলাধারে নৌকো বিহার করত। একদিন তা গ্রামের লোকের চোখে পড়ে যায় এবং ঘটনাটির কথা দেওয়ানজীর কান পর্যন্ত পৌঁছলে,তিনি সেই গোয়ালাকে ধরে আনার নির্দেশ দেন। তারপর না কি সেই গোয়ালাকে আর কেউ দেখেনি। লোকে বলে, সেই গোয়ালাকে না কি মেরে জঙ্গলে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। প্রেমের এমন করুণ পরিণতির কথা শুনে সেদিন রবির খুব দুঃখ হয়েছিল ঠিকই, তবে আজ সে কথা মনে করে তার ভীষণ ভয় হচ্ছে। সারা শরীরে শিহরণ খেলে যায় তার। সত্যিই কি সে ওই অতৃপ্ত আত্মার কোপে পড়েছে। মনে মনে ইষ্ট নাম জপ করে। এদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। সে মনস্থির করতে পারে না, কী করবে। কেবল প্রেতের ভয় নয়, অন্ধকারে হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ও রয়েছে জঙ্গলে। কোনকিছু ঠিক করতে না পেরে, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট টা জ্বলে। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিকে। ঝোপঝাড় থেকে পাতার খসখস আওয়াজ শোনা যায়। মাথার ওপর দিয়ে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে যায় কোনো নিশাচর পাখি। জঙ্গল আবার সরব হয়ে ওঠে। যত নিশাচর আছে, অন্ধকারের ঘ্রাণ পেয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা ; এখন তাদের শিকার ধরবার সময়। রবি ভাবে, না জানি সে কোন নিশাচরের শিকার হবে আজ। শেয়ালের দল একসাথে ডেকে ওঠে — হুক্কা হুয়া — হুক্কা হুয়া….
বুকের রক্ত জল করার মতো বিভীষিকাময় সে ডাক! এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সে আগে কখনো পড়েছে বলে তার মনে পড়ে না। পাতার খসখস আওয়াজটা আবার কানে আসে। কাউকে এদিকে হেঁটে আসতে শোনা যায়। রবি দেখে, বনবাদার ঠেলে একটা টিমটিমে আলো তার দিকে এগিয়ে আসে। কিছুটা কাছে আসতেই বোঝা যায়, এক কাঠুরে হাতে লন্ঠন নিয়ে এদিক পানে আসছে। আধ হাত ধুতি পড়া উন্মুক্ত গায়ে এক দেহাতী লোক। ডান হাত দিয়ে ধরা কুড়ুলটা কাঁধের ওপর শোয়ানো। বাঁ হাতের লন্ঠনটা উঁচিয়ে ধরে কাঠুরে বলে, ” কে তুই, বেটটা, ইক্কানে কী কইরচিস?”

রবি স্বপ্নেও ভাবেনি, এই সময় জঙ্গলের মধ্যে কোনো মানুষের দেখা পাবে। কাঠুরেকে দেখে ধরে প্রাণ ফিরে পায় সে। এ যেন স্বয়ং দেবদূত, তাকে এই ঘোর বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এসেছে। সাথে সাথে রবি বলে,” আমি পথ ভুলে এখানে চলে এসেছি। “
লোকটি রবিকে আপাদমস্তক জরিপ করে নিয়ে জিজ্ঞেস করে,” তাকিস কোত্তায়?”

“দেবশালায়।”

লোকটি ঘাড় নেড়ে বলে, “উম হু, তোকে দেইককা, ইকানকার বলে মুনে টো হুইচে না।”

“হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আমি এখানে ভাড়া থাকি।”

লোকটির মুখে মৃদু হাসি খেলে যায়। সে বলে, “জানিস, সাইমনে টো কী আইচে?”

রবি হতভম্বের মতো লোকটির মুখের দিকে চেয়ে থাকে।

“আরেকটু এগুলেই এঁইদো ডোব্বার মদদি গিয়া পইরতিস। হজ্জার বার ডাকলেও কেউ শুইনতে টো পেত্ত না। মইরে ভূত হইয়ে যেতিস!”

রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভেতর’ ভূত’ কথাটা শুনে রবির গা ছমছম করে ওঠে।

“যা, এইধার দিয়া খানিকটা এগুলেই ইকটা পত টো দেইকতে পাবি, ওই পত ধইরা সোজজা চইলে যাববি, তোর গ্রামের পত টো পেইয়ে যাববি।”

এই বলে কাঠুরে জঙ্গলের অন্ধকারের মধ্যে মিশে যায়।

রবি সেদিন লোকটির দেখানো পথ দিয়ে বাড়ি তো ফিরে আসে, কিন্তু একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে সেই থেকেই খচ খচ করতে থাকে, লোকটি ওই ভর সন্ধ্যেবেলা জঙ্গলের মধ্যে গেল, তো কোথায় গেল। ওই দিকে কোনো গ্রামই থাকবে, তো সেই গ্রামে ঢোকার পথও থাকার কথা। কিন্তু যতদূর রবির মনে পড়ে, সেদিকে কোনো পথ ছিল না। তবে ওই লোকটি গেল কোথায়! লোকটি বলেছিল, ওইদিকে নাকি একটা এঁদো ডোবা আছে। কিন্ত লোকটিকে সে ওইদিন সেই ডোবার দিকেই যেতে দেখেছিল। তবে কি লোকটা…

সম্ভাবনার কথাটা মনে আসতেই রবির গা শিউরে ওঠে। সে দূর জঙ্গলের দিকে তাকায়। দূর থেকে ওই জঙ্গল কত শান্ত,কত নিশ্চুপ ; দেখে বোঝার উপায় নেই, মানুষের অলক্ষ্যে সেখানে নানা রহস্য প্রতিনিয়ত দানা বেঁধে চলেছে। কেউ যথার্থই বলেছেন, ইতিহাস অতীত আর বর্তমানের মধ্যে চলা অসমাপ্ত সংলাপ; এই গ্রামের ইতিহাসই যেমন, সেই কবেকার ঘটে যাওয়া ঘটনা আজও মানুষের স্মৃতিতে টাটকা হয়ে রয়েছে। মানুষ চলে যায়, কিন্তু তার কর্মের ফল থেকে যায়।

Author

Du-কলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!